গ্যাস চেম্বার দিল্লি, অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ, অনলাইনে ক্লাসের সিদ্ধান্ত

শীত পড়তেই কুয়াশা নয়, ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি। বাতাসের গুণমান ‘ভয়াবহ’। বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে দিল্লি। এই অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও অনলাইনে ক্লাস করতে পারবেন। কেবলমাত্র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পঠনপাঠনের জন্য স্কুলে আসবেন। দিল্লির সবথেকে দূষিত জায়গাগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাহাঙ্গীরপুরী। সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৪৫৮। এরপরে রয়েছে বাওয়ানা, সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৪৫৫। ওয়াজিরপুরেও বাতাসের গুণগত মান ৪৫৫ রয়েছে। দিল্লির রোহিনীতে বাতাসের গুণগত মান ৪৫২ রয়েছে। পঞ্জাবী বাগে বাতাসের গুণগত মান ৪৪৩। ঘন কুয়াশার সঙ্গে দূষণ, গোটা দিল্লিই কার্যত ধোঁয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে শূন্যে দাঁড়িয়েছে। ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে যান চলাচলে। বিমানও দেরিতে উড়ছে। দিল্লির রুটে অধিকাংশ ট্রেনই কমপক্ষে ২ ঘণ্টা দেরিতে চলছে।

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন অতিশী। সেখানে লেখা হয়েছে—দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া বাকিদের স্কুলে শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। এই শিক্ষার্থীদের  জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে বলে জানানো হয়েছে। রবিবারই কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দিল্লি এনসিআরে দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। এর পরেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের  জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। স্কুল বন্ধ করার পাশাপাশি অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া   দিল্লিতে নিবন্ধিত পুরানো ডিজেল মাঝারি এবং ভারী মালবাহী ট্রাকগুলি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ ও নয়ডাতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। জরুরি দরকার ছাড়া ডিজেল জেনারেটরও ব্যবহার করা যাবে না। কাঁচা রাস্তায় ভারি যান চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রঙ করা, সিমেন্ট, প্লাস্টার ও গ্যাস কাটিংয়ের মতো কাজেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

mzamin

No comments

Powered by Blogger.