ব্রাজিল বিশ্বকাপে বিপ্লব by মতিউর রহমান চৌধুরী
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ এমন কিছু নজির স্থাপন
করেছে, যা তাকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে তুলেছে। এর অনেক ধ্রুপদী দিক যেমন আছে
তেমনি অছে লঘু রসাত্মক। যেমন দেখা গেছে নেইমার রেফারির সঙ্গে করমর্দন
করছেন। কিন্তু তা কখন? রেফারি যখন ব্রাজিলের পক্ষে সংশয়পূর্ণ বাঁশি
বাজিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাসিখুশি করমর্দন এবারের বিশ্বকাপের খুব
চেনা দৃশ্য নয়। তবে এটা সহজেই নজরে এসেছে যে, এক ব্যক্তি দু’রঙের বুট পরে
মাঠে নেমেছেন। এই রোগ গোলরক্ষকদের গ্লাভসেও ছড়িয়েছে। একজন গোলরক্ষক। দুই
হাতে দুই রঙের হাত মোজা। ব্রাজিল এবারে অনেক ক্ষেত্রেই বিপ্লব এনেছে।
রেফারি সাদা স্প্রে করে দিচ্ছেন। এটা কিন্তু ঐচ্ছিক নিয়ম। ‘পার্সিং’ ক্রেজ
বেশ চোখে পড়েছে। পার্সিং হলো ডাইভরত অবস্থায় হেড দেয়া। ব্রাজুকা নিয়েও
অনেক গরিমা করার আছে। কারণ এটা একেবারে গোল নয়। আবার খুব হালকা নয়। যথার্থ
বল পেয়েছে বিশ্বকাপ।
কোচদের
করণীয় কি হবে তারও নয়া পথ বাতলেছে ব্রাজিল। কোচরা খেলার কি কৌশল হবে তা
ঠিক করতে তাঁর হাতে যথেষ্ট সময় নেই। সেই মিথ ভেঙে গেছে। চিলির জর্জ
সামপোলি, মেক্সিকোর মিগুয়েল হেরেরা, আমেরিকার ক্লিনসম্যান ও জার্মানির
জোয়াকিম লো দেখিয়ে দিয়েছেন কোচের দায়িত্ব কতটা প্রশস্ত হতে পারে। লো নিজেই
ট্যাকটিক্যাল পরিকল্পনা করেছেন। যেন তিনি নিজেই ক্লাবটা পরিচালনা করছেন।
ইংল্যান্ডের কোচ সম্পর্কে অবশ্য সেটা বলা যাবে না।
স্পেন গুঁড়িয়ে গেছে বলেই ‘টিকি-টাকি’ মারা যায়নি। তাদের প্রতিপক্ষরা তাদের ব্যর্থ করে দিতে যতটা ক্ষিপ্র ছিল, সেটা রেখে দিতে তাদের তেমন প্রস্তুতি ছিল না। যখন তারা বুঝেছে তখন তারা প্ল্যান বি শুরু করেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরেকটি মিথ ভেঙে গেছে। টিম কেবল প্রতিপক্ষ ব্যূহ ছিন্নভিন্ন করতেই মনোযোগী হবে। জয়লাভের জন্য তার অধিক সময় ধরে বল নিজেদের দখলে রাখার দরকার নেই। ফিফার টেকনিক্যাল কমিটি ইতিমধ্যে কতিপয় টিমের ‘দুঃসাহসী’ কৌশলকে সন্দেহের চোখে দেখছে। তবে জার্মানি বনাম ঘানা এবং যুক্তরাষ্ট্র বনাম বেলজিয়াম প্রমাণ করেছে যে, যারা সাহসী তারাই শ্রেষ্ঠ।
নতুন কিছু করো না হয় মরো। বিশ্বকাপের এই হলো ট্যাকটিক্যাল মন্ত্র। ইংল্যান্ড সে কারণেই হারলো। কারণ তারা ৪-২-৩-১ ফরমেশনে ঠায় আঁকড়ে থাকলো। একটুও পরিবর্তন আনলো না। কিন্তু অনেক টিম কখনও ৩-৫-২ বা ৪-৩-৩ ফরমেশনের বৈচিত্র্য ও চমক দুই উপহার দিয়েছে। জার্মানি তো স্ট্রাইকার ছাড়াই ৪-৩-৩ এবং চিলি ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলে চমকে দিয়েছে। কলম্বিয়া ৪-২-৩-১ আবার ৪-১-৪-১ কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছে। হল্যান্ডের লুইস ফন গাল নাটকীয় পরিবর্তন এনে মাস্টারক্লাস খেলা উপহার দিয়েছেন। স্পেনের বিরুদ্ধে খেলায় তিনি তাঁর টিমকে ৩-৫-২ থেকে সরিয়ে ৫-৩-২ করেছেন। আর এটাই বাস্তবতা যে, ডাচ্রা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে।
গোলরক্ষা মানে ত্রাণকর্তা। মেসি ও নেইমারদের মতো সাক্ষাৎ যমদূতদের তারাই যম। আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির ম্যানুয়েল নিউয়ার চমৎকার শিল্পকর্ম উপহার দিয়েছেন। জার্মান কোচ জোয়াকিম লো তাঁকে ঠিকই বলেছেন, লিবারো। নয়্যার কেবল রক্ষণাত্মক খেলা খেলেছেন তা-ই নয়, তিনি আক্রমণাত্মক খেলা খেলেছেন। তাঁর লং শটের যথার্থতা ছিল অসাধারণ। তবে এই বিশ্বকাপে তিনি একা নন। ফ্রান্সের হুগো লরিসও যথেষ্ট সাহসী নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন।
মধ্যমাঠে দ্বিমুখী কেন্দ্রবিন্দু সত্যি কি হওয়ার নয়? ২০১০ সালের বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট স্পেন, জার্মানি, হল্যান্ড ও উরুগুয়ে মধ্যমাঠে এই দ্বিমুখী কেন্দ্রবিন্দুর (ফুটবলের পরিভাষায় যাকে বলে ডাবল পিভট) কৌশল অবলম্বন করেছে। তিন ‘ইউরো’ টিম ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলেছে। উরুগুয়ে ৪-৪-২ এর চেয়ে বেশি। কিন্তু তারা দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারকে সামনে বাড়তে বারণ করেছে। এর ফলে তাদের আক্রমণ ঘটেছে ৪-২-৪ ফরমেশনে। স্পেন গত এক দশক ধরে ৪-২-৩-১ খেলছে। এখন তারা বুঝতে পারছে যে, তারা সেকেলে হতে চলেছে। কারণ দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সহজেই কোন ত্রিভুজ আক্রমণে কুপোকাত হতে পারেন, যেটা দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপ এটাও দেখিয়েছে যে, মধ্যমাঠের সেই তারকাজোড় যদি হন স্টিভেন জেরার্ড ও জাবি অলোনসোর মতো মন্থরগতির কেউ তাহলে ‘ডাবল পিভটে’ ধরা খেতেই হবে।
এটা পরিহাসজনক যে, একটি বিশ্বকাপ কেবল চার বছর অন্তর সেরা তারকা খেলুড়েদের মহাআসর বসে বলেই বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ হয়ে ওঠে না। বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার সর্বস্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যের উপকরণ হয়ে ওঠার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে ছাপিয়ে যেতে পারে কেবল তখনই যখন খেলাটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে। আর তার প্রাণভোমরা হলো অ্যাটাকিং পে। চারদিকে তারকা গিজ গিজ করছে। কিন্তু রোবেন ও ফন পার্সি, করিম বেনজেমা, রোনালদো, নেইমার ও মেসিরা না থাকলে কি হতো? এক নেইমার নেই বলে বিশ্ব জুড়ে কত আহাজারি। যে ক্রন্দনরোল আকাশে, তার প্রকৃত আহাজারি আসলে বিশ্বকাপ থেকে অ্যাটাকিং-এর কমতি হবে বলেই। নয় নম্বর তারকাটি এখন আর কেবল গোল-লোভী ব্যক্তি নন। বরং তাঁর এই পরিচয় বড় হয়ে উঠেছে যে, তিনি নিঃস্বার্থ, পরিশ্রমী এক ঘোড়া, যার প্রচ- তাড়া এবং প্রতিপক্ষকে তাড়ানো, আর বলকে বাগে রেখে সতীর্থদের জন্য ঝোপ বুঝে কোপ মারার ফন্দি বের করে দেয়া। ব্রাজিলের ফ্রেড এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি গোল দিতে তাড়াহুড়ো করেননি। বরং নেইমারকে দিয়ে গোল দেয়ানোর প্রতি তাঁর অনবদ্য ঝোঁক প্রকাশ পেয়েছে। গঞ্জালো হিগুয়ানকেও মেসির জন্য ঠিক একই ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া এবারের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের মতো অনেককেই নতুন করে ভাবতে শেখাবে। যেমন ইংল্যান্ড ভাবতে বসবে, আরে আমাদের টিমে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের তারকারা আছে, কিন্তু চিলিয়ান, কলম্বিয়ান ও কোস্টারিকানরা নেই কেন!
এবারের কাপে কতিপয় দেশ তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে দিয়ে খেলিয়েছে। আবার অনেকেই মাত্র একজন মিডফিল্ডার দিয়ে কাজ সেরেছেন। ফ্রান্সের রাফায়েল ভারেন, উরুগুয়ের হোসে হিমেনেথ কোস্টারিকার গঞ্জালেস মুগ্ধ করেছেন। তবে নবীন না প্রবীণ কারা চৌকস? মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কেজ ও কলম্বিয়ার মারিও ইয়াপসের মতো প্রবীণ খেলোয়াড়রা প্রমাণ রেখেছেন পুরনো চালই ভাতে বাড়ে।
স্পেন গুঁড়িয়ে গেছে বলেই ‘টিকি-টাকি’ মারা যায়নি। তাদের প্রতিপক্ষরা তাদের ব্যর্থ করে দিতে যতটা ক্ষিপ্র ছিল, সেটা রেখে দিতে তাদের তেমন প্রস্তুতি ছিল না। যখন তারা বুঝেছে তখন তারা প্ল্যান বি শুরু করেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরেকটি মিথ ভেঙে গেছে। টিম কেবল প্রতিপক্ষ ব্যূহ ছিন্নভিন্ন করতেই মনোযোগী হবে। জয়লাভের জন্য তার অধিক সময় ধরে বল নিজেদের দখলে রাখার দরকার নেই। ফিফার টেকনিক্যাল কমিটি ইতিমধ্যে কতিপয় টিমের ‘দুঃসাহসী’ কৌশলকে সন্দেহের চোখে দেখছে। তবে জার্মানি বনাম ঘানা এবং যুক্তরাষ্ট্র বনাম বেলজিয়াম প্রমাণ করেছে যে, যারা সাহসী তারাই শ্রেষ্ঠ।
নতুন কিছু করো না হয় মরো। বিশ্বকাপের এই হলো ট্যাকটিক্যাল মন্ত্র। ইংল্যান্ড সে কারণেই হারলো। কারণ তারা ৪-২-৩-১ ফরমেশনে ঠায় আঁকড়ে থাকলো। একটুও পরিবর্তন আনলো না। কিন্তু অনেক টিম কখনও ৩-৫-২ বা ৪-৩-৩ ফরমেশনের বৈচিত্র্য ও চমক দুই উপহার দিয়েছে। জার্মানি তো স্ট্রাইকার ছাড়াই ৪-৩-৩ এবং চিলি ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলে চমকে দিয়েছে। কলম্বিয়া ৪-২-৩-১ আবার ৪-১-৪-১ কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছে। হল্যান্ডের লুইস ফন গাল নাটকীয় পরিবর্তন এনে মাস্টারক্লাস খেলা উপহার দিয়েছেন। স্পেনের বিরুদ্ধে খেলায় তিনি তাঁর টিমকে ৩-৫-২ থেকে সরিয়ে ৫-৩-২ করেছেন। আর এটাই বাস্তবতা যে, ডাচ্রা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে।
গোলরক্ষা মানে ত্রাণকর্তা। মেসি ও নেইমারদের মতো সাক্ষাৎ যমদূতদের তারাই যম। আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির ম্যানুয়েল নিউয়ার চমৎকার শিল্পকর্ম উপহার দিয়েছেন। জার্মান কোচ জোয়াকিম লো তাঁকে ঠিকই বলেছেন, লিবারো। নয়্যার কেবল রক্ষণাত্মক খেলা খেলেছেন তা-ই নয়, তিনি আক্রমণাত্মক খেলা খেলেছেন। তাঁর লং শটের যথার্থতা ছিল অসাধারণ। তবে এই বিশ্বকাপে তিনি একা নন। ফ্রান্সের হুগো লরিসও যথেষ্ট সাহসী নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন।
মধ্যমাঠে দ্বিমুখী কেন্দ্রবিন্দু সত্যি কি হওয়ার নয়? ২০১০ সালের বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট স্পেন, জার্মানি, হল্যান্ড ও উরুগুয়ে মধ্যমাঠে এই দ্বিমুখী কেন্দ্রবিন্দুর (ফুটবলের পরিভাষায় যাকে বলে ডাবল পিভট) কৌশল অবলম্বন করেছে। তিন ‘ইউরো’ টিম ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলেছে। উরুগুয়ে ৪-৪-২ এর চেয়ে বেশি। কিন্তু তারা দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারকে সামনে বাড়তে বারণ করেছে। এর ফলে তাদের আক্রমণ ঘটেছে ৪-২-৪ ফরমেশনে। স্পেন গত এক দশক ধরে ৪-২-৩-১ খেলছে। এখন তারা বুঝতে পারছে যে, তারা সেকেলে হতে চলেছে। কারণ দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সহজেই কোন ত্রিভুজ আক্রমণে কুপোকাত হতে পারেন, যেটা দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপ এটাও দেখিয়েছে যে, মধ্যমাঠের সেই তারকাজোড় যদি হন স্টিভেন জেরার্ড ও জাবি অলোনসোর মতো মন্থরগতির কেউ তাহলে ‘ডাবল পিভটে’ ধরা খেতেই হবে।
এটা পরিহাসজনক যে, একটি বিশ্বকাপ কেবল চার বছর অন্তর সেরা তারকা খেলুড়েদের মহাআসর বসে বলেই বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ হয়ে ওঠে না। বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার সর্বস্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যের উপকরণ হয়ে ওঠার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে ছাপিয়ে যেতে পারে কেবল তখনই যখন খেলাটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে। আর তার প্রাণভোমরা হলো অ্যাটাকিং পে। চারদিকে তারকা গিজ গিজ করছে। কিন্তু রোবেন ও ফন পার্সি, করিম বেনজেমা, রোনালদো, নেইমার ও মেসিরা না থাকলে কি হতো? এক নেইমার নেই বলে বিশ্ব জুড়ে কত আহাজারি। যে ক্রন্দনরোল আকাশে, তার প্রকৃত আহাজারি আসলে বিশ্বকাপ থেকে অ্যাটাকিং-এর কমতি হবে বলেই। নয় নম্বর তারকাটি এখন আর কেবল গোল-লোভী ব্যক্তি নন। বরং তাঁর এই পরিচয় বড় হয়ে উঠেছে যে, তিনি নিঃস্বার্থ, পরিশ্রমী এক ঘোড়া, যার প্রচ- তাড়া এবং প্রতিপক্ষকে তাড়ানো, আর বলকে বাগে রেখে সতীর্থদের জন্য ঝোপ বুঝে কোপ মারার ফন্দি বের করে দেয়া। ব্রাজিলের ফ্রেড এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি গোল দিতে তাড়াহুড়ো করেননি। বরং নেইমারকে দিয়ে গোল দেয়ানোর প্রতি তাঁর অনবদ্য ঝোঁক প্রকাশ পেয়েছে। গঞ্জালো হিগুয়ানকেও মেসির জন্য ঠিক একই ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া এবারের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের মতো অনেককেই নতুন করে ভাবতে শেখাবে। যেমন ইংল্যান্ড ভাবতে বসবে, আরে আমাদের টিমে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের তারকারা আছে, কিন্তু চিলিয়ান, কলম্বিয়ান ও কোস্টারিকানরা নেই কেন!
এবারের কাপে কতিপয় দেশ তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে দিয়ে খেলিয়েছে। আবার অনেকেই মাত্র একজন মিডফিল্ডার দিয়ে কাজ সেরেছেন। ফ্রান্সের রাফায়েল ভারেন, উরুগুয়ের হোসে হিমেনেথ কোস্টারিকার গঞ্জালেস মুগ্ধ করেছেন। তবে নবীন না প্রবীণ কারা চৌকস? মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কেজ ও কলম্বিয়ার মারিও ইয়াপসের মতো প্রবীণ খেলোয়াড়রা প্রমাণ রেখেছেন পুরনো চালই ভাতে বাড়ে।
No comments