মালয়েশিয়ার হারানো বিমান: দুই রকম তথ্যে হতাশা, ক্ষোভ
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ৩৭০ উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এতে ওই বিমানের নিখোঁজ আরোহীদের স্বজনেরা হতাশা, সংশয় ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। খবর এএফপি, রয়টার্স ও এপির।
ভারত মহাসাগরের ফরাসি শাসনাধীন লা রেউনিয়ঁ দ্বীপে গত সপ্তাহে ভেসে আসা বিমানের অংশটি ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর বলে গত বুধবার রাতে নিশ্চিত করেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। কিন্তু ফ্রান্সের তদন্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত না করে রাজাকের তুলনায় বেশ সতর্কভাবে বলেছেন, উদ্ধার করা অংশটি (পাখার টুকরো) ওই নিখোঁজ উড়োজাহাজের হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, লা রেউনিয়ঁ দ্বীপে ভেসে আসা পাখার অংশটি এমএইচ৩৭০ বিমানের বলে নিশ্চিত হওয়ার ঘটনাটি ‘বড় অগ্রগতি’। দেশটি গতকাল বৃহস্পতিবার দাবি করে, ফ্ল্যাপেরন নামে পরিচিত অংশটির রং ও রক্ষণাবেক্ষণের তথ্য এমএইচ৩৭০-এর সঙ্গে মিলে গেছে।
নিখোঁজ বিমানটির যাত্রীদের বেশির ভাগই চীনের নাগরিক। তাঁদের স্বজনদের অনেকে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের একাধিক কার্যালয়ের সামনে গতকাল জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অনেকেই বিশ্বাস করছেন না, উদ্ধার করা বিমানের অংশটি আসলেই এমএইচ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ। কারণ, নাজিব রাজাক এটি নিশ্চিত করলেও ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করে কোনো বক্তব্য দেয়নি। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেন ‘তড়িঘড়ি করে’ এ রকম একটি বক্তব্য দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, মাত্র সেদিনই ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বিশেষজ্ঞরা বিমানের পাখার অংশটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। নিখোঁজ আরোহীদের চীনা স্বজনদের অনেকেই এতে ক্ষুব্ধ। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। যৌক্তিক তথ্য পাওয়ার জন্য কেউ কেউ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
বিমানের পাখার অংশটি নিয়ে ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞরা গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো পরীক্ষার কাজ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট গতকাল বলেছেন, এমএইচ৩৭০-রহস্য সমাধানের আরও কাছাকাছি পৌঁছেছেন তাঁরা। ঠিক এলাকাতেই অনুসন্ধান চলছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে গত বছরের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের পথে রওনা হওয়ার পরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সাগরবক্ষসহ বিশাল অঞ্চলে বহু তল্লাশি চালিয়েও বিমানটির কোনো চিহ্ন বা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের লা রেউনিয়ঁ দ্বীপে গত সপ্তাহে একটি বিমানের পাখার ছোট অংশ পাওয়া গেলে ওই রহস্যের সমাধানের ব্যাপারে নতুন আশার সঞ্চার হয়। এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় দুর্ঘটনাগুলোর একটি।
এদিকে মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী লিওউ তিয়ং লাই বলেছেন, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপ থেকে উড়োজাহাজের আসনের গদি, জানালার কাচ, অ্যালুমিনিয়ামের পাত ইত্যাদি জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসব ছোটখাটো জিনিস এমএইচ৩৭০-এর কি না, তা যাচাই করা হয়নি। ফরাসি কর্তৃপক্ষই এ কাজ করবে।
ভারত মহাসাগরের ফরাসি শাসনাধীন লা রেউনিয়ঁ দ্বীপে গত সপ্তাহে ভেসে আসা বিমানের অংশটি ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর বলে গত বুধবার রাতে নিশ্চিত করেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। কিন্তু ফ্রান্সের তদন্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত না করে রাজাকের তুলনায় বেশ সতর্কভাবে বলেছেন, উদ্ধার করা অংশটি (পাখার টুকরো) ওই নিখোঁজ উড়োজাহাজের হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, লা রেউনিয়ঁ দ্বীপে ভেসে আসা পাখার অংশটি এমএইচ৩৭০ বিমানের বলে নিশ্চিত হওয়ার ঘটনাটি ‘বড় অগ্রগতি’। দেশটি গতকাল বৃহস্পতিবার দাবি করে, ফ্ল্যাপেরন নামে পরিচিত অংশটির রং ও রক্ষণাবেক্ষণের তথ্য এমএইচ৩৭০-এর সঙ্গে মিলে গেছে।
নিখোঁজ বিমানটির যাত্রীদের বেশির ভাগই চীনের নাগরিক। তাঁদের স্বজনদের অনেকে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের একাধিক কার্যালয়ের সামনে গতকাল জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অনেকেই বিশ্বাস করছেন না, উদ্ধার করা বিমানের অংশটি আসলেই এমএইচ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ। কারণ, নাজিব রাজাক এটি নিশ্চিত করলেও ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করে কোনো বক্তব্য দেয়নি। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেন ‘তড়িঘড়ি করে’ এ রকম একটি বক্তব্য দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, মাত্র সেদিনই ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বিশেষজ্ঞরা বিমানের পাখার অংশটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। নিখোঁজ আরোহীদের চীনা স্বজনদের অনেকেই এতে ক্ষুব্ধ। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। যৌক্তিক তথ্য পাওয়ার জন্য কেউ কেউ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
বিমানের পাখার অংশটি নিয়ে ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞরা গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো পরীক্ষার কাজ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট গতকাল বলেছেন, এমএইচ৩৭০-রহস্য সমাধানের আরও কাছাকাছি পৌঁছেছেন তাঁরা। ঠিক এলাকাতেই অনুসন্ধান চলছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে গত বছরের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের পথে রওনা হওয়ার পরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সাগরবক্ষসহ বিশাল অঞ্চলে বহু তল্লাশি চালিয়েও বিমানটির কোনো চিহ্ন বা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের লা রেউনিয়ঁ দ্বীপে গত সপ্তাহে একটি বিমানের পাখার ছোট অংশ পাওয়া গেলে ওই রহস্যের সমাধানের ব্যাপারে নতুন আশার সঞ্চার হয়। এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় দুর্ঘটনাগুলোর একটি।
এদিকে মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী লিওউ তিয়ং লাই বলেছেন, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপ থেকে উড়োজাহাজের আসনের গদি, জানালার কাচ, অ্যালুমিনিয়ামের পাত ইত্যাদি জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসব ছোটখাটো জিনিস এমএইচ৩৭০-এর কি না, তা যাচাই করা হয়নি। ফরাসি কর্তৃপক্ষই এ কাজ করবে।
No comments