ঘুষখোর লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস by জোবায়ের আলী জুয়েল
লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস |
প্রাচীনকালে
রাজা-বাদশাহর দরবারে সাক্ষাতের সময় ভেট, নজরানা বা উপঢৌকন দেয়ার প্রচলন
ছিল। এ ভেট প্রথা সেই সময় ছিল সামাজিক একটি রীতি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, রোম
সেনাপতি জুলিয়াস সিজার যখন মিসর জয় করেন, তখন মিসর সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা
নিজেকেই ভেট হিসেবে পেশ করেছিলেন সিজারের কাছে। আমাদের এ উপমহাদেশেও অতীতে
রাজা-বাদশাহর দরবারে ভেট প্রথার প্রচলন ছিল। ভেট বা ঘুষের মধ্যে পার্থক্য
রয়েছে। প্রকাশ্যে সাক্ষাতের সময় যে উপহার দেয়া হয় তাই ভেট। ঘুষ হলো- অন্যায়
কাজ সিদ্ধির জন্য গোপনে অর্থ দেয়া। ইংরেজরা উপমহাদেশে প্রথম ঘুষ বা উৎকোচ
নেয়ার রীতির প্রচলন করে।
১৭৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যাহ্নের সময় নবাব মীর জাফর আলী খান মুর্শিদাবাদে মারা যান। ঐতিহাসিক ক্যারাসিওলিওর মতে, মীর জাফরের মৃত্যুর পর তার উপপত্নী মুন্নি বেগম নিজের ছেলের জন্য সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিশ্চিত ও নিরাপদ করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিনায়ককে বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়েছিলেন। এরপর কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মন্ত্রিসভা মীর জাফরের ছেলে মীরণের সিংহাসনের উত্তরাধিকারের দাবি নাকচ করে মুন্নি বেগমের ১৫ বছর বয়সী সন্তান নাজিম-উদ-দৌলাকে সিংহাসনে বসিয়েছিল। মীর জাফরের রেখে যাওয়া পাঁচ লাখ টাকা মুন্নি বেগম ছেলে নাজিম-উদ-দৌলার রাজত্বকালে ক্লাইভের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।
১৭৭৫ সালের ৬ মে ভারতবর্ষের ইংরেজ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস মীর জাফরের পত্নী মনি বেগমের কাছ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। হেস্টিংসের এ উৎকোচ গ্রহণ তার ভারতীয় সেক্রেটারি কানাই লালকে ঘুষ নিতে উৎসাহ জোগায়। তৎকালীন বর্ধমানের রানীর কাছ থেকে কানাইলাল ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা হেস্টিংসকে দেয়া হয়। কানাই লাল নিজে নেন পাঁচ হাজার টাকা।
মহারাজা নন্দকুমার সুপ্রিম কাউন্সিলে বক্তব্য দেয়ার আগে হেস্টিংসের বিরুদ্ধে একাধিক কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। এ ছাড়া তাকে বহু অপ্রীতিকর ঘটনার হোতা হিসেবে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে চিত্রিত করেন।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে- ওয়ারেন হেস্টিংসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যে অভিযোগটি আনা হয়েছিল, তা হলো মনি বেগমের কাছে থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ বা উৎকোচ নিয়েছিলেন তিনি। মুন্নি বেগমকে বাংলার নবাব পরিবারের অবিভাবকত্বে নিয়োজিত করার আগে এ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন হেস্টিংস। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি তার সব ভালো কাজের ওপর তুরুপ হিসেবে পরিগণিত হয়। জনশ্রুতি আছে, মনি বেগম বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ দেয়ায় ওয়ারেন হেস্টিংস তার অন্ধ সমর্থকে পরিণত হয়েছিলেন।
কানাই লালই প্রথম ভারতীয় কর্মকর্তা যিনি ঘুষ নেয়ার ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন। এ ঘুষ নেয়ার অপরাধে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পিট ভারতের গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসকে ইমপিচড করেন। এ ইমপিচমেন্টের ফলে প্রায় সাত বছর ধরে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় হেস্টিংস সর্বস্বান্ত হয়ে যান। তবুও এ দেশে ঘুষের এ ধারা রোধ না হয়ে ক্রমে বেড়েই চলে। ঘুষের প্রচলন ভারতবর্ষে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের ভেতরে ক্যান্সারের মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
(তথ্য সূত্র : ইমপিচমেন্ট অব ওয়ারেন্ট হেস্টিংস, লেখক- লর্ড মেসিউফ। ভারতের ইতিহাস, তৃতীয় খণ্ড, লেখক- কিরণ চন্দ্র চৌধুরী, পৃষ্ঠা- ৯৭, ৯৮, ১১৩)।
ভারতীয় উপমহাদেশে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ঘুষ, দুর্নীতি, নীচুতা, স্বার্থপরতা, নৃশংসতা, ধর্ষণকারী ও চরিত্রহীনতার জন্য বাংলার ইতিহাসে আজো কলঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। প্রথম জীবনে হেস্টিংস ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামান্য কেরানি। তারপর ধাপে ধাপে ব্রিটিশ ভারতের সর্বোচ্চ আসন গভর্নর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
শেষ জীবনে তিনি স্বদেশ ইংল্যান্ডে ফিরে যান। ১৭৭৩ থেকে ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত হেস্টিংস এ দেশে বড়লাট ছিলেন। ১৭৩২ সালে ৬ ডিসেম্বর ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসের জন্ম ইংল্যান্ডে। ১৮১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জন্মভূমি ইংল্যান্ডে ৮৭ বছর বয়সে নিদারুণ অর্থকষ্টে মৃত্যুবরণ করেন।
১৮২৮ সালে ভারতবর্ষে গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিক ঘুষের মতো ভয়াবহ ক্যান্সার থেকে প্রশাসনকে রক্ষা করতে নতুন এক কৌশল নেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরিত্রের সততা যাচাই করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন বা অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট (এসিআর) গ্রহণের নিয়ম প্রবর্তন করেন। সেই থেকে এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন আমাদের দেশে প্রচলিত আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ঘুষ প্রকটভাবে বিরাজমান। দেশের সাম্প্রতিক ও অতীত ঘটনাই এর জ্বলন্ত প্রমাণ। ঘুষ এতই মধুর যে, এটি নেয়ার সময় মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। দুর্নীতিগ্রস্ত, মুনাফাখোর ও ঘুষখোর ব্যক্তিরা সবাই হয় আত্মকেন্দ্রিক। নিজেকে ছাড়া তারা কিছুই বোঝেন না। সম্প্রতি ২০০ জন চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত দুর্নীতিপরায়ণ ও ঘুষখোর ব্যক্তির ওপর এক গোপন সমীক্ষা চালিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এসব দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। পার্থিব জীবনেই তারা প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করছেন।
ক্ষণস্থায়ী এ পৃথিবীতে মহান আল্লাহর বিধান মেনে সৎপথে চললেই জীবনে আসে অপার শান্তি। কিন্তু আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে অনেকে দুর্নীতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেন। মুনাফার লোভে ভেজাল মেশান। ঘুষ খান। অঢেল টাকার জোয়ারে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জীবনকে চালিত করেন ক্ষণিকের মোহাচ্ছন্ন এক পঙ্কিলতায়। তারা নিজেদের প্রভু মনে করেন। অথচ আল্লাহই হচ্ছেন আমাদের একমাত্র মান্য। মানুষ কারো প্রভু হতে পারে না। কিন্তু অনেকে নিজেকে তাই ভাবেন। আর বিপর্যয় তখনই অনিবার্য হয়ে ওঠে, নিজে যা না তা দাবি করা।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
jewelwriter53@gmail.com
১৭৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যাহ্নের সময় নবাব মীর জাফর আলী খান মুর্শিদাবাদে মারা যান। ঐতিহাসিক ক্যারাসিওলিওর মতে, মীর জাফরের মৃত্যুর পর তার উপপত্নী মুন্নি বেগম নিজের ছেলের জন্য সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিশ্চিত ও নিরাপদ করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিনায়ককে বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়েছিলেন। এরপর কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মন্ত্রিসভা মীর জাফরের ছেলে মীরণের সিংহাসনের উত্তরাধিকারের দাবি নাকচ করে মুন্নি বেগমের ১৫ বছর বয়সী সন্তান নাজিম-উদ-দৌলাকে সিংহাসনে বসিয়েছিল। মীর জাফরের রেখে যাওয়া পাঁচ লাখ টাকা মুন্নি বেগম ছেলে নাজিম-উদ-দৌলার রাজত্বকালে ক্লাইভের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।
১৭৭৫ সালের ৬ মে ভারতবর্ষের ইংরেজ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস মীর জাফরের পত্নী মনি বেগমের কাছ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। হেস্টিংসের এ উৎকোচ গ্রহণ তার ভারতীয় সেক্রেটারি কানাই লালকে ঘুষ নিতে উৎসাহ জোগায়। তৎকালীন বর্ধমানের রানীর কাছ থেকে কানাইলাল ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা হেস্টিংসকে দেয়া হয়। কানাই লাল নিজে নেন পাঁচ হাজার টাকা।
মহারাজা নন্দকুমার সুপ্রিম কাউন্সিলে বক্তব্য দেয়ার আগে হেস্টিংসের বিরুদ্ধে একাধিক কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। এ ছাড়া তাকে বহু অপ্রীতিকর ঘটনার হোতা হিসেবে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে চিত্রিত করেন।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে- ওয়ারেন হেস্টিংসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যে অভিযোগটি আনা হয়েছিল, তা হলো মনি বেগমের কাছে থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ বা উৎকোচ নিয়েছিলেন তিনি। মুন্নি বেগমকে বাংলার নবাব পরিবারের অবিভাবকত্বে নিয়োজিত করার আগে এ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন হেস্টিংস। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি তার সব ভালো কাজের ওপর তুরুপ হিসেবে পরিগণিত হয়। জনশ্রুতি আছে, মনি বেগম বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ দেয়ায় ওয়ারেন হেস্টিংস তার অন্ধ সমর্থকে পরিণত হয়েছিলেন।
কানাই লালই প্রথম ভারতীয় কর্মকর্তা যিনি ঘুষ নেয়ার ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন। এ ঘুষ নেয়ার অপরাধে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পিট ভারতের গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসকে ইমপিচড করেন। এ ইমপিচমেন্টের ফলে প্রায় সাত বছর ধরে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় হেস্টিংস সর্বস্বান্ত হয়ে যান। তবুও এ দেশে ঘুষের এ ধারা রোধ না হয়ে ক্রমে বেড়েই চলে। ঘুষের প্রচলন ভারতবর্ষে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের ভেতরে ক্যান্সারের মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
(তথ্য সূত্র : ইমপিচমেন্ট অব ওয়ারেন্ট হেস্টিংস, লেখক- লর্ড মেসিউফ। ভারতের ইতিহাস, তৃতীয় খণ্ড, লেখক- কিরণ চন্দ্র চৌধুরী, পৃষ্ঠা- ৯৭, ৯৮, ১১৩)।
ভারতীয় উপমহাদেশে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ঘুষ, দুর্নীতি, নীচুতা, স্বার্থপরতা, নৃশংসতা, ধর্ষণকারী ও চরিত্রহীনতার জন্য বাংলার ইতিহাসে আজো কলঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। প্রথম জীবনে হেস্টিংস ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামান্য কেরানি। তারপর ধাপে ধাপে ব্রিটিশ ভারতের সর্বোচ্চ আসন গভর্নর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
শেষ জীবনে তিনি স্বদেশ ইংল্যান্ডে ফিরে যান। ১৭৭৩ থেকে ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত হেস্টিংস এ দেশে বড়লাট ছিলেন। ১৭৩২ সালে ৬ ডিসেম্বর ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসের জন্ম ইংল্যান্ডে। ১৮১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জন্মভূমি ইংল্যান্ডে ৮৭ বছর বয়সে নিদারুণ অর্থকষ্টে মৃত্যুবরণ করেন।
১৮২৮ সালে ভারতবর্ষে গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিক ঘুষের মতো ভয়াবহ ক্যান্সার থেকে প্রশাসনকে রক্ষা করতে নতুন এক কৌশল নেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরিত্রের সততা যাচাই করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন বা অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট (এসিআর) গ্রহণের নিয়ম প্রবর্তন করেন। সেই থেকে এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন আমাদের দেশে প্রচলিত আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ঘুষ প্রকটভাবে বিরাজমান। দেশের সাম্প্রতিক ও অতীত ঘটনাই এর জ্বলন্ত প্রমাণ। ঘুষ এতই মধুর যে, এটি নেয়ার সময় মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। দুর্নীতিগ্রস্ত, মুনাফাখোর ও ঘুষখোর ব্যক্তিরা সবাই হয় আত্মকেন্দ্রিক। নিজেকে ছাড়া তারা কিছুই বোঝেন না। সম্প্রতি ২০০ জন চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত দুর্নীতিপরায়ণ ও ঘুষখোর ব্যক্তির ওপর এক গোপন সমীক্ষা চালিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এসব দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। পার্থিব জীবনেই তারা প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করছেন।
ক্ষণস্থায়ী এ পৃথিবীতে মহান আল্লাহর বিধান মেনে সৎপথে চললেই জীবনে আসে অপার শান্তি। কিন্তু আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে অনেকে দুর্নীতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেন। মুনাফার লোভে ভেজাল মেশান। ঘুষ খান। অঢেল টাকার জোয়ারে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জীবনকে চালিত করেন ক্ষণিকের মোহাচ্ছন্ন এক পঙ্কিলতায়। তারা নিজেদের প্রভু মনে করেন। অথচ আল্লাহই হচ্ছেন আমাদের একমাত্র মান্য। মানুষ কারো প্রভু হতে পারে না। কিন্তু অনেকে নিজেকে তাই ভাবেন। আর বিপর্যয় তখনই অনিবার্য হয়ে ওঠে, নিজে যা না তা দাবি করা।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
jewelwriter53@gmail.com
No comments