প্রয়োজনে ১৫০ জনকে ডাকবেন ম্যারাডোনা
মার্টিন পালের্মো আবারও ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার কাছে। একটি গোল করে এবং আরেকটি গোল করিয়ে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন আর্জেন্টিনাকে। নিজেদের মাঠে অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল করে পুঁচকে জ্যামাইকার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জিতল ২-১ গোলে। ৮২ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় জয়টি নিয়ে তাই ফেরা হলো না ক্যারিবীয় দেশটির।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে নিয়মিত একাদশের বাইরের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া আর্জেন্টিনা মন ভরাতে পারেনি মার দেল প্লাটার হোসে মারিয়া মিনেলা স্টেডিয়ামের দর্শকদের। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিটের মাথায় খেয়ে বসে গোল। রায়ান জনসনের করা সেই গোলটি হন্যে হয়েও শোধ করতে পারছিল না ম্যারাডোনার দল। ডাগ আউটে বসা ম্যারাডোনা কেবল উশখুশ করছিলেন। ৮৩ মিনিটে হেডে গোল করে সমতা ফেরান দলের দুই পরিচিত মুখের একজন—পালের্মোই। পালের্মোরই ক্রসে ৮৯ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ইগনাসিও কানুত্তো অতিরিক্ত সময়ে গোল করে অপমানের হাত থেকে বাঁচান সমালোচনা-জর্জর ম্যারাডোনাকে।
ম্যারাডোনা সমালোচিত হচ্ছেন এই ম্যাচের জন্যও নতুন নতুন খেলোয়াড় ডেকে। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর খেলোয়াড় ডাকার সেঞ্চুরিই করে ফেলেছেন ’৮৬ বিশ্বকাপের মহানায়ক। এ নিয়ে সমালোচনায় ম্যারাডোনার পাল্টা জবাব কী হবে, সেটা তো অনুমান করে নেওয়াই যায়। ‘১০০ জনকে ডেকেছি বলে যদি আমার সমালোচনা হয় তো আমি ১৫০ জনকে ডাকব’—বলেছেন ম্যারাডোনা। তার এই মন্তব্যে যদি একরোখা একজনের ছবি ভেসে ওঠে তো পরেই পাওয়া যাবে যুক্তিবাদী আরেকজনের চেহারা। যেখানে ম্যারাডোনা ব্যাখ্যা করেছেন, কম গুরুত্বপূর্ণ প্রীতি ম্যাচগুলোতে মেসি-হিগুয়েইনদের ডাকার চেয়ে তাদের বার্সেলোনা-রিয়ালে খেলাটাই বেশি কাজে লাগবে। এ সুযোগে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া লিগে খেলা খেলোয়াড়দেরও বাজিয়ে দেখা যাবে। আর্জেন্টিনা থেকেও কেউ অভিযোগ তুলতে পারবে না, শুধু ইউরোপভিত্তিক খেলোয়াড়দেরই প্রাধান্য দিয়েছেন ম্যারাডোনা।
‘বিশ্বকাপের জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে খেলোয়াড়েরা নিজ নিজ ক্লাবের হয়েই খেলুক। বিশ্বকাপের সঙ্গে আর কোনো কিছুর তুলনা চলে না। আমি দুটো ফাইনালে খেলেছি। তাই বিশ্বকাপ সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি। বিশ্বকাপে আপনি যদি ফর্মুলা ওয়ানের গাড়ির গতিতে না ছুটতে পারেন তাহলে আপনাকে বাড়ি ফেরার পথ ধরতে হবে’—বলেছেন ম্যারাডোনা।
২৩ জনের দলের ৬০ শতাংশ তিনি ঠিক করেই ফেলেছেন—এই তথ্য আগেই দেওয়া। পরশু পালের্মোর পারফরম্যান্সের পর মনে হচ্ছে, সেই ৬০ শতাংশের মধ্যেই থাকছেন বোকা জুনিয়র্সের এই ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
ওদিকে পরশু চমকে দেওয়া জয় পেয়েছে চীন। জাপানে চলমান পূর্ব এশীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে তারা ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। ২০১০ বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ চীন সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জিতল ৩২ বছর পর।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে নিয়মিত একাদশের বাইরের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া আর্জেন্টিনা মন ভরাতে পারেনি মার দেল প্লাটার হোসে মারিয়া মিনেলা স্টেডিয়ামের দর্শকদের। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিটের মাথায় খেয়ে বসে গোল। রায়ান জনসনের করা সেই গোলটি হন্যে হয়েও শোধ করতে পারছিল না ম্যারাডোনার দল। ডাগ আউটে বসা ম্যারাডোনা কেবল উশখুশ করছিলেন। ৮৩ মিনিটে হেডে গোল করে সমতা ফেরান দলের দুই পরিচিত মুখের একজন—পালের্মোই। পালের্মোরই ক্রসে ৮৯ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ইগনাসিও কানুত্তো অতিরিক্ত সময়ে গোল করে অপমানের হাত থেকে বাঁচান সমালোচনা-জর্জর ম্যারাডোনাকে।
ম্যারাডোনা সমালোচিত হচ্ছেন এই ম্যাচের জন্যও নতুন নতুন খেলোয়াড় ডেকে। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর খেলোয়াড় ডাকার সেঞ্চুরিই করে ফেলেছেন ’৮৬ বিশ্বকাপের মহানায়ক। এ নিয়ে সমালোচনায় ম্যারাডোনার পাল্টা জবাব কী হবে, সেটা তো অনুমান করে নেওয়াই যায়। ‘১০০ জনকে ডেকেছি বলে যদি আমার সমালোচনা হয় তো আমি ১৫০ জনকে ডাকব’—বলেছেন ম্যারাডোনা। তার এই মন্তব্যে যদি একরোখা একজনের ছবি ভেসে ওঠে তো পরেই পাওয়া যাবে যুক্তিবাদী আরেকজনের চেহারা। যেখানে ম্যারাডোনা ব্যাখ্যা করেছেন, কম গুরুত্বপূর্ণ প্রীতি ম্যাচগুলোতে মেসি-হিগুয়েইনদের ডাকার চেয়ে তাদের বার্সেলোনা-রিয়ালে খেলাটাই বেশি কাজে লাগবে। এ সুযোগে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া লিগে খেলা খেলোয়াড়দেরও বাজিয়ে দেখা যাবে। আর্জেন্টিনা থেকেও কেউ অভিযোগ তুলতে পারবে না, শুধু ইউরোপভিত্তিক খেলোয়াড়দেরই প্রাধান্য দিয়েছেন ম্যারাডোনা।
‘বিশ্বকাপের জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে খেলোয়াড়েরা নিজ নিজ ক্লাবের হয়েই খেলুক। বিশ্বকাপের সঙ্গে আর কোনো কিছুর তুলনা চলে না। আমি দুটো ফাইনালে খেলেছি। তাই বিশ্বকাপ সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি। বিশ্বকাপে আপনি যদি ফর্মুলা ওয়ানের গাড়ির গতিতে না ছুটতে পারেন তাহলে আপনাকে বাড়ি ফেরার পথ ধরতে হবে’—বলেছেন ম্যারাডোনা।
২৩ জনের দলের ৬০ শতাংশ তিনি ঠিক করেই ফেলেছেন—এই তথ্য আগেই দেওয়া। পরশু পালের্মোর পারফরম্যান্সের পর মনে হচ্ছে, সেই ৬০ শতাংশের মধ্যেই থাকছেন বোকা জুনিয়র্সের এই ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
ওদিকে পরশু চমকে দেওয়া জয় পেয়েছে চীন। জাপানে চলমান পূর্ব এশীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে তারা ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। ২০১০ বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ চীন সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জিতল ৩২ বছর পর।
No comments