কলকাতার খবরে ঢাকায় হূৎকম্প
‘ওই মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে যদি মেসির পা ভাঙে, তাহলে আমাদের গর্দান যাবে’—বক্তার নাম জুলিয়ান কামিনো।
আশির দশকে খেলে গেছেন কলকাতা ইস্টবেঙ্গলে। দুদিন আগে কলকাতায় পা রেখেছেন মেসিদের সহকারী কোচ। কলকাতার সল্টলেকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ! অনুশীলনের জন্য মোহনবাগান মাঠ দেখে ওপরের মন্তব্যটি করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বিকেলে (পরশু) মোহনবাগান মাঠ দেখে বেশ বিরক্ত মনে হলো কামিনোসহ পুরো দলকে। মূলত বড় ঘাস আর অসমান মাঠ বলে। যুবভারতীতে খেলার পর মেসিদের পা ডুবিয়ে রাখার জন্য বরফজলের সুইমিংপুল (আইস বাথ) নেই জেনে চিন্তিত কামিনো। অন্তত পাঁচটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন।
মেসিদের কোচ জানতে চেয়েছেন, যুবভারতীর ঘাস ফিফা স্বীকৃত কি না। উদ্যোক্তারা সার্টিফিকেট দেখানোর পরও কামিনো অনুশীলনের জন্য চাইলেন ঘাসের একটা মাঠ। এ অবস্থায় কাল সাইয়ের মাঠ দেখানোর কথা ছিল।
আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি অমর সাহা জানিয়েছেন, মেসিরা কোথায় থাকবেন, নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন, বিমানবন্দর থেকে কীভাবে পুরো আর্জেন্টিনা দলকে আনা হবে—সেসব জানতে চেয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। কামিনো ছাড়া আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দুজন টেকনিক্যাল কর্মকর্তাও আছেন এই সফরে। আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা দেখে কমিটি নাকি খুশি।
কলকাতার খবরাখবর পত্রিকায় জেনে ঢাকায় বাফুফে কর্তাদের হূৎকম্পন শুরু হয়েছে। এক দিন পিছিয়ে আগামীকাল কামিনোদের ঢাকায় আসার কথা। কলকাতায় কামিনো বলছেন, মেসিসহ পুরো শক্তির দলই কলকাতায় আসছে। একই দল ৩ সেপ্টেম্বর আসবে ঢাকায়।
ঢাকায় এসে কমলাপুর স্টেডিয়াম দেখে কী বলবেন আর্জেন্টাইন সহকারী কোচ? ভাঙাচোরা রাস্তা পেরিয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে পৌঁছানোই বিরাট ঝক্কি। মাঠটা যেন ধানখেত। স্টেডিয়ামের ভেতরে অপরিচ্ছন্ন। ড্রেসিংরুম তৃতীয় বিভাগ ফুটবলেরও উপযোগী নয়! আইসবাথ দূর কল্পনা। এটা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেও নেই। শেষ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিসিবির পুরোনো অফিস ভেঙে ওটা করতে গিয়ে বিসিবির বাধার মুখে পড়েছে ক্রীড়া পরিষদ। তাই হচ্ছে না।
এ অবস্থায় বাফুফে ভবনে কর্তাদের ঘরোয়া আলোচনায় লজ্জার আগাম আভাস ভেসে বেড়াল কাল। কর্তাদের কেউ কেউ বললেন, ‘কমলাপুরে মেসিদের নেওয়াই যাবে না।’ তাহলে কী হবে, সেটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলল।
ম্যাচটার সময়সূচি পাঁচ মাস আগে ঠিক হয়েছে। এত দিনেও বলার মতো কোনো কাজই হয়নি। আর সব বাদ দিন, মেসির মতো খেলোয়াড়কে একটা অনুশীলন মাঠ দিতে পারছে না বাংলাদেশ, এর চেয়ে বড় জাতীয় লজ্জা আর কী হতে পারে!
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ আয়োজক কমিটির প্রধান আনোয়ারুল হক হেলালও শঙ্কিত। মুখে যদিও বলছেন, ‘আমি কলকাতায় ফোন করে জেনেছি, কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে নাকি কামিনো কথাই বলেননি। কলকাতার ম্যাচের আয়োজক সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্টের মূল কর্মকর্তা মিস্টার পান্ডে আমাকে বলেছেন, যা কাগজে লেখা হয়েছে, ওগুলো সাংবাদিকদের নিজস্ব মতামত।’
তবে হেলাল স্বীকার করেছেন, ‘অবশ্যই আমরা সামগ্রিক আয়োজন নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে অনুশীলন মাঠটা চিন্তার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে।’ এখন ভেতরের খবর হলো, প্রতিনিধিদলকে ‘ম্যানেজ’ করার ছক কষা হচ্ছে।
এতে কি লজ্জা এড়ানো যাবে?
ঢাকার ম্যাচে আর্জেন্টিনা দল
গোলরক্ষক: রোমেরো (সাম্পদোরিয়া), আন্দুজার (কাতানিয়া), আন্দ্রাদা (ল্যানুস)। ডিফেন্ডার: ডেমিকেলিস (মালাগা), ফার্নান্দেজ (নাপোলি), বুর্দিসো (রোমা), গ্যারে (বেনফিকা), ওটামেন্ডি (পোর্তো), জাবালেতা (ম্যান সিটি), গুতিয়েরেজ (নিউক্যাসল), আনসাল্ডি (রুবিন কাজান), পারেজা ও রোজো (স্পার্তাক মস্কো)। মিডফিল্ডার: মাচেরানো (বার্সেলোনা), ডি মারিয়া (রিয়াল মাদ্রিদ), বানেগা (ভ্যালেন্সিয়া), আলভারেজ (ইন্টার মিলান), রিনাউদো (স্পোর্টিং লিসবন), পাস্তোরে (প্যারিস সেন্ট-জার্মেই) গঞ্জালেজ (মার্সেই), সোসা (মেটালিস্ট)। স্ট্রাইকার: মেসি (বার্সেলোনা), হিগুয়েইন (রিয়াল মাদ্রিদ), সালভিও (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), আগুয়েরো (ম্যান সিটি), লোপেজ (লিওঁ)।
আশির দশকে খেলে গেছেন কলকাতা ইস্টবেঙ্গলে। দুদিন আগে কলকাতায় পা রেখেছেন মেসিদের সহকারী কোচ। কলকাতার সল্টলেকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ! অনুশীলনের জন্য মোহনবাগান মাঠ দেখে ওপরের মন্তব্যটি করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বিকেলে (পরশু) মোহনবাগান মাঠ দেখে বেশ বিরক্ত মনে হলো কামিনোসহ পুরো দলকে। মূলত বড় ঘাস আর অসমান মাঠ বলে। যুবভারতীতে খেলার পর মেসিদের পা ডুবিয়ে রাখার জন্য বরফজলের সুইমিংপুল (আইস বাথ) নেই জেনে চিন্তিত কামিনো। অন্তত পাঁচটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন।
মেসিদের কোচ জানতে চেয়েছেন, যুবভারতীর ঘাস ফিফা স্বীকৃত কি না। উদ্যোক্তারা সার্টিফিকেট দেখানোর পরও কামিনো অনুশীলনের জন্য চাইলেন ঘাসের একটা মাঠ। এ অবস্থায় কাল সাইয়ের মাঠ দেখানোর কথা ছিল।
আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি অমর সাহা জানিয়েছেন, মেসিরা কোথায় থাকবেন, নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন, বিমানবন্দর থেকে কীভাবে পুরো আর্জেন্টিনা দলকে আনা হবে—সেসব জানতে চেয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। কামিনো ছাড়া আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দুজন টেকনিক্যাল কর্মকর্তাও আছেন এই সফরে। আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা দেখে কমিটি নাকি খুশি।
কলকাতার খবরাখবর পত্রিকায় জেনে ঢাকায় বাফুফে কর্তাদের হূৎকম্পন শুরু হয়েছে। এক দিন পিছিয়ে আগামীকাল কামিনোদের ঢাকায় আসার কথা। কলকাতায় কামিনো বলছেন, মেসিসহ পুরো শক্তির দলই কলকাতায় আসছে। একই দল ৩ সেপ্টেম্বর আসবে ঢাকায়।
ঢাকায় এসে কমলাপুর স্টেডিয়াম দেখে কী বলবেন আর্জেন্টাইন সহকারী কোচ? ভাঙাচোরা রাস্তা পেরিয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে পৌঁছানোই বিরাট ঝক্কি। মাঠটা যেন ধানখেত। স্টেডিয়ামের ভেতরে অপরিচ্ছন্ন। ড্রেসিংরুম তৃতীয় বিভাগ ফুটবলেরও উপযোগী নয়! আইসবাথ দূর কল্পনা। এটা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেও নেই। শেষ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিসিবির পুরোনো অফিস ভেঙে ওটা করতে গিয়ে বিসিবির বাধার মুখে পড়েছে ক্রীড়া পরিষদ। তাই হচ্ছে না।
এ অবস্থায় বাফুফে ভবনে কর্তাদের ঘরোয়া আলোচনায় লজ্জার আগাম আভাস ভেসে বেড়াল কাল। কর্তাদের কেউ কেউ বললেন, ‘কমলাপুরে মেসিদের নেওয়াই যাবে না।’ তাহলে কী হবে, সেটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলল।
ম্যাচটার সময়সূচি পাঁচ মাস আগে ঠিক হয়েছে। এত দিনেও বলার মতো কোনো কাজই হয়নি। আর সব বাদ দিন, মেসির মতো খেলোয়াড়কে একটা অনুশীলন মাঠ দিতে পারছে না বাংলাদেশ, এর চেয়ে বড় জাতীয় লজ্জা আর কী হতে পারে!
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ আয়োজক কমিটির প্রধান আনোয়ারুল হক হেলালও শঙ্কিত। মুখে যদিও বলছেন, ‘আমি কলকাতায় ফোন করে জেনেছি, কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে নাকি কামিনো কথাই বলেননি। কলকাতার ম্যাচের আয়োজক সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্টের মূল কর্মকর্তা মিস্টার পান্ডে আমাকে বলেছেন, যা কাগজে লেখা হয়েছে, ওগুলো সাংবাদিকদের নিজস্ব মতামত।’
তবে হেলাল স্বীকার করেছেন, ‘অবশ্যই আমরা সামগ্রিক আয়োজন নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে অনুশীলন মাঠটা চিন্তার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে।’ এখন ভেতরের খবর হলো, প্রতিনিধিদলকে ‘ম্যানেজ’ করার ছক কষা হচ্ছে।
এতে কি লজ্জা এড়ানো যাবে?
ঢাকার ম্যাচে আর্জেন্টিনা দল
গোলরক্ষক: রোমেরো (সাম্পদোরিয়া), আন্দুজার (কাতানিয়া), আন্দ্রাদা (ল্যানুস)। ডিফেন্ডার: ডেমিকেলিস (মালাগা), ফার্নান্দেজ (নাপোলি), বুর্দিসো (রোমা), গ্যারে (বেনফিকা), ওটামেন্ডি (পোর্তো), জাবালেতা (ম্যান সিটি), গুতিয়েরেজ (নিউক্যাসল), আনসাল্ডি (রুবিন কাজান), পারেজা ও রোজো (স্পার্তাক মস্কো)। মিডফিল্ডার: মাচেরানো (বার্সেলোনা), ডি মারিয়া (রিয়াল মাদ্রিদ), বানেগা (ভ্যালেন্সিয়া), আলভারেজ (ইন্টার মিলান), রিনাউদো (স্পোর্টিং লিসবন), পাস্তোরে (প্যারিস সেন্ট-জার্মেই) গঞ্জালেজ (মার্সেই), সোসা (মেটালিস্ট)। স্ট্রাইকার: মেসি (বার্সেলোনা), হিগুয়েইন (রিয়াল মাদ্রিদ), সালভিও (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), আগুয়েরো (ম্যান সিটি), লোপেজ (লিওঁ)।
No comments