হার্ট অ্যাটাকের মুহূর্তে একা থাকলে কী করবেন?

বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বা হার্টের অসুখে ভুগে মৃতের সংখ্যা সারা বিশ্বে অনেক বেশি। যত সময় যাচ্ছে, ততই বেশি করে হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অন্য সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ না জানা থাকায় এবং সেই মুহূর্তে কী করণীয় সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় অনেকেই এই সময়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেন না।
বুকে ব্যথা, দীর্ঘশ্বাস ফেলা, মাত্রাতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া ইত্য়াদি হার্ট অ্যাটাকের সময়ে অত্যন্ত কমন ব্যাপার। তবে একলা থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন জানেন কি?
অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ বুকের বাম দিকের একেবারে মাঝে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয় এই সময়ে। হার্ট অ্যাটাকের এটাই সবচেয়ে প্রাথমিক লক্ষণ। সাধারণভাবে প্রায় ২০ মিনিট ব্যথা থাকে। ধীরে ধীরে তা উপরে বাম দিকের হাত ও কাঁধের সংযোগস্থল, ঘাড় ও চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রচণ্ড ঘাম হওয়া এইসময়ে প্রচণ্ড ঘাম হয় ও ধীরে ধীরে চারিদিক অন্ধকার মনে হতে থাকে। একা থাকলে এমন লক্ষণ বুঝলে কখনই অবহেলা করবেন না।
প্রয়োজনীয় জায়গায় খবর দিন একা থাকলে এমন সময়ে পরিচিতদের খবর দিয়ে রাখুন। হার্টের রোগীরা সবসময় অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিষেবার নম্বর হাতের কাছে রাখবেন। বাইরে রাস্তায় থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পাশের কারো সাহায্য নিন। অ্যাসপিরিন সঙ্গে রাখুন হার্ট অ্যাটাকের সময়ে অ্যাসপিরিন নিলে অনেকটা উপকার হয়। একা থাকা অবস্থায় অ্যাসপিরিন নিলে প্রাথমিক অবস্থায় অনেকটা সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।
জোরে শ্বাস নিন বহুকাল ধরেই এই ব্যাপারটি চলে আসছে। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, জোরে জোরে শ্বাস নিলে হার্ট অ্যাটাকের সময়ে অনেকটা উপকার হয়।
বুকে চাপ দিন হার্ট অ্যাটাকের সময়ে চিকিৎসকেরা অনেক সময়ে দুই হাত দিয়ে হার্টের উপরে চাপ দেন যাতে হৃকম্পনের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে। বাড়িতে একলা অবস্থায় নিজে থেকে এই পদ্ধতির ব্যবহার করা যেতে পারে।
কাশতে থাকা পুরনো হলেও এই টোটকা দারুণ কাজে দেয়। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে অনেক সময়ে হার্টের সমস্যায় জোরে জোরে কাশলে কোনো জায়গায় সামান্য ব্লক থাকলে তা খুলে যায়।

No comments

Powered by Blogger.