ভারত-পাকিস্তান বৈঠক উৎসাহব্যঞ্জক: কৃষ্ণা
ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠককে ‘উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা। গতকাল শুক্রবার ভারতীয় পার্লামেন্টে তিনি এ কথা বলেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সফররত পাকিস্তানি পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশিরের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষ্ণা।
গত বৃহস্পতিবারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারত অভিযোগ করেছে, মুম্বাই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের দুজন সেনা কর্মকর্তা জড়িত। ওই সেনা কর্মকর্তাদের তথ্যসহ একটি দলিল ইসলামাবাদকে সরবরাহ করে তাঁদের হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
গতকাল পার্লামেন্টে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা আবার শুরু করা ও দুই দেশের সরকারের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এ বৈঠক একটি উত্সাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ। তবে আমরা সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করছি।’
এর আগে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষ্ণার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন সালমান বশির। আগের দিনের বৈঠকে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। এ সময় ভারতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার শহীদ মালিক উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় পক্ষ জানায়, মেজর ইকবাল ও মেজর সামির আলী নামের পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর দুজন কর্মকর্তাকে মুম্বাই হামলায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জামাত উদ দাওয়াহর প্রধান হাফিজ সাইদকেও তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।
সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়েছে, ভারত সব মিলিয়ে ৩৩ জন সন্ত্রাসীকে হস্তান্তর করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তানি জঙ্গিদের পাশাপাশি ১৭ জন ভারতীয় মুজাহিদীনের তথ্যও ইসলামাবাদকে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান এসব মুজাহিদীনকে আশ্রয় দিচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব মুম্বাই হামলার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও হাফিজ সাইদ-বিষয়ক দলিলটিকে ‘গল্প’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। কিন্তু ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। আর পাকিস্তান সার্বিক আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্রে প্রতিক্রিয়া: ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে গতকাল মোটামুটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলো। বেশির ভাগ পত্রিকার প্রধান সংবাদ ছিল এই বৈঠক নিয়ে। প্রভাবশালী পত্রিকা ডন-এর প্রধান শিরোনাম ছিল, যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি। ডেইলি টাইমস শিরোনাম করেছে, শান্তি-প্রক্রিয়ার বাধা দূর করতে ব্যর্থ পাকিস্তান, ভারত। দ্য নিউজ লিখেছে, দিল্লির দ্বিমুখী বক্তব্য আলোচনাকে পথভ্রষ্ট করেছে। দ্য নেশন-এর শিরোনাম ছিল, অর্থহীন আলোচনা অর্থহীন পথেই শেষ হলো। দ্য পোস্ট বলেছে, সামগ্রিক আলোচনার ব্যাপারে ভারতের ‘না’।
গত বৃহস্পতিবারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারত অভিযোগ করেছে, মুম্বাই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের দুজন সেনা কর্মকর্তা জড়িত। ওই সেনা কর্মকর্তাদের তথ্যসহ একটি দলিল ইসলামাবাদকে সরবরাহ করে তাঁদের হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
গতকাল পার্লামেন্টে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা আবার শুরু করা ও দুই দেশের সরকারের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এ বৈঠক একটি উত্সাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ। তবে আমরা সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করছি।’
এর আগে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষ্ণার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন সালমান বশির। আগের দিনের বৈঠকে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। এ সময় ভারতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার শহীদ মালিক উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় পক্ষ জানায়, মেজর ইকবাল ও মেজর সামির আলী নামের পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর দুজন কর্মকর্তাকে মুম্বাই হামলায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জামাত উদ দাওয়াহর প্রধান হাফিজ সাইদকেও তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।
সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়েছে, ভারত সব মিলিয়ে ৩৩ জন সন্ত্রাসীকে হস্তান্তর করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তানি জঙ্গিদের পাশাপাশি ১৭ জন ভারতীয় মুজাহিদীনের তথ্যও ইসলামাবাদকে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান এসব মুজাহিদীনকে আশ্রয় দিচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব মুম্বাই হামলার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও হাফিজ সাইদ-বিষয়ক দলিলটিকে ‘গল্প’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। কিন্তু ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। আর পাকিস্তান সার্বিক আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্রে প্রতিক্রিয়া: ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে গতকাল মোটামুটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলো। বেশির ভাগ পত্রিকার প্রধান সংবাদ ছিল এই বৈঠক নিয়ে। প্রভাবশালী পত্রিকা ডন-এর প্রধান শিরোনাম ছিল, যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি। ডেইলি টাইমস শিরোনাম করেছে, শান্তি-প্রক্রিয়ার বাধা দূর করতে ব্যর্থ পাকিস্তান, ভারত। দ্য নিউজ লিখেছে, দিল্লির দ্বিমুখী বক্তব্য আলোচনাকে পথভ্রষ্ট করেছে। দ্য নেশন-এর শিরোনাম ছিল, অর্থহীন আলোচনা অর্থহীন পথেই শেষ হলো। দ্য পোস্ট বলেছে, সামগ্রিক আলোচনার ব্যাপারে ভারতের ‘না’।
No comments