ভোটের পর আদালতে জামিনপ্রার্থীদের ভিড়
নতুন
বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম। গতকাল ছিল এর
তৃতীয় দিন। এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতপাড়ায় ছিল জামিন প্রার্থীদের
ভিড়। কেউ এসেছিলেন হাজিরা দিতে। আবার কেউ এসেছিলেন জামিন নিতে। মকবুল ইসলাম
খান। গেণ্ডারিয়া থানা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৪০ নং ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর। তাকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬০ জনকে আসামি করে গত নভেম্বরে
গেণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা হয়।
তাদের দাবি এটি গায়েবি মামলা। ওই মাসেই উচ্চ আদালত থেকে সবাই আগাম জামিন নেন। গতকাল মকবুল ইসলামসহ গেণ্ডারিয়া থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ১৫৩ জন নেতাকর্মী নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে যান।
গেণ্ডারিয়া থানা যুবদল সভাপতি উমর নবী বাবু বলেন, আমার নামে ২২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই গায়েবি মামলা। এই মামলাগুলোর সব ক’টিতেই জামিনে আছি আমি। মাসের ১৫ দিন আমাকে আদালতপাড়াতেই কাটাতে হয়। সাইদুর রহমান। পুরান ঢাকার মুদি দোকানি। তিনি এসেছেন জামিন আবেদন করতে। গত ২রা নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে সাইদুরসহ ৪৫ জনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করে। তিনি জানেন না, কী কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে তিনি জেনেছেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এরপর আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে যান তিনি। সেখান থেকে আগাম জামিন নেন। গতকাল হাজির হয়ে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন।
কেরানিগঞ্জ থেকে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ২৩ জন এসেছি হাজিরা দিতে। আমাদের সবার নামে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম কিসমতসহ আরো কয়েকজন এসেছিলেন জামিন নিতে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, গত ১লা অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৩৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় নাশকতার অভিযোগ এনে একটি গায়েবি মামলা করে। মামলায় যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সে ধরনের কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি বলে দাবি করেন তারা। অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, রাজধানীর শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী থানার দায়ের করা পৃথক ৬টি মামলায় গতকাল অন্তত ৫০ জনের জামিন হয়েছে। পল্লবী থানার আছদ্দর মিয়া জানান, আমি বিএনপি কর্মী। নাশকতার মামলায় আমাকে পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন আমি ছিলাম আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। অথচ আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তাদের দাবি এটি গায়েবি মামলা। ওই মাসেই উচ্চ আদালত থেকে সবাই আগাম জামিন নেন। গতকাল মকবুল ইসলামসহ গেণ্ডারিয়া থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ১৫৩ জন নেতাকর্মী নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে যান।
গেণ্ডারিয়া থানা যুবদল সভাপতি উমর নবী বাবু বলেন, আমার নামে ২২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই গায়েবি মামলা। এই মামলাগুলোর সব ক’টিতেই জামিনে আছি আমি। মাসের ১৫ দিন আমাকে আদালতপাড়াতেই কাটাতে হয়। সাইদুর রহমান। পুরান ঢাকার মুদি দোকানি। তিনি এসেছেন জামিন আবেদন করতে। গত ২রা নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে সাইদুরসহ ৪৫ জনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করে। তিনি জানেন না, কী কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে তিনি জেনেছেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এরপর আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে যান তিনি। সেখান থেকে আগাম জামিন নেন। গতকাল হাজির হয়ে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন।
কেরানিগঞ্জ থেকে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ২৩ জন এসেছি হাজিরা দিতে। আমাদের সবার নামে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম কিসমতসহ আরো কয়েকজন এসেছিলেন জামিন নিতে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, গত ১লা অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৩৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় নাশকতার অভিযোগ এনে একটি গায়েবি মামলা করে। মামলায় যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সে ধরনের কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি বলে দাবি করেন তারা। অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, রাজধানীর শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী থানার দায়ের করা পৃথক ৬টি মামলায় গতকাল অন্তত ৫০ জনের জামিন হয়েছে। পল্লবী থানার আছদ্দর মিয়া জানান, আমি বিএনপি কর্মী। নাশকতার মামলায় আমাকে পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন আমি ছিলাম আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। অথচ আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
No comments