অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলিদের গুলি, এক ফিলিস্তিনি নিহত
অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার এক দিন পরেই আবারও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে। গতকাল শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ ফিলিস্তিনি কিশোর আহত হয়েছে। অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হতাহতের প্রথম ঘটনা এটি।
হামাস এ ঘটনাকে অস্ত্রবিরতির শর্তের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। এদিকে গত বুধবার তেল আবিবে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গতকাল পশ্চিম তীর থেকে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। আর হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে রাজি হওয়ায় বিরোধী রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।গাজার দক্ষিণ-পূর্বে খান ইউনিস সীমান্তে গতকাল ফিলিস্তিনিদের হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনি কিশোররা সীমান্তের 'বাফার জোনে' ঢোকার পর ইসরায়েলি সেনারা তাদের ওপর গুলি চালায়। গত বুধবারের অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনুযায়ী সীমান্ত পারাপারে কড়াকড়ি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, এমন খবর পাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন বাফার জোনে ঢোকে।
ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ জানায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদলেহাদি কেদেই আনোয়ার (২১) নামের এক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। একই ঘটনায় ১০ কিশোর আহত হয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র সাবি আবু জুহরি জানান, গুলির ঘটনা নিয়ে তাঁরা অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গে কথা বলবেন। এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে এর নিশ্চয়তা চাইবেন তাঁরা।
এদিকে তেল আবিবে বাসে বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি একজন ইসরায়েলিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের পশ্চিম তীর থেকে এবং ওই ইসরায়েলিকে ইসরায়েলের তাইবেহ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হামাসের সঙ্গে তার যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
গাজার নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির চুক্তি করায় বিরোধী রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য-ডানপন্থী কাদিমা পার্টির প্রধান শাউল মোফাজ বলেছেন, 'হামাসকে প্রতিহত করার কাজ ঠিকমতো শেষ হয়নি। তাদের সঙ্গে সমঝোতার কিছুই নেই। বরং চুক্তির মাধ্যমে হামাসের সব চাওয়াই পূরণ হয়েছে।'
হামাসকে সাহায্য দিয়ে যাবে ইরান : ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, গাজার যোদ্ধাদের রকেট সরবরাহ চালিয়ে যেতে থাকবেন তাঁরা। ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে পাকিস্তানে আছেন তিনি। গতকাল ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'যুদ্ধ যাতে না বাধে, সে বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সব দেশের মানুষেরই নিজেদের রক্ষার অধিকার আছে।' সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments