তালেবানের ঘাঁটি ঘিরে রেখেছে মার্কিন-আফগান বাহিনী
আফগানিস্তানের মারজাহ শহর ঘিরে রেখেছে মার্কিন ও আফগান বাহিনী। শহরটি তালেবানের শক্ত ঘাঁটি। শহর থেকে জঙ্গিদের পালানোর সব পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের অভিযানের ক্ষেত্র পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন শুধু অভিযান শুরুর অপেক্ষা। পরিকল্পিত ওই অভিযানকে মার্কিন বাহিনীর পক্ষ থেকে নয় বছরের যুদ্ধের অন্যতম বড় অভিযান হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
মার্কিন ও আফগান বাহিনীকে লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করছে শহরে অবরুদ্ধ জঙ্গিরা। বড় ধরনের অভিযান শুরুর আগে ন্যাটো বাহিনীকে খণ্ড লড়াইয়ে প্রলুব্ধ করার জন্যই তালেবান ওই কৌশল নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জোশুয়া উইনফ্রে বলেন, ‘তারা আমাদের লড়াইয়ে নামানোর চেষ্টা করছে।’
শহরে এক হাজারেরও বেশি তালেবান জঙ্গি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটি তালেবানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ ঘাঁটি। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রায় ৩৮০ মাইল দূরের ওই শহরটি লাভজনক আফিম বাণিজ্যের কেন্দ্রও বটে।
ভূমিমাইন ও রাস্তায় পেতে রাখা বোমাকে সেনা অভিযানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত হামলার সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হয়নি। হেলমান্দ প্রদেশে ওই শহরটির বাসিন্দা প্রায় ৮০ হাজার। মারজাহ দক্ষিণ আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন সবেচেয়ে বড় শহর।
ন্যাটোর কর্মকর্তারা বলেছেন, অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং আফগান সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, লড়াইয়ে তাঁরা হিট-অ্যান্ড-রান কৌশল প্রয়োগ করবেন।
তালেবান জঙ্গিদের আশ্রয় না দিতে গতকাল শুক্রবার সামরিক হেলিকপ্টার থেকে মারজাহ শহরে প্রচারপত্র ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি বেতার কেন্দ্র থেকেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একইভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
প্রাদেশিক মুখপাত্র দাউদ আহমাদি বলেন, ‘মারজাহ শহরে প্রচারপত্র ফেলা হচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে—আপনাদের বাড়িতে তালেবান জঙ্গিদের আশ্রয় দেবেন না। আপনাদের এলাকায় তাদের ঢুকতে দেবেন না। সেনারা আপনাদের সহায়তা করতে আসছে। আমরা এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনব। আপনারা শান্ত ও নির্ভয়ে থাকুন।’
বিস্ফোরণে মার্কিন সেনা আহত: গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর একটি যৌথ চৌকিতে বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। তবে কী কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাখতিয়া প্রদেশে আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর একটি যৌথ চৌকিতে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
২০ তালেবানের মৃত্যু: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডায় জমে মারা যাওয়া ২০ তালেবান জঙ্গির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তালেবান যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
আঞ্চলিক পুলিশের মুখপাত্র লাল মোহাম্মদ আহমদজাই বলেন, বাগলান প্রদেশের তুষার-আবৃত পাহাড়ি এলাকার দুটি গুহার ভেতর থেকে গত মঙ্গলবার ওই লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
মার্কিন ও আফগান বাহিনীকে লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করছে শহরে অবরুদ্ধ জঙ্গিরা। বড় ধরনের অভিযান শুরুর আগে ন্যাটো বাহিনীকে খণ্ড লড়াইয়ে প্রলুব্ধ করার জন্যই তালেবান ওই কৌশল নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জোশুয়া উইনফ্রে বলেন, ‘তারা আমাদের লড়াইয়ে নামানোর চেষ্টা করছে।’
শহরে এক হাজারেরও বেশি তালেবান জঙ্গি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটি তালেবানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ ঘাঁটি। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রায় ৩৮০ মাইল দূরের ওই শহরটি লাভজনক আফিম বাণিজ্যের কেন্দ্রও বটে।
ভূমিমাইন ও রাস্তায় পেতে রাখা বোমাকে সেনা অভিযানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত হামলার সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হয়নি। হেলমান্দ প্রদেশে ওই শহরটির বাসিন্দা প্রায় ৮০ হাজার। মারজাহ দক্ষিণ আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন সবেচেয়ে বড় শহর।
ন্যাটোর কর্মকর্তারা বলেছেন, অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং আফগান সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, লড়াইয়ে তাঁরা হিট-অ্যান্ড-রান কৌশল প্রয়োগ করবেন।
তালেবান জঙ্গিদের আশ্রয় না দিতে গতকাল শুক্রবার সামরিক হেলিকপ্টার থেকে মারজাহ শহরে প্রচারপত্র ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি বেতার কেন্দ্র থেকেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একইভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
প্রাদেশিক মুখপাত্র দাউদ আহমাদি বলেন, ‘মারজাহ শহরে প্রচারপত্র ফেলা হচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে—আপনাদের বাড়িতে তালেবান জঙ্গিদের আশ্রয় দেবেন না। আপনাদের এলাকায় তাদের ঢুকতে দেবেন না। সেনারা আপনাদের সহায়তা করতে আসছে। আমরা এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনব। আপনারা শান্ত ও নির্ভয়ে থাকুন।’
বিস্ফোরণে মার্কিন সেনা আহত: গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর একটি যৌথ চৌকিতে বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। তবে কী কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাখতিয়া প্রদেশে আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর একটি যৌথ চৌকিতে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
২০ তালেবানের মৃত্যু: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডায় জমে মারা যাওয়া ২০ তালেবান জঙ্গির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তালেবান যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
আঞ্চলিক পুলিশের মুখপাত্র লাল মোহাম্মদ আহমদজাই বলেন, বাগলান প্রদেশের তুষার-আবৃত পাহাড়ি এলাকার দুটি গুহার ভেতর থেকে গত মঙ্গলবার ওই লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments