সাকিবের নির্বাসন-প্রক্রিয়া না মেনে গুরুদণ্ড কেন?
দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের শাস্তি তিনি একা নন, তাঁর লাখো-কোটি ভক্তও অনুভব করছেন।অসদাচরণের শাস্তি নিয়ে যতটা প্রশ্ন, তার চেয়ে বেশি প্রশ্ন শাস্তির মাত্রা ও প্রক্রিয়া নিয়ে। ক্রিকেটে পেশাদারি আনার বদলে তা বুমেরাং হয় কি না, সেটাই ভাবার বিষয়।
সাকিব আল হাসান দেশের অমূল্য সম্পদ। তাঁকে সামলানো ও আগলানোর দায়িত্ব ছিল ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু তারা সাকিবকে সামলানোয় যত আগ্রহী, আগলে রেখে শেখানোয় ততটা নিষ্ঠাবান কি? এ ঘটনা ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের উন্মোচন ঘটাল। মনে রাখা দরকার, আইন কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করে শাস্তি দেয় না, শাস্তি সেখানে ন্যায়ের অংশ। সাকিবকেও যেন কারও প্রতিপক্ষ মনে করা না হয়।
সাকিবের শাস্তি হয়েছে বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের করা চুক্তির শর্তে। আচরণবিধি ও শৃঙ্খলাসম্পর্কিত বিধির আওতায় তাঁর ‘বিচার’ হওয়াই ছিল সংগত। শৃঙ্খলা কমিটিতে শুনানি, ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির পর্যালোচনার পাশাপাশি অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। তাহলে বোর্ডের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজনও হতো না।
তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে অতীতের বিভিন্ন ‘ঘটনা’র মিলিত ফল হিসেবে; কেবল লিখিত অনুমতিপত্র না নিয়ে বিদেশে খেলতে যাওয়ার জন্য নয়। অথচ কিছু শাস্তি তিনি আগেই ভোগ করেছেন। তাই সেসব প্রসঙ্গ টেনে বর্তমানের শাস্তিকে ‘চরম’ করা কেন?
দ্বিতীয়ত, ক্রিকেট বোর্ড গোড়া থেকেই দায়িত্বশীলভাবে শাসন-অনুশাসন করলে ঘটনা এত বড় হতো না। সাকিব তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন।মৌখিক অনুমতি প্রত্যাহারের তাৎক্ষণিক শাস্তি মেনে দেশে ফিরেও এসেছেন। শ্রীলঙ্কার কোচ হাথুরুসিংহের কাছে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য অনুতপ্তও হয়েছেন। এত কিছুর পরে এমন গুরুদণ্ড দেওয়া জরুরি হলো কেন? পাশাপাশি ক্রিকেট পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে নিয়েও অভিযোগের বহর বাড়ছে। এ ব্যাপারেও স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন।
বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেট বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সাকিব আল হাসানের গুরুদণ্ড দেশের ক্রিকেটকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।
সাকিব আল হাসান দেশের অমূল্য সম্পদ। তাঁকে সামলানো ও আগলানোর দায়িত্ব ছিল ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু তারা সাকিবকে সামলানোয় যত আগ্রহী, আগলে রেখে শেখানোয় ততটা নিষ্ঠাবান কি? এ ঘটনা ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের উন্মোচন ঘটাল। মনে রাখা দরকার, আইন কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করে শাস্তি দেয় না, শাস্তি সেখানে ন্যায়ের অংশ। সাকিবকেও যেন কারও প্রতিপক্ষ মনে করা না হয়।
সাকিবের শাস্তি হয়েছে বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের করা চুক্তির শর্তে। আচরণবিধি ও শৃঙ্খলাসম্পর্কিত বিধির আওতায় তাঁর ‘বিচার’ হওয়াই ছিল সংগত। শৃঙ্খলা কমিটিতে শুনানি, ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির পর্যালোচনার পাশাপাশি অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। তাহলে বোর্ডের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজনও হতো না।
তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে অতীতের বিভিন্ন ‘ঘটনা’র মিলিত ফল হিসেবে; কেবল লিখিত অনুমতিপত্র না নিয়ে বিদেশে খেলতে যাওয়ার জন্য নয়। অথচ কিছু শাস্তি তিনি আগেই ভোগ করেছেন। তাই সেসব প্রসঙ্গ টেনে বর্তমানের শাস্তিকে ‘চরম’ করা কেন?
দ্বিতীয়ত, ক্রিকেট বোর্ড গোড়া থেকেই দায়িত্বশীলভাবে শাসন-অনুশাসন করলে ঘটনা এত বড় হতো না। সাকিব তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন।মৌখিক অনুমতি প্রত্যাহারের তাৎক্ষণিক শাস্তি মেনে দেশে ফিরেও এসেছেন। শ্রীলঙ্কার কোচ হাথুরুসিংহের কাছে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য অনুতপ্তও হয়েছেন। এত কিছুর পরে এমন গুরুদণ্ড দেওয়া জরুরি হলো কেন? পাশাপাশি ক্রিকেট পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে নিয়েও অভিযোগের বহর বাড়ছে। এ ব্যাপারেও স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন।
বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেট বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সাকিব আল হাসানের গুরুদণ্ড দেশের ক্রিকেটকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।
No comments