খাদেমের বীরত্বে বেঁচে গেল অর্ধশতাধিক মুসল্লির প্রাণ
বন্দুকধারী
এক ব্যক্তি মসজিদে ঢুকেই অতর্কিতভাবে মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি করতে
শুরু করে। গুলিবিদ্ধদের হৃদয়বিদারক চিৎকারের মধ্যেও চলছে অব্যাহত গুলি।
এমন সময় পেছন থেকে ওই বন্দুকধারীকে জাপটে ধরেন এক যুবক। শুরু হয়
ধস্তাধস্তি। একপর্যায়ে কেড়ে নেয়া হয় বন্দুক। পরে হামলাকারী মসজিদ থেকে
বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাইরে অপেক্ষারত সহযোগীদের গাড়িতে উঠে মুহূর্তেই
ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সে।
সিনেমার দৃশ্য মনে হলেও নিউজিল্যান্ডের লিনউড মসজিদে গতকাল ঠিক এমনটিই ঘটেছে।
অসাধারণ বীরত্ব দেখানো ওই যুবক মসজিদের দেখভাল করেন। বাংলাদেশে এরা খাদেম বলে পরিচিত। গতকাল ওই খাদেমের বীরত্বেই মসজিদের অর্ধশতাধিক মুসল্লি প্রাণে বেঁচে গেছেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে খাদেমের সাহসিকতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ মাজহারউদ্দিন জানান, তিনি ও মসজিদের খাদেম বন্ধু। বন্দুক হামলার সময় তারা দু’জনেই মসজিদে ছিলেন। তিনি বলেন, হঠাৎ খুব কাছেই গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি। আন্দাজ করেন যে, বন্দুকধারী তার একেবারেই নিকটে। এতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। সৈয়দ মাজহারুদ্দিন বলেন, আত্মরক্ষার জন্য আমি আশ্রয় খুঁজতে থাকি। তখন মসজিদের সদর দরজা দিয়ে বন্দুকধারী ভেতরে প্রবেশ করে।
ছোট মসজিদটিতে এ সময় ৬০-৭০ জন মুসল্লি ছিলেন। দরজার পাশেই বয়স্ক ব্যক্তিরা নামাজ পড়ছিলেন। এসব ব্যক্তিদের দিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে বন্দুকধারী। ঢালাওভাবে গুলি চালাতে থাকে তাদের ওপর। তার গায়ে ছিল ‘প্রটেকটিভ গিয়ার’ (আত্মরক্ষা করার মতো পোশাক বা সরঞ্জাম)। তখন হঠাৎ এক যুবক সুযোগ বুঝে বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। এই যুবক মসজিদটির দেখভাল করে থাকেন অর্থাৎ খাদেম। পরে বন্দুক হাতে খাদেম ওই হামলাকারীকে তাড়া করতে থাকেন। বন্দুক হাতে পেলেও এর ট্রিগার খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। হামলাকারীকে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করলেও সে বাইরে অপেক্ষারতদের সঙ্গে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়।
মসজিদের ভেতরে বন্দুকধারীর হামলায় মাজহারুদ্দিনের আরো কয়েকজন বন্ধু গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে তার এক বন্ধু মারা যান, আরেক বন্ধুর তীব্র রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মাজহারুদ্দিন বলেন, আমি দৌড়ে বের হই। পরে পুলিশ আসে। তারা আমাকে আর মসজিদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। ফলে রক্তক্ষরণ হওয়া বন্ধুর জীবন বাঁচাতে পারিনি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে আরো আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ততক্ষণে তার প্রাণ হয়তো শেষ হয়ে গেছে।
সিনেমার দৃশ্য মনে হলেও নিউজিল্যান্ডের লিনউড মসজিদে গতকাল ঠিক এমনটিই ঘটেছে।
অসাধারণ বীরত্ব দেখানো ওই যুবক মসজিদের দেখভাল করেন। বাংলাদেশে এরা খাদেম বলে পরিচিত। গতকাল ওই খাদেমের বীরত্বেই মসজিদের অর্ধশতাধিক মুসল্লি প্রাণে বেঁচে গেছেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে খাদেমের সাহসিকতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ মাজহারউদ্দিন জানান, তিনি ও মসজিদের খাদেম বন্ধু। বন্দুক হামলার সময় তারা দু’জনেই মসজিদে ছিলেন। তিনি বলেন, হঠাৎ খুব কাছেই গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি। আন্দাজ করেন যে, বন্দুকধারী তার একেবারেই নিকটে। এতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। সৈয়দ মাজহারুদ্দিন বলেন, আত্মরক্ষার জন্য আমি আশ্রয় খুঁজতে থাকি। তখন মসজিদের সদর দরজা দিয়ে বন্দুকধারী ভেতরে প্রবেশ করে।
ছোট মসজিদটিতে এ সময় ৬০-৭০ জন মুসল্লি ছিলেন। দরজার পাশেই বয়স্ক ব্যক্তিরা নামাজ পড়ছিলেন। এসব ব্যক্তিদের দিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে বন্দুকধারী। ঢালাওভাবে গুলি চালাতে থাকে তাদের ওপর। তার গায়ে ছিল ‘প্রটেকটিভ গিয়ার’ (আত্মরক্ষা করার মতো পোশাক বা সরঞ্জাম)। তখন হঠাৎ এক যুবক সুযোগ বুঝে বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। এই যুবক মসজিদটির দেখভাল করে থাকেন অর্থাৎ খাদেম। পরে বন্দুক হাতে খাদেম ওই হামলাকারীকে তাড়া করতে থাকেন। বন্দুক হাতে পেলেও এর ট্রিগার খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। হামলাকারীকে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করলেও সে বাইরে অপেক্ষারতদের সঙ্গে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়।
মসজিদের ভেতরে বন্দুকধারীর হামলায় মাজহারুদ্দিনের আরো কয়েকজন বন্ধু গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে তার এক বন্ধু মারা যান, আরেক বন্ধুর তীব্র রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মাজহারুদ্দিন বলেন, আমি দৌড়ে বের হই। পরে পুলিশ আসে। তারা আমাকে আর মসজিদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। ফলে রক্তক্ষরণ হওয়া বন্ধুর জীবন বাঁচাতে পারিনি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে আরো আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ততক্ষণে তার প্রাণ হয়তো শেষ হয়ে গেছে।
No comments