এবার অন্য গল্প শোনালেন গোধরার ‘প্রত্যক্ষদর্শী’
ইলিয়াস হোসেন মোল্লা। বয়স ৩২ বছর। ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের গুজরাটের গোধরায় ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অগ্নিসংযোগে ব্যাপক প্রাণহানির প্রত্যক্ষদর্শী। অন্তত নথিপত্র তাই বলছে। কিন্তু কথিত প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মোল্লা বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি ওই ঘটনার সময় ছিলেন বহু দূরের মুম্বাই শহরে। জোর করে তাঁকে এখন প্রত্যক্ষদর্শী বানানোর অপচেষ্টা চলছে।
২০০২ সালে ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ওই ঘটনায় ঝরে গিয়েছিল ৫৮টি প্রাণ। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন হিন্দুধর্মাবলম্বী। গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাটজুড়ে মুসলিমদের ওপর চালানো হয় ব্যাপক প্রতিশোধমূলক হামলা। প্রাণ হারান অনেক মুসলিম।
গুজরাট পুলিশ ও সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ তদন্ত দলের (এসআইটি) কাছে ইলিয়াস মোল্লা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওই বিশেষ তদন্ত দলটি সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড-পরবর্তী ঘটনাবলি তদন্ত করছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এসআইটিকে সহায়তাকারী পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক গোধরার বি ডিভিশন পুলিশ স্টেশন অভিযোগ করেন, ইলিয়াস মোল্লা সার্কিট হাউস থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁকে ওই সার্কিট হাউসে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখা হয়েছিল। ওই দিনই আদালতে হলফ করে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল ইলিয়াস মোল্লার।
কিন্তু প্রকৃত গল্প আসলে অন্য রকম। ইলিয়াস মোল্লা বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি আসলে নিখোঁজ হননি। ইলিয়াস মোল্লা এখন দিল্লিতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থান করছেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাত্কার দিয়ে যাচ্ছেন।
ইলিয়াস মোল্লা বলেন, যেদিন গোধরা কাণ্ড ঘটেছিল, সেদিন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই তিনি ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও নন। ইলিয়াস বলেন, তিনি নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন না। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। ইলিয়াস মোল্লার দাবি, নির্দেশিত পথে আদালতে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার জন্য এসআইটিকে সহায়তাকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি বলেন, তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক নন, তাই তিনি পালিয়েছেন। তিনি এখন আদালতের সামনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে চান।
ইলিয়াস বলেছেন, এসআইটির প্রধান আর কে রাঘবন ও গোধরা সবরমতি মামলা পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট আর প্যাটেলের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্সবার্তায় নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
ইলিয়াস মোল্লা বলেন, তিনি জিজে-জিইউ-৭৪৪৭ নম্বরের একটি ট্রাকের চালকের সহকারী ছিলেন। গত ২০০২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাকের চালক ইরফান উদালিয়াসহ তিনি মুম্বাই যান। সেখান থেকেই তাঁরা গোধরা হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে জানতে পারেন।
ইলিয়াসের অভিযোগ, ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর ২০০২ সালের ১৪ জুলাই গোধরা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার হুমকি দিয়ে অনেকগুলো স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতিতে তাঁকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। ওই স্বীকারোক্তির মধ্যে ছিল তিনি সবরমতি এক্সপ্রেসের চেইনে টান দিয়েছিলেন এবং দুজন মুসলিমকে এস-৬ বগিতে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখেছেন। ইলিয়াস বলেন, এরপর থেকেই পুলিশের সঙ্গে তাঁর ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে। প্রথমে ওই খেলা ছিল পুলিশের সঙ্গে। এখন তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছে এসআইটিকে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মীরা।
২০০২ সালে ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ওই ঘটনায় ঝরে গিয়েছিল ৫৮টি প্রাণ। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন হিন্দুধর্মাবলম্বী। গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাটজুড়ে মুসলিমদের ওপর চালানো হয় ব্যাপক প্রতিশোধমূলক হামলা। প্রাণ হারান অনেক মুসলিম।
গুজরাট পুলিশ ও সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ তদন্ত দলের (এসআইটি) কাছে ইলিয়াস মোল্লা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওই বিশেষ তদন্ত দলটি সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড-পরবর্তী ঘটনাবলি তদন্ত করছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এসআইটিকে সহায়তাকারী পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক গোধরার বি ডিভিশন পুলিশ স্টেশন অভিযোগ করেন, ইলিয়াস মোল্লা সার্কিট হাউস থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁকে ওই সার্কিট হাউসে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখা হয়েছিল। ওই দিনই আদালতে হলফ করে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল ইলিয়াস মোল্লার।
কিন্তু প্রকৃত গল্প আসলে অন্য রকম। ইলিয়াস মোল্লা বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি আসলে নিখোঁজ হননি। ইলিয়াস মোল্লা এখন দিল্লিতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থান করছেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাত্কার দিয়ে যাচ্ছেন।
ইলিয়াস মোল্লা বলেন, যেদিন গোধরা কাণ্ড ঘটেছিল, সেদিন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই তিনি ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও নন। ইলিয়াস বলেন, তিনি নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন না। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। ইলিয়াস মোল্লার দাবি, নির্দেশিত পথে আদালতে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার জন্য এসআইটিকে সহায়তাকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি বলেন, তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক নন, তাই তিনি পালিয়েছেন। তিনি এখন আদালতের সামনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে চান।
ইলিয়াস বলেছেন, এসআইটির প্রধান আর কে রাঘবন ও গোধরা সবরমতি মামলা পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট আর প্যাটেলের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্সবার্তায় নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
ইলিয়াস মোল্লা বলেন, তিনি জিজে-জিইউ-৭৪৪৭ নম্বরের একটি ট্রাকের চালকের সহকারী ছিলেন। গত ২০০২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাকের চালক ইরফান উদালিয়াসহ তিনি মুম্বাই যান। সেখান থেকেই তাঁরা গোধরা হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে জানতে পারেন।
ইলিয়াসের অভিযোগ, ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর ২০০২ সালের ১৪ জুলাই গোধরা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার হুমকি দিয়ে অনেকগুলো স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতিতে তাঁকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। ওই স্বীকারোক্তির মধ্যে ছিল তিনি সবরমতি এক্সপ্রেসের চেইনে টান দিয়েছিলেন এবং দুজন মুসলিমকে এস-৬ বগিতে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখেছেন। ইলিয়াস বলেন, এরপর থেকেই পুলিশের সঙ্গে তাঁর ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে। প্রথমে ওই খেলা ছিল পুলিশের সঙ্গে। এখন তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছে এসআইটিকে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মীরা।
No comments