খালেদার মামলা নিয়ে বিএনপিতে শঙ্কা বাড়ছে by রিয়াদুল করিম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া |
দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিএনপিতে আশঙ্কা বাড়ছে। যেভাবে
দুর্নীতির মামলা চলছে এবং দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা মামলাগুলো সচল করা
হচ্ছে তাতে দ্রুত সরকার তাঁকে সাজা দিতে চাইছে বলে দলের নেতারা আশঙ্কা
করছেন। আবার কেউ কেউ এটিকে দেখছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপিকে চাপে রাখার
কৌশল হিসেবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পাঁচটি মামলা ঝুলছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাগুলো দায়ের করেছিল। মামলাগুলো হলো—জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা ও বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা। এর বাইরে নাশকতার একাধিক মামলায় খালেদা জিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর সোনালি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি মামলায় খালেদা জিয়াকে বিবাদী করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ওই দুই মামলায় ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিচারকাজ চলছে। এরই মধ্যে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে বাদীকে জেরা করা শেষ হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ মামলা দুটো যেভাবে চলছে তাতে দ্রুত এর কার্যক্রম শেষ হতে পারে বলে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দুটি মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে মামলা দুটি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সারা দেশে হাজার হাজার মামলা ঝুলে থাকলেও সরকার এই দুটি মামলার বিচার শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মামলা দুটি অস্থায়ী আদালতে নিয়ে গেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নামে একাধিক মামলা চললেও তা ঝুলে আছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলাগুলো দ্রুত চালানো হচ্ছে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ তারিখ দেওয়া হচ্ছে। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এখনো আশাবাদী, ন্যায় বিচার পাবেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই মামলায় বিচার চলছে। তাঁরা চান স্বাভাবিক গতিতে বিচার চলুক। তাড়াহুড়া করে বিচার শেষ করে রায় দেওয়া হবে ন্যক্কারজনক।
এ দুটি মামলার বাইরে প্রায় সাত বছর ধরে বাকি তিনটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। চলতি বছর মামলাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এখন নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা চলতে বাধা নেই। অবশ্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, তাঁরা আপিলে যাবেন। আর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন।
বিএনপির নেতারা শুরু থেকেই বলে আসছেন, খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করার চেষ্টা করছে সরকার।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, এ সব মামলার ফলে আর কিছু না হোক বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটা অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে। এখন বিএনপি ঘুরপাক খাচ্ছে আদালতে। চেয়ারপারসনকে একটি বড় সময় দিতে হচ্ছে মামলার পেছনে। তাঁর মতে, বিএনপির উচিত ছিল মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করার পাশাপাশি রাজপথে সোচ্চার থাকা। যেহেতু বিএনপি বলছে, এগুলো রাজনৈতিক মামলা, তাই রাজনৈতিকভাবেই এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আর তা করতে হলে রাজপথে থাকতে হবে। কিন্তু এটাও ঠিক এখন বাস্তবতা হলো বিএনপির পক্ষে তা করা দুরূহ। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই দফা আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ হতাশ। চেয়ারপারসনের মতো দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন মামলার আসামি। তাঁদের অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় নাজুক বিএনপিকে আরও চাপে রাখতে দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলায় রায়ও যাতে দ্রুত হয় সরকার সে চেষ্টা করতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে চাপ দেওয়ার জন্য এ সব মামলা। এ সব রাজনৈতিক মামলায় কোনো সারবত্তা নেই। বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে এসব করা হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পাঁচটি মামলা ঝুলছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাগুলো দায়ের করেছিল। মামলাগুলো হলো—জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা ও বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা। এর বাইরে নাশকতার একাধিক মামলায় খালেদা জিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর সোনালি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি মামলায় খালেদা জিয়াকে বিবাদী করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ওই দুই মামলায় ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিচারকাজ চলছে। এরই মধ্যে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে বাদীকে জেরা করা শেষ হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ মামলা দুটো যেভাবে চলছে তাতে দ্রুত এর কার্যক্রম শেষ হতে পারে বলে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দুটি মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে মামলা দুটি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সারা দেশে হাজার হাজার মামলা ঝুলে থাকলেও সরকার এই দুটি মামলার বিচার শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মামলা দুটি অস্থায়ী আদালতে নিয়ে গেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নামে একাধিক মামলা চললেও তা ঝুলে আছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলাগুলো দ্রুত চালানো হচ্ছে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ তারিখ দেওয়া হচ্ছে। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এখনো আশাবাদী, ন্যায় বিচার পাবেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই মামলায় বিচার চলছে। তাঁরা চান স্বাভাবিক গতিতে বিচার চলুক। তাড়াহুড়া করে বিচার শেষ করে রায় দেওয়া হবে ন্যক্কারজনক।
এ দুটি মামলার বাইরে প্রায় সাত বছর ধরে বাকি তিনটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। চলতি বছর মামলাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এখন নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা চলতে বাধা নেই। অবশ্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, তাঁরা আপিলে যাবেন। আর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন।
বিএনপির নেতারা শুরু থেকেই বলে আসছেন, খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করার চেষ্টা করছে সরকার।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, এ সব মামলার ফলে আর কিছু না হোক বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটা অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে। এখন বিএনপি ঘুরপাক খাচ্ছে আদালতে। চেয়ারপারসনকে একটি বড় সময় দিতে হচ্ছে মামলার পেছনে। তাঁর মতে, বিএনপির উচিত ছিল মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করার পাশাপাশি রাজপথে সোচ্চার থাকা। যেহেতু বিএনপি বলছে, এগুলো রাজনৈতিক মামলা, তাই রাজনৈতিকভাবেই এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আর তা করতে হলে রাজপথে থাকতে হবে। কিন্তু এটাও ঠিক এখন বাস্তবতা হলো বিএনপির পক্ষে তা করা দুরূহ। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই দফা আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ হতাশ। চেয়ারপারসনের মতো দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন মামলার আসামি। তাঁদের অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় নাজুক বিএনপিকে আরও চাপে রাখতে দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলায় রায়ও যাতে দ্রুত হয় সরকার সে চেষ্টা করতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে চাপ দেওয়ার জন্য এ সব মামলা। এ সব রাজনৈতিক মামলায় কোনো সারবত্তা নেই। বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে এসব করা হচ্ছে।
No comments