রাশিয়ায় হামলা চালাতে ভারী মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেল ইউক্রেন

রাশিয়ার গভীরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই এ অনুমতি দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রথম মার্কিন নীতির পরিবর্তন করলেন বাইডেন। রোববার মার্কিন দুই কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, ইউক্রেনের মাটিতে গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভারী হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূর পাল্লার ভারী অস্ত্রের ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন। সূত্র বলছে, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণেই ইউক্রেনকে এমন দূর পাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সূত্র এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। ৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস আগে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিল বাইডেন প্রশাসন। জানুয়ারির ২০ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই সকল যুদ্ধ থামানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তার যে নীতি রয়েছে তাতে পরিবর্তন আনতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে সহায়তা অব্যাহত রাখার উপর জোর দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলে ইউক্রেন নীতিতে পরিবর্তনের যে সম্ভাব্যতা রয়েছে সে দিকটি আমলে নিয়েই হয়ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দূর পাল্লার ভারী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন। যুদ্ধের পর থেকেই এমন অনুমতির প্রত্যাশী ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে এতদিন তার আবেদনে সায় দেননি জো বাইডেন।

অন্যদিকে রাশিয়ার হয়ে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। যাতে মস্কোকে নিয়ে সংশয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন এক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বলছে, রাশিয়ার পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়েও উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে অনুমতি পেয়েই রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিয়েছে জেলেনস্কি। রোববার সন্ধ্যায় এক বার্তায় তিনি বলেন, এসব অস্ত্র তাদের (রাশিয়া) বিরুদ্ধে কথা বলবে। তিনি আরও বলেন, আজ বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে আমরা তাদের পাল্টা জবাব দিতে ভারী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছি। তবে এসব কথা দিয়ে হামলা হয় না, এটা এমন বিষয় যা বলে কয়ে হয় না। ইউক্রেনকে অনুমতির বিষয়ে হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ক্রেমলিনও এ বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে। তবে তারা সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের সীমা শিথিল করা উচিত নয়।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.