ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি সহিংসতা : শান্ত থাকার আহবান ওবামার
ইসরাইলি
ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে ভয়াবহ সহিংসতা শুক্রবার আরো বেড়েছে। এদিন পশ্চিম
তীরে ইহুদিদের একটি পবিত্র স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে ‘খুবই
উদ্বিগ্ন’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান
জানিয়েছেন।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার কারণে পুরো মাত্রায় অভ্যুত্থানের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং ওবামা ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের উস্কানিমূলক বাগাড়ম্বর বন্ধের আহবান জানিয়েছেন।
পশ্চিম তীরের নাবলুসে জোসেফের সমাধিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘শুক্রবার বিপ্লবের’ ডাক দেয়। এদিকে গাজা উপত্যাকার সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষ হয়েছে। ইসরাইলিদের গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯৮ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে নাবলুসের কাছে বেইত ফুরিকে সংঘর্ষে আরো এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া পশ্চিম তীরে এক ইহুদি স্থাপনার বাইরে এক আলোকচিত্রীর ছদ্মবেশে এক ফিলিস্তিনি এক ইসরাইলি সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। অবশ্য ওই ফিলিস্তিনি পরে গুলিতে নিহত হন।
সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৭ ফিলিস্তিনি ও সাত ইসরাইলি নিহত এবং বেশ কয়েকজন ইসরাইলি ও কয়েকশ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
১৯৮৭-১৯৯৩ ও ২০০০-২০০৫ সালের ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থানের সময় প্রায় প্রতিদিনের সংঘর্ষে কয়েক হাজার লোক নিহত ও আরো অনেকে আহত হন। জেরুজালেম ও ইসরাইলে দুই সপ্তাহের হামলার পর জেরুজালেমে ব্যাপকভাবে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জোসেফের সমাধিতে অগ্নিসংযোগের দ্রুত নিন্দা জানিয়েছেন। মাহমুদ আব্বাসের সাম্প্রতিক কয়েকটি মন্তব্য সহিংসতায় উস্কানি হিসেবে কাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জোসেফের সমাধি ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানে ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর এস্কর্টে ওই সমাধি পরিদর্শন করতে পারে ইসরাইলিরা।
ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ক্ষমতাধর পদে থাকা ব্যক্তিদের উস্কানিমূলক বাগাড়ম্বর যা সহিংসতা, ক্ষোভ ও ভুল বোঝাবোঝি বাড়াতে পারে সেগুলো বাদ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যদি শান্তি ও নিরাপদে পাশাপাশি বসবাস করতে চায়, তাহলে ইসরাইলকে সত্যিকারের নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের আকাক্ষা পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে নিরাপরাধ লোক যাতে মারা না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের সর্বোত্তম উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রস্তাব দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলে কর্মকর্তারা জানান, নেতানিয়াহু ও কেরি আগামী সপ্তাহে বার্লিনে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার কারণে পুরো মাত্রায় অভ্যুত্থানের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং ওবামা ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের উস্কানিমূলক বাগাড়ম্বর বন্ধের আহবান জানিয়েছেন।
পশ্চিম তীরের নাবলুসে জোসেফের সমাধিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘শুক্রবার বিপ্লবের’ ডাক দেয়। এদিকে গাজা উপত্যাকার সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষ হয়েছে। ইসরাইলিদের গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯৮ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে নাবলুসের কাছে বেইত ফুরিকে সংঘর্ষে আরো এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া পশ্চিম তীরে এক ইহুদি স্থাপনার বাইরে এক আলোকচিত্রীর ছদ্মবেশে এক ফিলিস্তিনি এক ইসরাইলি সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। অবশ্য ওই ফিলিস্তিনি পরে গুলিতে নিহত হন।
সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৭ ফিলিস্তিনি ও সাত ইসরাইলি নিহত এবং বেশ কয়েকজন ইসরাইলি ও কয়েকশ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
১৯৮৭-১৯৯৩ ও ২০০০-২০০৫ সালের ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থানের সময় প্রায় প্রতিদিনের সংঘর্ষে কয়েক হাজার লোক নিহত ও আরো অনেকে আহত হন। জেরুজালেম ও ইসরাইলে দুই সপ্তাহের হামলার পর জেরুজালেমে ব্যাপকভাবে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জোসেফের সমাধিতে অগ্নিসংযোগের দ্রুত নিন্দা জানিয়েছেন। মাহমুদ আব্বাসের সাম্প্রতিক কয়েকটি মন্তব্য সহিংসতায় উস্কানি হিসেবে কাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জোসেফের সমাধি ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানে ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর এস্কর্টে ওই সমাধি পরিদর্শন করতে পারে ইসরাইলিরা।
ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ক্ষমতাধর পদে থাকা ব্যক্তিদের উস্কানিমূলক বাগাড়ম্বর যা সহিংসতা, ক্ষোভ ও ভুল বোঝাবোঝি বাড়াতে পারে সেগুলো বাদ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যদি শান্তি ও নিরাপদে পাশাপাশি বসবাস করতে চায়, তাহলে ইসরাইলকে সত্যিকারের নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের আকাক্ষা পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে নিরাপরাধ লোক যাতে মারা না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের সর্বোত্তম উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রস্তাব দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলে কর্মকর্তারা জানান, নেতানিয়াহু ও কেরি আগামী সপ্তাহে বার্লিনে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
No comments