অগি্নকাণ্ড ও পরবর্তী তদন্ত by মো. সেলিম আহমেদ ডালিম
কিছুদিন আগে রাতে হাজারীবাগ বস্তিতে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গভীর রাতে আগুন লাগলে কিছু বোঝার আগেই মানুষগুলোকে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। দেশের বস্তিগুলোতে যে এবারই আগুন লেগেছে তা-ই নয়।
অনেকগুলো বস্তি শুধু মানুষের লোভের শিকার হয়ে গভীর রাতে মানুষগুলোকে জীবন্ত পুরে মরতে হয়েছে। কিন্তু এতগুলো প্রাণ জীবন্ত দগ্ধ হয়ে করুণ মৃত্যুর শিকার হলেও পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে পারেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, তদন্তে কিছু পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সরকারের আমলেই বস্তিতে আগুন দেওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। দেশে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তা উদ্বোধন করে বলেছেন, দেশের ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স শক্তিশালী করা হয়েছে। একটি বস্তির আগুন পুরো ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি টিমকে যেখানে শুধু পাইপ এবং আরও কিছু সরঞ্জামাদির অভাবে অসহায়ত্ব বোধ করতে হয়েছে, সেখানে নাকি আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করেছে? দেশের মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হলেও আধুনিক ফায়ার সার্ভিসের সেবা দেশের মানুষ পাওয়া থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। এর আগে পুরান ঢাকার অগি্নকাণ্ডের ঘটনা দেশের মধ্যে বড় ধরনের নাড়া দেয়। কিন্তু সেখানকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো এখনও নাকি সরানো যায়নি। যখনই একটি ঘটনা ঘটে তারপর প্রশাসনের টনক নড়ে। তাই সরকারকে বলব, হাজারীবাগের বস্তির আগুনের সূত্রপাত কী করে হলো তা খুঁজে বের করুন। দলীয় আনুগত্যের খোলস ছেড়ে কঠোর ব্যবস্থা নিন। যাতে করে আগুনে আর কোনো নারী ও শিশুর ঝলসে যাওয়া বীভৎস মৃত্যুর ছবি আমাদের দেখতে না হয়।য়পশ্চিম দেওভোগ, বেপারীপাড়া, নারায়ণগঞ্জ
No comments