তিন শতাধিক নারীর জীবন বদলে গেল যেভাবে by মো. মিজানুর রহমান
বিকল্প
বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে তিন শতাধিক নির্যাতিত নারীকে স্বাভাবিক জীবনে
ফিরিয়ে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপারের
উদ্যোগে গঠিত ‘জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র’। বরগুনার অতি দরিদ্র পরিবারের
অসহায় নারীদের আস্থার প্রতীক এবং আশার আলো এখন ‘জাগরণী নারী সহায়তা
কেন্দ্র’। একইসাথে তিন শতাধিক নারীর জীবন বদলে দিলেন জেলা পুলিশ সুপার বিজয়
বসাক।
বরগুনা শহরের সার্কিট হাউস সংলগ্ন নির্জন মাঠে একাকী একটি মেয়ে। হাতে বিষের বোতল। কয়েকজন খেয়াল করে বুঝলেন হয়তো আত্মহত্যার প্রস্তুতি। খবর চলে যায় জেলা পুলিশের কাছে। কয়েকজন নারী পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে বিষের বোতলসহ মেয়েটিকে আনা হয় বরগুনা জেলা পুলিশের ‘জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রে’।
মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা গেল, তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে তার বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন সংসার করছেন। মেয়েটি মেধাবী শিক্ষার্থী। মাস্টার্সে পড়ছেন তিনি। টিউশনি করে কোনোমতে চলে দুই বোনের পড়াশোনা। কিন্তু এর মধ্যেই এর ওর উত্ত্যক্ত করা। কথা শোনার বিষয়টি তো আছেই। একে তো নারী, তার ওপর পায়ে পায়ে তার নারী হওয়ার যন্ত্রণা। এমন পরিস্থিতিতে বিষপানে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তরুণীটি। হতাশাগ্রস্ত সেই মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে তার দুঃখ ভুলিয়ে দেয় জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের একটি দল। বরগুনার পুলিশ সুপার নিজেও কথা বলেন মেয়েটির সঙ্গে। যেকোনো সমস্যায় মেয়েটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। একপর্যায়ে মেয়েটি বুঝতে পারেন তার ভুল। বুঝতে পারেন আত্মহত্যার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই। বুঝতে পারেন- জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে টিকে থাকার নামই জীবন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তিনি। ঠিক এভাবেই মমতার বাঁধনে জড়িয়ে দরিদ্র, বঞ্চিত, অসহায় এবং নির্যাতিত নারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিয়ে অনন্য এক উদাহরণ তৈরি করেছে বরগুনা জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র আট মাসের ব্যবধানে এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নির্যাতনের শৃঙ্খল ছিঁড়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছেন বরগুনার বিভিন্ন গ্রামের তিন শতাধিক দরিদ্র অসহায় নারী।
বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের যেকোনো জেলার চেয়ে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় নারী নির্যাতনের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। নানা কারণে এ জেলায় নারী নির্যাতন মামলার সংখ্যাও অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই দাম্পত্য জীবন এবং পারিবারিক কলহের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এখানে নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। সেসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেঙে যায় সংসার। মামলা হয় নারী নির্যাতনের। মাসের পর মাস ধরে চলে মামলা। নারী অধিকার নিয়ে প্রায় দু’দশক ধরে বরগুনায় কর্মরত একটি উন্নয়ন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা, অসেচতনতা এবং দারিদ্র্যের কারণে ভুক্তভোগী অসহায় নারীরা সঠিকভাবে আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন না। পারেন না নিজেদের নির্যাতন বা ভোগান্তির কথা খুলে বলতেও। ফলে একদিকে বিচারকাজ যেমন প্রলম্বিত হয়, তেমনি ভোগান্তি বাড়ে নারীদের। আর একবার নারীরা যখন তাদের স্বামী বা শ্বশুরকুলের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেন, তখন আর ওই স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা ওই নারীকে সাধারণত মেনে নিতে চান না। ফলে রুদ্ধ হয়ে আসে সমঝোতার পথও। এসব বিবেচনায়, অসহায় দরিদ্র নারীদের পাশে থেকে আইনি পরামর্শের পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নারী নির্যাতনের হার কমিয়ে আনতে বরগুনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপন করা হয় জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র।
জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের একজন সুবিধাভোগী বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিণ মনসাতলী গ্রামের দরিদ্র গৃহবধূ মৌসুমী (ছদ্ম নাম) বলেন, নেশাগ্রস্ত স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি ছিলেন মৃত্যুপথযাত্রী। একসময় মৌসুমীর এক স্বজনের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ডেকে পাঠায় জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র। দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগী দম্পতির ঘনিষ্ঠ হয়ে যান জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী জেলা পুলিশের নারী উপপরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌস। পরে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের শাসন-বারণ আর পরামর্শের ভিত্তিতে একসময় নিজের ভুল বুঝতে পারেন তার স্বামী। মৌসুমী বলেন, বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছেন তিনি। জানা যায়, বরগুনা জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অধীনে এ সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন একজন নারী উপপরিদর্শক (এসআই)। রয়েছে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি অভিযোগ গ্রহণ কমিটি। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতার জন্যে স্থানীয় সমাজসেবক, উন্নয়নকর্মী, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও নারীনেত্রীসহ ২৫ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক দলও রয়েছে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সঙ্গে।
বরগুনা জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী এসআই জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর থেকে আজ অবধি মাত্র আট মাসের মধ্যে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে তারা ২১৩টি পারিবারিক নির্যাতন, আটটি যৌতুক, ১৯টি ইভটিজিং, ১৬টি বাল্যবিবাহসহ প্রায় তিন শতাধিক অভিযোগের কার্যকরী সমাধান করেছেন। পাশাপাশি সাতটি অভিযোগকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে, নয়টি অভিযোগ লিগ্যাল এইডে পাঠানো হয়েছে এবং এখনও ২১টি অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, সবার আগে সমাজের অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার মুখোমুখি হতে হয় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেই। তাই মামলা পরিচালনার সামর্থ্য নেই অথবা মামলায় আগ্রহী নন এমন দরিদ্র, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশিং সেবার মধ্য দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে।
বরগুনা শহরের সার্কিট হাউস সংলগ্ন নির্জন মাঠে একাকী একটি মেয়ে। হাতে বিষের বোতল। কয়েকজন খেয়াল করে বুঝলেন হয়তো আত্মহত্যার প্রস্তুতি। খবর চলে যায় জেলা পুলিশের কাছে। কয়েকজন নারী পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে বিষের বোতলসহ মেয়েটিকে আনা হয় বরগুনা জেলা পুলিশের ‘জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রে’।
মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা গেল, তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে তার বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন সংসার করছেন। মেয়েটি মেধাবী শিক্ষার্থী। মাস্টার্সে পড়ছেন তিনি। টিউশনি করে কোনোমতে চলে দুই বোনের পড়াশোনা। কিন্তু এর মধ্যেই এর ওর উত্ত্যক্ত করা। কথা শোনার বিষয়টি তো আছেই। একে তো নারী, তার ওপর পায়ে পায়ে তার নারী হওয়ার যন্ত্রণা। এমন পরিস্থিতিতে বিষপানে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তরুণীটি। হতাশাগ্রস্ত সেই মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে তার দুঃখ ভুলিয়ে দেয় জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের একটি দল। বরগুনার পুলিশ সুপার নিজেও কথা বলেন মেয়েটির সঙ্গে। যেকোনো সমস্যায় মেয়েটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। একপর্যায়ে মেয়েটি বুঝতে পারেন তার ভুল। বুঝতে পারেন আত্মহত্যার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই। বুঝতে পারেন- জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে টিকে থাকার নামই জীবন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তিনি। ঠিক এভাবেই মমতার বাঁধনে জড়িয়ে দরিদ্র, বঞ্চিত, অসহায় এবং নির্যাতিত নারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিয়ে অনন্য এক উদাহরণ তৈরি করেছে বরগুনা জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র আট মাসের ব্যবধানে এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নির্যাতনের শৃঙ্খল ছিঁড়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছেন বরগুনার বিভিন্ন গ্রামের তিন শতাধিক দরিদ্র অসহায় নারী।
বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের যেকোনো জেলার চেয়ে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় নারী নির্যাতনের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। নানা কারণে এ জেলায় নারী নির্যাতন মামলার সংখ্যাও অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই দাম্পত্য জীবন এবং পারিবারিক কলহের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এখানে নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। সেসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেঙে যায় সংসার। মামলা হয় নারী নির্যাতনের। মাসের পর মাস ধরে চলে মামলা। নারী অধিকার নিয়ে প্রায় দু’দশক ধরে বরগুনায় কর্মরত একটি উন্নয়ন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা, অসেচতনতা এবং দারিদ্র্যের কারণে ভুক্তভোগী অসহায় নারীরা সঠিকভাবে আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন না। পারেন না নিজেদের নির্যাতন বা ভোগান্তির কথা খুলে বলতেও। ফলে একদিকে বিচারকাজ যেমন প্রলম্বিত হয়, তেমনি ভোগান্তি বাড়ে নারীদের। আর একবার নারীরা যখন তাদের স্বামী বা শ্বশুরকুলের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেন, তখন আর ওই স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা ওই নারীকে সাধারণত মেনে নিতে চান না। ফলে রুদ্ধ হয়ে আসে সমঝোতার পথও। এসব বিবেচনায়, অসহায় দরিদ্র নারীদের পাশে থেকে আইনি পরামর্শের পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নারী নির্যাতনের হার কমিয়ে আনতে বরগুনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপন করা হয় জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র।
জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের একজন সুবিধাভোগী বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিণ মনসাতলী গ্রামের দরিদ্র গৃহবধূ মৌসুমী (ছদ্ম নাম) বলেন, নেশাগ্রস্ত স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি ছিলেন মৃত্যুপথযাত্রী। একসময় মৌসুমীর এক স্বজনের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ডেকে পাঠায় জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র। দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগী দম্পতির ঘনিষ্ঠ হয়ে যান জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী জেলা পুলিশের নারী উপপরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌস। পরে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের শাসন-বারণ আর পরামর্শের ভিত্তিতে একসময় নিজের ভুল বুঝতে পারেন তার স্বামী। মৌসুমী বলেন, বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছেন তিনি। জানা যায়, বরগুনা জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অধীনে এ সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন একজন নারী উপপরিদর্শক (এসআই)। রয়েছে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি অভিযোগ গ্রহণ কমিটি। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতার জন্যে স্থানীয় সমাজসেবক, উন্নয়নকর্মী, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও নারীনেত্রীসহ ২৫ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক দলও রয়েছে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সঙ্গে।
বরগুনা জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী এসআই জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর থেকে আজ অবধি মাত্র আট মাসের মধ্যে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে তারা ২১৩টি পারিবারিক নির্যাতন, আটটি যৌতুক, ১৯টি ইভটিজিং, ১৬টি বাল্যবিবাহসহ প্রায় তিন শতাধিক অভিযোগের কার্যকরী সমাধান করেছেন। পাশাপাশি সাতটি অভিযোগকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে, নয়টি অভিযোগ লিগ্যাল এইডে পাঠানো হয়েছে এবং এখনও ২১টি অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, সবার আগে সমাজের অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার মুখোমুখি হতে হয় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেই। তাই মামলা পরিচালনার সামর্থ্য নেই অথবা মামলায় আগ্রহী নন এমন দরিদ্র, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশিং সেবার মধ্য দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে।
No comments