কে হচ্ছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট?
গত বছরের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে অং সান সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। স্বাভাবিক নিয়মেই দলের নেতৃত্বে থাকা সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা। কিন্তু জান্তা সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের কারণে সে আশায় গুড়েবালি। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সুচি বলে আসেছন- যে-ই প্রেসিডেন্ট হন না কেন তার ওপরেই আমার ক্ষমতা বলবৎ থাকবে। সুচি যদি প্রেসিডেন্ট না হতে পারেন, তবে কে দেশটির নেতৃত্বে হাল ধরবে তা নিয়ে রয়েছে এখনও ধাঁধা। এ নিয়ে বিশ্ববাসীকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। প্রেসিডেন্ট কে হতে পারেন, শুক্রবার এএফপির প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং এনএলডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট টিন উ এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সুচির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত উইন তেইন। এছাড়া জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার ইউ শয়ে ম্যান ও সুচির পারিবারিক ডাক্তার টিন মিও উইনের নামও।
এনএলডির চরম বিপদের মুহূর্তের অন্যতম সহায়ক হিসেবে খ্যাত দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য টিন উ। ১৯৮৮ সালের গণবিপ্লবের সময় তার ভূমিকা অতীব গুরত্বপূর্ণ। তিনি নি উইন সরকারের সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৮৮ বছর বয়সী এ বিপ্লবী নেতা নিজেই দেশের নেতৃত্বের ব্যপারে অতটা আগ্রহী নয়। গত বছরে ইরাওয়াদ্দি সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছিলেন, আমি কখনও দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাইনি। সাবেক সেনা কর্মকর্তা উইন থেইনের নামও ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও তিনি নির্বাচনের পর বলেছিলেন, নিজের স্বাস্থ্যগত ও বয়সজনিত কারণে দেশের এমন গুরুভার কাঁধে নেবেন না। এছাড়া, সুচির পারিবারিক ডাক্তার টিন মিও উইনের নামও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। তিনি এনএলডির ন্যাশনাল হেলথ নেটওয়ার্কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি ইয়াঙ্গুনের মুসলিম ফ্রি হাসপাতালের প্রধান শৈল্য চিকিৎসক। সোমবার দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হেইংয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায়ও উইনের ভূমিকা প্রশংসিত। এদিকে, পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার ইউ শয়ে ম্যান ও অং সান সুচির মধ্যে সমঝোতা হয়ে আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেনাবাহিনী ও সুচির দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সমঝোতার বিষয়টি। তবে শয়ের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। অং সান সুচিকে নিয়েই সবশেষ চমক থেকে যাচ্ছে। নির্বাচনে দেশটির তিন-চতুর্থাংশ পার্লামেন্ট আসন ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছেন তিনি। তবে সেনাদের সঙ্গে সমঝোতা করে দেশটিতে বিরাজমান সংবিধান সংশোধন করতে না পারলে সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়া এখনও ধোয়াশাই থেকে যাচ্ছে।
এনএলডির চরম বিপদের মুহূর্তের অন্যতম সহায়ক হিসেবে খ্যাত দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য টিন উ। ১৯৮৮ সালের গণবিপ্লবের সময় তার ভূমিকা অতীব গুরত্বপূর্ণ। তিনি নি উইন সরকারের সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৮৮ বছর বয়সী এ বিপ্লবী নেতা নিজেই দেশের নেতৃত্বের ব্যপারে অতটা আগ্রহী নয়। গত বছরে ইরাওয়াদ্দি সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছিলেন, আমি কখনও দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাইনি। সাবেক সেনা কর্মকর্তা উইন থেইনের নামও ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও তিনি নির্বাচনের পর বলেছিলেন, নিজের স্বাস্থ্যগত ও বয়সজনিত কারণে দেশের এমন গুরুভার কাঁধে নেবেন না। এছাড়া, সুচির পারিবারিক ডাক্তার টিন মিও উইনের নামও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। তিনি এনএলডির ন্যাশনাল হেলথ নেটওয়ার্কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি ইয়াঙ্গুনের মুসলিম ফ্রি হাসপাতালের প্রধান শৈল্য চিকিৎসক। সোমবার দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হেইংয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায়ও উইনের ভূমিকা প্রশংসিত। এদিকে, পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার ইউ শয়ে ম্যান ও অং সান সুচির মধ্যে সমঝোতা হয়ে আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেনাবাহিনী ও সুচির দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সমঝোতার বিষয়টি। তবে শয়ের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। অং সান সুচিকে নিয়েই সবশেষ চমক থেকে যাচ্ছে। নির্বাচনে দেশটির তিন-চতুর্থাংশ পার্লামেন্ট আসন ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছেন তিনি। তবে সেনাদের সঙ্গে সমঝোতা করে দেশটিতে বিরাজমান সংবিধান সংশোধন করতে না পারলে সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়া এখনও ধোয়াশাই থেকে যাচ্ছে।
No comments