৯০ বছরের নিয়মে ইতি, জুম্মার নামাজে আর বিরতি নয় আসাম বিধানসভায়!
১৯৩৭ সালে মুসলিম লিগের সৈয়দ সাদউল্লা এই প্রথা চালু করেছিলেন। হিমন্তর ইচ্ছামতোই ৭ সদস্যের কমিটি গড়া হয়, এই নিয়মের কোনও প্রয়োজন রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার জন্য। শুক্রবার বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে অবলুপ্ত করা হয় এই নিয়ম। জানানো হয়, লোকসভা ও রাজ্যসভা কোনও জায়গাতেই এমন নিয়ম নেই তাই আসামেও এই নিয়ম গুরুত্বহীন। ওই ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপে’ সহায়তার জন্য আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দইমারিসহ শাসক শিবিরের বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা হিমন্ত। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট এআইইউডিএফ বিধায়ক রফিকুল ইসলাম। তাঁর দাবি, বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠের অজুহাতে সংখ্যালঘুদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল।
তিনি বলেছেন, "বিধানসভায় প্রায় ৩০ জন মুসলিম বিধায়ক আছেন। আমরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করেছি। কিন্তু তাদের (বিজেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে এবং সেই ভিত্তিতেই এটা চাপিয়ে দিচ্ছে।" কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা দেবব্রত সাইকিয়া বলেন, শুক্রবার বিধানসভার কোনও কাছাকাছি স্থানে মুসলিম বিধায়কদের 'নামাজ' পড়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাঁর কথায়, "আমার দলের বেশ কয়েকজন সহকর্মী এবং এআইইউডিএফ বিধায়ক নামাজ পড়তে যাওয়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে পারেননি। যেহেতু এটি শুধুমাত্র শুক্রবারের জন্য একটি বিশেষ প্রার্থনার বাধ্যবাধকতা, তাই আমার মনে হয় কাছাকাছি এর জন্য একটি ব্যবস্থা করা যেতেই পারে।"
সূত্র : দ্য উইক
No comments