বুদ্ধদেবের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে উলামায়ে হিন্দ
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দ্রুত বদলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। গতবারের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটের সিংহভাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে পড়ায় উত্কণ্ঠা বেড়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের শাসকজোট বামফ্রন্টের। অথচ এত দিন মুসলিম ভোটব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করত বামফ্রন্টই। লোকসভা নির্বাচনের পর এক জরিপে দেখা যায়, সংখ্যালঘু মুসলিমরা এখন ঝুঁকে পড়েছে মমতার তৃণমূলের দিকে। এ অবস্থায় নিজেদের ভোটব্যাংকের দখল পুনরুদ্ধার করতে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের জমিয়ত ওলামায়ে হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘মুসলিমদের জন্য বন্ধ দরজা এত দিন পর খুলল। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মুখ্যমন্ত্রী গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।’
মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়ার মূল কারণ ছিল বিচারপতি সাচার কমিটির প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা এই রাজ্যে সব দিক থেকে বঞ্চিত। তারা চাকরি, পড়াশোনা, ব্যাংকঋণ—সব দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনই মূলত মুসলিমদের তৃণমূলের দিকে ঝোঁক বাড়ায়। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ মুসলিম সমপ্রদায়। এর মধ্যে আবার ১২টি মুসলিম সমপ্রদায় আছে যারা পিছিয়ে পড়া সমপ্রদায়ভুক্ত।
আগামী বছরের এপ্রিলের দিকে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে এ বছরের মে মাসের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কলকাতা করপোরেশনসহ ৮২টি পৌরসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মুসলিম ভোটব্যাংক পুনরুদ্ধারের জন্য শাসকজোট বামফ্রন্ট গত সোমবার সিদ্ধান্ত নেয় পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার। পরে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অনগ্রসর মুসলিমদের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ওই ঘোষণা দেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৪ সালে গঠিত বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ভারতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অনগ্রসর মুসলিম সমপ্রদায়ের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্ত অবশ্য মেনে নিতে পারেনি তৃণমূলসহ রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতারা। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে ভাঁওতা বলে উড়িয়ে দেন।
ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের জমিয়ত ওলামায়ে হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘মুসলিমদের জন্য বন্ধ দরজা এত দিন পর খুলল। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মুখ্যমন্ত্রী গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।’
মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়ার মূল কারণ ছিল বিচারপতি সাচার কমিটির প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা এই রাজ্যে সব দিক থেকে বঞ্চিত। তারা চাকরি, পড়াশোনা, ব্যাংকঋণ—সব দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনই মূলত মুসলিমদের তৃণমূলের দিকে ঝোঁক বাড়ায়। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ মুসলিম সমপ্রদায়। এর মধ্যে আবার ১২টি মুসলিম সমপ্রদায় আছে যারা পিছিয়ে পড়া সমপ্রদায়ভুক্ত।
আগামী বছরের এপ্রিলের দিকে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে এ বছরের মে মাসের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কলকাতা করপোরেশনসহ ৮২টি পৌরসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মুসলিম ভোটব্যাংক পুনরুদ্ধারের জন্য শাসকজোট বামফ্রন্ট গত সোমবার সিদ্ধান্ত নেয় পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার। পরে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অনগ্রসর মুসলিমদের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ওই ঘোষণা দেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৪ সালে গঠিত বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ভারতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অনগ্রসর মুসলিম সমপ্রদায়ের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্ত অবশ্য মেনে নিতে পারেনি তৃণমূলসহ রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতারা। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে ভাঁওতা বলে উড়িয়ে দেন।
No comments