আলী রীয়াজের বিশ্লেষণ: জামায়াতের সামনে ৪ বিকল্প
বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামীর সংস্কার ও দলটির ১৯৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধিতার জন্য ক্ষমা
না চাওয়ায় গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন দলটির অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার আবদুর
রাজ্জাক। এরপর এই প্রশ্ন যেন মাথাচাড়া না দেয়, সে জন্য দল থেকে বহিষ্কার
করা হয় আরেক কেন্দ্রীয় নেতাকে। তখন থেকে ভীষণভাবে আলোচনায় এসেছে
মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটির সংস্কার নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে দলটির ভেতরের মতভেদ কীভাবে কমবে? দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ কি দলের দ্বন্দ্বকে বাড়িয়ে দিলো? এসব বিষয়ে বিবিসির প্রত্যুষা অনুষ্ঠানে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর আলী রীয়াজ।
প্রফেসর আলী রীয়াজ: দ্বন্দ্ব বেড়েছে কিনা সেটা আমরা আরো খানিকটা সময় নিয়ে বুঝতে পারবো। তবে এটা স্পষ্ট যে, ধরুন ২০০১ সাল থেকে যে সমস্ত পারস্পরিক ভিন্নমত বা দ্বন্দ্ব ছিল, সেগুলো এখন অনেক বেশি খোলামেলা হয়ে দাঁড়ালো। দ্বিতীয় বিষয় যেটা, ২০০১ সালের পর থেকে জামায়াতের ভেতর যে এই সমস্ত আলোচনা চলছিল, সংস্কারের আলোচনা, ১৯৭১ সালের তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, তখন এ বিষয়ে বাইরে কথা বলার লোক ছিল না। এখন যেটা হলো, এই বক্তব্যগুলো সুস্পষ্টভাবে বলার মতো একজন প্রতিনিধি আমরা দেখতে পাচ্ছি। আবদুর রাজ্জাক যেটা করছেন বা একসময়ের শিবির নেতা, মজিবুর রহমান তিনিও যেটি করছেন, এখন তাদের কাছে আমরা প্রশ্ন করতে পারছি।
তারা এই সংস্কারের প্রশ্নগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারছেন। যেটা আগে ছিল না। ফলে দলের ভেতরেও যে সমস্ত কর্মী সমর্থক, সংগঠক আগে এগুলোর ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছিল না, তারা এখন পাবেন। ফলে দল ও দলের বাইরে এর আলোচনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, প্রতিনিধি তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি বলছেন, এই পদত্যাগ বা বহিষ্কারের যে ঘটনা সেটির ফলে জামায়াতে ইসলামীর দলের ভেতরেই এক ধরনের আলোচনার জায়গা তৈরি হলো। এবং একটি মতভেদও তৈরি হলো। এই মতভেদের সমাধান কীভাবে হবে?
আলী রীয়াজ: মতভেদের সমাধান কয়েকভাবে হতে পারে। সেটা নির্ভর করছে যে, জামায়াতের নেতৃবৃন্দ কী করতে চান। একটা হচ্ছে সংস্কার, যেটার প্রস্তাব আবদুর রাজ্জাক ও অন্যরা তুলেছেন। সেগুলো যদি জামায়াতের নেতারা গ্রহণ করেন, সেটা একটা সমাধান। দ্বিতীয় বিকল্প হচ্ছে তারা কিছুই না করতে পারেন। তৃতীয় বিকল্প হচ্ছে, তাদের অন্যরকম সংস্কার হতে পারে। অর্থাৎ, তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, সরকারি যে দল আছে তাদের সঙ্গে এক ধরনের আপস-সমঝোতা করে তাদের রাজনীতি অব্যাহত রাখবেন। চতুর্থ বিকল্প যেটা হতে পারে, তারা রাজনীতি থেকে সরে আসবেন এবং সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সেটাও তারা করতে পারেন। ফলে বিভিন্ন রকম সমাধানের পথ তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে ইঙ্গিত আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে না, যে সমস্ত সংস্কারের কথা আবদুর রাজ্জাক ও অন্যরা বলেছেন, আমি অনুমান করছি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটি বড় প্রভাবশালী অংশ সেটা গ্রহণ করছেন না। ফলে সমাধানের পথগুলো তারা কীভাবে বিবেচনা করবেন, তাদের প্রক্রিয়া কী হবে এবং তারা তা কোথায় নিয়ে যেতে চান সেটা এখন আগামী কয়েক দিনে বোঝা যাবে বলে আমি মনে করি না। তবে ভবিষ্যতে তার একটা প্রতিফলন আমরা দেখতে পাবো।
প্রশ্ন: মিশর, তিউনেশিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে যে, টিকে থাকার জন্য ইসলামী দলগুলো তাদের শক্ত অবস্থান থেকে সরে এসে সংস্কার এনেছে দলে, সেটি যদি জামায়াত করে, আপনি যেটি বলছিলেন যে, বেশ কয়েকটি উপায় তাদের সামনে খোলা রয়েছে, তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতায় কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
আলী রীয়াজ: দেখুন, মিশর বা তিউনেশিয়ার কথা বলছিলেন। সেখানে সংস্কার যেগুলো হয়েছে, তাতে দু’টো বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে। একটা হচ্ছে আদর্শিক সংস্কার। তিউনেশিয়ার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা একটা আদর্শিক সংস্কার। রশীদ ঘানুচি, যিনি তিউনেশিয়ার আন্নহাদা দলের নেতৃত্ব দেন, আদর্শিকভাবেই ইসলামপন্থি রাজনীতি রাষ্ট্রকে কীভাবে দেখবে, নাগরিকের অধিকার কীভাবে দেখবে, নারীর অংশগ্রহণকে কীভাবে দেখবে, এসমস্ত বিষয়ে অতীতে যে সমস্ত ইসলামপন্থি নেতা ছিলেন, যেমন আবুল আ’লা মওদুদী বলুন, সাঈদ কুতুব বলুন, তাদের থেকে সরে এসে তিনি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এবং সেটা গৃহীত হয়েছে, একভাবে অগ্রসর হয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি পদ্ধতি, যেটা সাংগঠনিক বিষয়। সেটা হচ্ছে, আমরা আদর্শিকভাবে কিছুই পরিবর্তন না করে এখন সাময়িকভাবে রাজনীতি থেকে সরে এসে সামাজিক কাজে যুক্ত থাকবো। সেটা মুসলিম ব্রাদারহুড একসময় করেছে, এখনো করছে। হিজবুল্লাহর ক্ষেত্রে আমরা সেই প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছি, হামাসের ক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছি। ফলে কোন ধরনের সংস্কার তারা গ্রহণ করছে। জামায়াতের ক্ষেত্রে প্রশ্নটা কেবল ১৯৭১ সালে তাদের কৃতকর্মের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ই না। সংস্কারের বিষয়টা তাদের দলীয়ভাবে আদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন। যদি এখন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেন, তারা আসলে সংস্কার করতে চান।
তাহলে কোন ধরনের সংস্কার করতে চান, আদর্শিক সংস্কার? তাহলে তাদের নেতা মওদুদীর যে পথ, সেখান থেকে তাদের সরে আসতে হবে। তবে সে অবস্থান তারা গ্রহণ করবেন কিনা, সেটা আসলে অনেক বেশি আলোচনার বিষয়। যেটা আলোচনা হওয়া উচিত ছিল, যেকোনো ইসলামপন্থি দলগুলোর ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে যেটা ঘটেছে, ঘটছে, জামায়াত সেটা করেনি। সেগুলো যদি তারা করতে পারতেন, তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হতো কিনা বা হবে কিনা, সেটা নির্ভর করছে তারা কোন সংস্কারটা করছেন, কোন অবস্থান তারা নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার জন্য কী ধরনের কৌশল গ্রহণ করছেন। আদর্শিক অবস্থানকে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র সাংগঠনিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে, আমার কাছে তা মনে হয় না। সেটার অন্যত্র হয়নি।
এ প্রসঙ্গে দলটির ভেতরের মতভেদ কীভাবে কমবে? দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ কি দলের দ্বন্দ্বকে বাড়িয়ে দিলো? এসব বিষয়ে বিবিসির প্রত্যুষা অনুষ্ঠানে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর আলী রীয়াজ।
প্রফেসর আলী রীয়াজ: দ্বন্দ্ব বেড়েছে কিনা সেটা আমরা আরো খানিকটা সময় নিয়ে বুঝতে পারবো। তবে এটা স্পষ্ট যে, ধরুন ২০০১ সাল থেকে যে সমস্ত পারস্পরিক ভিন্নমত বা দ্বন্দ্ব ছিল, সেগুলো এখন অনেক বেশি খোলামেলা হয়ে দাঁড়ালো। দ্বিতীয় বিষয় যেটা, ২০০১ সালের পর থেকে জামায়াতের ভেতর যে এই সমস্ত আলোচনা চলছিল, সংস্কারের আলোচনা, ১৯৭১ সালের তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, তখন এ বিষয়ে বাইরে কথা বলার লোক ছিল না। এখন যেটা হলো, এই বক্তব্যগুলো সুস্পষ্টভাবে বলার মতো একজন প্রতিনিধি আমরা দেখতে পাচ্ছি। আবদুর রাজ্জাক যেটা করছেন বা একসময়ের শিবির নেতা, মজিবুর রহমান তিনিও যেটি করছেন, এখন তাদের কাছে আমরা প্রশ্ন করতে পারছি।
তারা এই সংস্কারের প্রশ্নগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারছেন। যেটা আগে ছিল না। ফলে দলের ভেতরেও যে সমস্ত কর্মী সমর্থক, সংগঠক আগে এগুলোর ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছিল না, তারা এখন পাবেন। ফলে দল ও দলের বাইরে এর আলোচনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, প্রতিনিধি তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি বলছেন, এই পদত্যাগ বা বহিষ্কারের যে ঘটনা সেটির ফলে জামায়াতে ইসলামীর দলের ভেতরেই এক ধরনের আলোচনার জায়গা তৈরি হলো। এবং একটি মতভেদও তৈরি হলো। এই মতভেদের সমাধান কীভাবে হবে?
আলী রীয়াজ: মতভেদের সমাধান কয়েকভাবে হতে পারে। সেটা নির্ভর করছে যে, জামায়াতের নেতৃবৃন্দ কী করতে চান। একটা হচ্ছে সংস্কার, যেটার প্রস্তাব আবদুর রাজ্জাক ও অন্যরা তুলেছেন। সেগুলো যদি জামায়াতের নেতারা গ্রহণ করেন, সেটা একটা সমাধান। দ্বিতীয় বিকল্প হচ্ছে তারা কিছুই না করতে পারেন। তৃতীয় বিকল্প হচ্ছে, তাদের অন্যরকম সংস্কার হতে পারে। অর্থাৎ, তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, সরকারি যে দল আছে তাদের সঙ্গে এক ধরনের আপস-সমঝোতা করে তাদের রাজনীতি অব্যাহত রাখবেন। চতুর্থ বিকল্প যেটা হতে পারে, তারা রাজনীতি থেকে সরে আসবেন এবং সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সেটাও তারা করতে পারেন। ফলে বিভিন্ন রকম সমাধানের পথ তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে ইঙ্গিত আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে না, যে সমস্ত সংস্কারের কথা আবদুর রাজ্জাক ও অন্যরা বলেছেন, আমি অনুমান করছি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটি বড় প্রভাবশালী অংশ সেটা গ্রহণ করছেন না। ফলে সমাধানের পথগুলো তারা কীভাবে বিবেচনা করবেন, তাদের প্রক্রিয়া কী হবে এবং তারা তা কোথায় নিয়ে যেতে চান সেটা এখন আগামী কয়েক দিনে বোঝা যাবে বলে আমি মনে করি না। তবে ভবিষ্যতে তার একটা প্রতিফলন আমরা দেখতে পাবো।
প্রশ্ন: মিশর, তিউনেশিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে যে, টিকে থাকার জন্য ইসলামী দলগুলো তাদের শক্ত অবস্থান থেকে সরে এসে সংস্কার এনেছে দলে, সেটি যদি জামায়াত করে, আপনি যেটি বলছিলেন যে, বেশ কয়েকটি উপায় তাদের সামনে খোলা রয়েছে, তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতায় কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
আলী রীয়াজ: দেখুন, মিশর বা তিউনেশিয়ার কথা বলছিলেন। সেখানে সংস্কার যেগুলো হয়েছে, তাতে দু’টো বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে। একটা হচ্ছে আদর্শিক সংস্কার। তিউনেশিয়ার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা একটা আদর্শিক সংস্কার। রশীদ ঘানুচি, যিনি তিউনেশিয়ার আন্নহাদা দলের নেতৃত্ব দেন, আদর্শিকভাবেই ইসলামপন্থি রাজনীতি রাষ্ট্রকে কীভাবে দেখবে, নাগরিকের অধিকার কীভাবে দেখবে, নারীর অংশগ্রহণকে কীভাবে দেখবে, এসমস্ত বিষয়ে অতীতে যে সমস্ত ইসলামপন্থি নেতা ছিলেন, যেমন আবুল আ’লা মওদুদী বলুন, সাঈদ কুতুব বলুন, তাদের থেকে সরে এসে তিনি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এবং সেটা গৃহীত হয়েছে, একভাবে অগ্রসর হয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি পদ্ধতি, যেটা সাংগঠনিক বিষয়। সেটা হচ্ছে, আমরা আদর্শিকভাবে কিছুই পরিবর্তন না করে এখন সাময়িকভাবে রাজনীতি থেকে সরে এসে সামাজিক কাজে যুক্ত থাকবো। সেটা মুসলিম ব্রাদারহুড একসময় করেছে, এখনো করছে। হিজবুল্লাহর ক্ষেত্রে আমরা সেই প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছি, হামাসের ক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছি। ফলে কোন ধরনের সংস্কার তারা গ্রহণ করছে। জামায়াতের ক্ষেত্রে প্রশ্নটা কেবল ১৯৭১ সালে তাদের কৃতকর্মের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ই না। সংস্কারের বিষয়টা তাদের দলীয়ভাবে আদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন। যদি এখন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেন, তারা আসলে সংস্কার করতে চান।
তাহলে কোন ধরনের সংস্কার করতে চান, আদর্শিক সংস্কার? তাহলে তাদের নেতা মওদুদীর যে পথ, সেখান থেকে তাদের সরে আসতে হবে। তবে সে অবস্থান তারা গ্রহণ করবেন কিনা, সেটা আসলে অনেক বেশি আলোচনার বিষয়। যেটা আলোচনা হওয়া উচিত ছিল, যেকোনো ইসলামপন্থি দলগুলোর ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে যেটা ঘটেছে, ঘটছে, জামায়াত সেটা করেনি। সেগুলো যদি তারা করতে পারতেন, তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হতো কিনা বা হবে কিনা, সেটা নির্ভর করছে তারা কোন সংস্কারটা করছেন, কোন অবস্থান তারা নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার জন্য কী ধরনের কৌশল গ্রহণ করছেন। আদর্শিক অবস্থানকে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র সাংগঠনিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে, আমার কাছে তা মনে হয় না। সেটার অন্যত্র হয়নি।
No comments