সেপ্টেম্বরের শেষসপ্তাহে গাজীপুর উপনির্বাচন

আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে গাজীপুর-৪ আসন উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় গাজীপুর-৪ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ।


বুধবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। ফলে ২০১০ সালের পর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া কেউই এই উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। অর্থাৎ হালনাগাদে অন্তর্ভূক্ত নতুন ভোটাররা এ উপনির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
সিইসি বলেন, ঈদের আগেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ভাবছে কমিশন। তবে রংপুর সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনও যথাসময়ে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা সম্পর্কে সিইসি বলেন, আইন অনুযায়ী সকল নাগরিকের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র না পৌঁছানো পর্যন্ত এটা চাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্র চাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দেবে কমিশন।
সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে গাজীপুর-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের পদত্যাগের কারণে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনী বাধ্যবাধকতা আছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ জুন গাজীপুরের ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়। কিন্তু হালনাগাদ তালিকা চূড়ান্ত করে এ নির্বাচন করতে গেলে যথাসময়ে অর্থাৎ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। তাই হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটাররা এ উপনির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।

No comments

Powered by Blogger.