আমি যদি অর্থমন্ত্রী থাকি নাসিরউদ্দিন থাকবে না
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ডে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এনবিআরের চেয়ারম্যান হিসেবে নাসিরউদ্দিন সম্পূর্ণ অযোগ্য। রাবিশ। এই চেয়ারম্যান শুরু থেকেই আমাকে অপমান করছে। আমার উপদেশ, আদেশ, পরামর্শ অগ্রাহ্য করছে। এতে আমি বারবার বিব্রত হয়েছি। তাকে আর সহ্য করা যাচ্ছে না। সে এনবিআরে থাকছে না। ভবিষ্যতে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। যতই খুঁটির জোর থাকুক, আমি যদি অর্থমন্ত্রী থাকি, নিশ্চয়তা দিতে পারি সে আর এনবিআরে থাকছে না। দায়িত্বশীল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী এ ধরনের মন্তব্য করেছেন এনবিআরেরই দু’জন সদস্যের কাছে। বুধবার সকালে এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট নীতি) ফরিদ উদ্দিন এবং সদস্য (শুল্ক ও বন্ড) নাসির উদ্দিনকে অর্থমন্ত্রী তার দফতরে ডেকে নেন। বিভিন্ন প্রসঙ্গ আলোচনার এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী উপরোক্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এসময় অর্থমন্ত্রীকে দারুণ রাগান্বিত দেখাচ্ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, এনবিআরের চেয়ারম্যান আমার কথা শুনবে না এটা মানা যায় না। এর আগে এক কমিশনারকে বদলি করতে বলেছি, শোনেনি। জনস্বার্থে ডায়াবেটিক রোগীদের ব্যবহারে বারডেমের আনা আমদানি পণ্যে শুল্ক রেয়াত দেয়ার কথা একাধিকবার বলেছি, কিন্তু সে রেয়াত দেয়নি। ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের বিধিমালা জারি করতে বলেছি, তা করা হয়নি। কার কথায় কাজ করছে বুঝি না।
এ ধরনের আরও অনেক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কমিশনারদের বদলির একটি প্রস্তাব নিজের হাতে লিখে নাসিরউদ্দিন আমাকে দেয়। আমি বলেছি, দেখে জানাব। তারপর বদলি হবে। এখন দরকার নেই। আগে সদস্যদের পদোন্নতি দিন। তবে কোন কর্মবণ্টন করার প্রয়োজন নেই। আমি সিদ্ধান্ত দেব। কিন্তু আমার সঙ্গে কথা বলেই চেয়ারম্যান কমিশনারদের বদলি করে দিল? সদস্যদের কর্মবণ্টন করল? আমার কোন কথাই সে শোনে না। অর্থমন্ত্রী অসন্তোষের সঙ্গে আরও বলেন, চেয়ারম্যানকে শুক্রবার টেলিফোনে বদলি আদেশ বাতিল করতে বলেছি। কিন্তু তা না করে উল্টো কমিশনারদের নিয়োগ কার্যকর করতে বলে। এই চেয়ারম্যানের আর এক্সটেনশন দূরের কথা, তার আগেই বিদায় নিতে হবে। সমঝোতায় আসার চেষ্টা : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও এ বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। এজন্য কমিশনারদের বিতর্কিত নিয়োগ আদেশ রোববার বাতিল করা হতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রামের কমিশনার হিসেবে সৈয়দ গোলাম কিবরিয়ার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ কর্মকর্তার ওপর অর্থমন্ত্রী দারুণ ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকায় অর্থমন্ত্রী একাধিকবার তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি এনবিআরের চেয়ারম্যান। আর এ থেকেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানের তিক্ততার সূত্রপাত। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, গোলাম কিবরিয়াকে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রাম ট্রেনিং একাডেমিতে পদস্থ করতে। কিন্তু তার বদলে বৃহস্পতিবার এনবিআরের বিতর্কিত আদেশে চট্টগ্রাম আপিল কমিশনারের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে গোলাম কিবরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়। আর এতেই রুষ্ট হন অর্থমন্ত্রী। বুধবার এক আদেশে সৈয়দ গোলাম কিবরিয়ার নিয়োগ বাতিল করে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রামে কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের বন্ড কমিশনার জামাল হোসেনকে। একই সঙ্গে তাকে বন্ড কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমবে। তবে আরও কিছু বিতর্কিত বিষয়ের সুরাহা না হলে পুরো বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে না বলে সূত্র দাবি করেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সুলতান মোঃ ইকবালকে সদস্যপদে পদোন্নতি দিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মারুফুল ইসলামকে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক করার পরামর্শ ছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা হয়নি। মারুফুল ইসলামের নিয়োগ ঠেকাতে পদ থাকা সত্ত্বেও সুলতান ইকবালকে সদস্যপদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এছাড়া বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট এলটিইউ) কমিশনার হিসেবে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট ঢাকা দক্ষিণের কমিশনার আবদুল কাফির নিয়োগ চূড়ান্ত করা ছিল। সদস্যদের পদোন্নতি সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রীর এ বিষয়ে অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তাকে ঢাকা উত্তরের কমিশনার নিয়োগ দিয়ে মাত্র ৮ মাস আগে নিয়োগ পাওয়া কমিশনার সাইফুল ইসলামকে ভ্যাট এলটিইউর কমিশনার করাকে মন্ত্রী সমর্থন করেননি। এ নিয়োগে চেয়ারম্যানও রাজি ছিলেন না এবং বিশেষ কারণে করতে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এ ধরনের আরও অনেক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কমিশনারদের বদলির একটি প্রস্তাব নিজের হাতে লিখে নাসিরউদ্দিন আমাকে দেয়। আমি বলেছি, দেখে জানাব। তারপর বদলি হবে। এখন দরকার নেই। আগে সদস্যদের পদোন্নতি দিন। তবে কোন কর্মবণ্টন করার প্রয়োজন নেই। আমি সিদ্ধান্ত দেব। কিন্তু আমার সঙ্গে কথা বলেই চেয়ারম্যান কমিশনারদের বদলি করে দিল? সদস্যদের কর্মবণ্টন করল? আমার কোন কথাই সে শোনে না। অর্থমন্ত্রী অসন্তোষের সঙ্গে আরও বলেন, চেয়ারম্যানকে শুক্রবার টেলিফোনে বদলি আদেশ বাতিল করতে বলেছি। কিন্তু তা না করে উল্টো কমিশনারদের নিয়োগ কার্যকর করতে বলে। এই চেয়ারম্যানের আর এক্সটেনশন দূরের কথা, তার আগেই বিদায় নিতে হবে। সমঝোতায় আসার চেষ্টা : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও এ বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। এজন্য কমিশনারদের বিতর্কিত নিয়োগ আদেশ রোববার বাতিল করা হতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রামের কমিশনার হিসেবে সৈয়দ গোলাম কিবরিয়ার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ কর্মকর্তার ওপর অর্থমন্ত্রী দারুণ ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকায় অর্থমন্ত্রী একাধিকবার তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি এনবিআরের চেয়ারম্যান। আর এ থেকেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানের তিক্ততার সূত্রপাত। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, গোলাম কিবরিয়াকে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রাম ট্রেনিং একাডেমিতে পদস্থ করতে। কিন্তু তার বদলে বৃহস্পতিবার এনবিআরের বিতর্কিত আদেশে চট্টগ্রাম আপিল কমিশনারের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে গোলাম কিবরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়। আর এতেই রুষ্ট হন অর্থমন্ত্রী। বুধবার এক আদেশে সৈয়দ গোলাম কিবরিয়ার নিয়োগ বাতিল করে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রামে কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের বন্ড কমিশনার জামাল হোসেনকে। একই সঙ্গে তাকে বন্ড কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমবে। তবে আরও কিছু বিতর্কিত বিষয়ের সুরাহা না হলে পুরো বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে না বলে সূত্র দাবি করেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সুলতান মোঃ ইকবালকে সদস্যপদে পদোন্নতি দিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মারুফুল ইসলামকে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক করার পরামর্শ ছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা হয়নি। মারুফুল ইসলামের নিয়োগ ঠেকাতে পদ থাকা সত্ত্বেও সুলতান ইকবালকে সদস্যপদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এছাড়া বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট এলটিইউ) কমিশনার হিসেবে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট ঢাকা দক্ষিণের কমিশনার আবদুল কাফির নিয়োগ চূড়ান্ত করা ছিল। সদস্যদের পদোন্নতি সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রীর এ বিষয়ে অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তাকে ঢাকা উত্তরের কমিশনার নিয়োগ দিয়ে মাত্র ৮ মাস আগে নিয়োগ পাওয়া কমিশনার সাইফুল ইসলামকে ভ্যাট এলটিইউর কমিশনার করাকে মন্ত্রী সমর্থন করেননি। এ নিয়োগে চেয়ারম্যানও রাজি ছিলেন না এবং বিশেষ কারণে করতে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
No comments