সাত খুনের মামলা-পুলিশের সহযোগিতা নিশ্চিত করুন
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার তদন্ত বস্তুত থেমে রয়েছে। এর ফলে জনমনে এমন আশঙ্কা আরও প্রকট হবে যে এই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পার পেয়ে যেতে পারেন; কারণ, তাঁরা ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী। কিন্তু সরকারের মনে রাখা উচিত যে হত্যাকারীদের বিচার ও আইনানুগ শাস্তির পক্ষে প্রবল জনমত রয়েছে। মামলাটির তদন্ত-প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুতগতিতে শেষ করে বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া না হলে আইনের শাসনের প্রতি সরকারের অঙ্গীকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
আদালতে এই মামলার চার আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির অনুলিপি নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সিআইডিকে না দেওয়ার ফলে মামলাটির তদন্তে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার দ্রুত নিরসন ঘটানো প্রয়োজন। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সিআইডি কর্তৃপক্ষ আজ আদালতে যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেবে, সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিআইডি সেই প্রতিবেদনে আদালতকে জানাবে যে তাদের পক্ষে এই মামলার তদন্ত করা সম্ভব নয়; কারণ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে না।
এটি একটি অদ্ভুত রকমের অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি: পুলিশেরই দুটি পৃথক কর্তৃপক্ষের যেখানে সহযোগিতার ভিত্তিতে আইন প্রয়োগের পথ সুগম করার পরিবর্তে একটি পক্ষ অন্য পক্ষকে অসহযোগিতা করছে, আর ওই পক্ষটি নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো রাষ্ট্রের আইনের শাসন ঠিকমতো চলতে পারে না; অপরাধের শিকার নাগরিকেরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন।
র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ চার আসামি আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেগুলোই এই মামলার মূল ভিত্তি। ওই সব জবানবন্দিতে রাজনৈতিক নেতা ও র্যাবের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নাম আছে বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সিআইডিকে সেগুলোর অনুলিপি দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আদালত পুলিশকে অনুলিপি প্রদানের আদেশ দিলে ভালো হয়। নইলে যে উদ্দেশ্যে আদালত সিআইডিকে এই মামলার তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছিলেন, তা অর্থহীন হয়ে যাবে।
আদালতে এই মামলার চার আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির অনুলিপি নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সিআইডিকে না দেওয়ার ফলে মামলাটির তদন্তে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার দ্রুত নিরসন ঘটানো প্রয়োজন। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সিআইডি কর্তৃপক্ষ আজ আদালতে যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেবে, সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিআইডি সেই প্রতিবেদনে আদালতকে জানাবে যে তাদের পক্ষে এই মামলার তদন্ত করা সম্ভব নয়; কারণ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে না।
এটি একটি অদ্ভুত রকমের অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি: পুলিশেরই দুটি পৃথক কর্তৃপক্ষের যেখানে সহযোগিতার ভিত্তিতে আইন প্রয়োগের পথ সুগম করার পরিবর্তে একটি পক্ষ অন্য পক্ষকে অসহযোগিতা করছে, আর ওই পক্ষটি নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো রাষ্ট্রের আইনের শাসন ঠিকমতো চলতে পারে না; অপরাধের শিকার নাগরিকেরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন।
র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ চার আসামি আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেগুলোই এই মামলার মূল ভিত্তি। ওই সব জবানবন্দিতে রাজনৈতিক নেতা ও র্যাবের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নাম আছে বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সিআইডিকে সেগুলোর অনুলিপি দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আদালত পুলিশকে অনুলিপি প্রদানের আদেশ দিলে ভালো হয়। নইলে যে উদ্দেশ্যে আদালত সিআইডিকে এই মামলার তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছিলেন, তা অর্থহীন হয়ে যাবে।
No comments