সব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
বাংলাদেশে
অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মারাত্মক সব অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে
নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার
বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এসব অনিয়মের
মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন বিরোধীদলীয় সদস্যদের ওপর
হামলা। ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন। ভোট জালিয়াতি। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের
পক্ষপাতমূলক আচরণ। দীর্ঘ এক বিবৃতিতে তারা আরো বলেছে, সহিংসতা, বিরোধীদের
গণগ্রেপ্তার ও স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের পরে নির্বাচন কমিশন
ঘোষণা করেছে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনে পার্লামেন্টের ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়ী হয়েছে তার দল।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন হয়েছে অবাধ ও সুষ্ঠু। তবে, বিরোধীরা এ নির্বাচনকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে বিরোধীদের ওপর সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন, বিরোধীদের প্রচারণা অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। স্বাধীন মত প্রকাশকে সীমিত রাখতে আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচনের দিনে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে থাকার অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন ও পক্ষপাতিত্বহীন কমিশন গঠন করা উচিত।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও সহিংসতার ভয়ে সাংবাদিকরা তাদের রিপোর্ট সেন্সর করেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সব অপারেটরকে থ্রিজি ও ফোর জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। এতে যোগাযোগ ও তথ্য শেয়ার ব্যাহত হয়। নির্বাচনের দিনে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়- বিরোধী দলগুলো, সাংবাদিক ও ভোটাররা অনিয়মের গুরুতর সব অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে না দেয়া, ক্ষমতাসীনদের ভোটকেন্দ্র দখলে রাখা ও ভোটারের ভোট দিয়ে দেয়া, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশ দলীয় আচরণ করেছে, ভয়াবহ এক ভীতিকর পরিবেশে ভোটারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন অন্যতম। বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বলেছে, ২২১টি সংসদীয় আসনে তাদের কোনো পোলিং এজেন্ট দিতে দেয়া হয় নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচনের দিনে নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনাকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে, পুলিশ প্রধান জাভেদ পাটোয়ারি পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিরোধী দলকে ভোট দেয়ার অপরাধে নোয়াখালীতে চার সন্তানের এক মাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর ঢাকায় সাদা পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চার শিক্ষার্থীকে আটক করে। তারপর তারা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন এমন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে তাদেরকে ২রা জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো বলেছে, অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের পরিবর্তে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করার জন্য সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছে। ১লা জানুয়ারি সাদা পোশাকের পুলিশ ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রবাহ পত্রিকার খুলনাভিত্তিক সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রিপোর্ট করেছিলেন যে, খুলনা-১ আসনে মোট বৈধ ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। এ মামলায় আরেক সাংবাদিক রাশিদুল ইসলামের নাম রয়েছে। এ দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের প্রমাণ্যচিত্রের ভিডিও মুছে ফেলতে বাধ্য করেছে সাংবাদিকদের। একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ওপর হামলার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার সময় দৈনিক মানবজমিনের রিপোর্টার কাফি কামালকে প্রহার করা হয়েছে। তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, ওই ঘটনার ফুটেজ যখন ধারণ করছিলাম তখন তারা সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পায় এবং আমার ওপর হামলা চালায়। আমার সারা শরীরে আঘাত করে। আমার বাম চোখে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। শরীরের পশ্চাতে রয়েছে অসহনীয় ব্যথা।
ব্রাড এডামস বলেন, আন্তর্জাতিক দাতারা, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের বন্ধুদের স্মরণ রাখা উচিত যে নির্বাচন হলো ভোটারের অধিকার, যারা ক্ষমতায় তাদের নয়। উচ্চ মাত্রায় বিভক্ত একটি দেশ, যেখানে একটি দল শতকরা ৯৬ ভাগের বেশি আসনে বিজয়ী হয় সেখানে তাৎক্ষণিক প্রশ্ন উঠা উচিত।
এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনে পার্লামেন্টের ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়ী হয়েছে তার দল।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন হয়েছে অবাধ ও সুষ্ঠু। তবে, বিরোধীরা এ নির্বাচনকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে বিরোধীদের ওপর সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন, বিরোধীদের প্রচারণা অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। স্বাধীন মত প্রকাশকে সীমিত রাখতে আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচনের দিনে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে থাকার অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন ও পক্ষপাতিত্বহীন কমিশন গঠন করা উচিত।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও সহিংসতার ভয়ে সাংবাদিকরা তাদের রিপোর্ট সেন্সর করেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সব অপারেটরকে থ্রিজি ও ফোর জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। এতে যোগাযোগ ও তথ্য শেয়ার ব্যাহত হয়। নির্বাচনের দিনে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়- বিরোধী দলগুলো, সাংবাদিক ও ভোটাররা অনিয়মের গুরুতর সব অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে না দেয়া, ক্ষমতাসীনদের ভোটকেন্দ্র দখলে রাখা ও ভোটারের ভোট দিয়ে দেয়া, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশ দলীয় আচরণ করেছে, ভয়াবহ এক ভীতিকর পরিবেশে ভোটারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন অন্যতম। বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বলেছে, ২২১টি সংসদীয় আসনে তাদের কোনো পোলিং এজেন্ট দিতে দেয়া হয় নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচনের দিনে নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনাকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে, পুলিশ প্রধান জাভেদ পাটোয়ারি পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিরোধী দলকে ভোট দেয়ার অপরাধে নোয়াখালীতে চার সন্তানের এক মাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর ঢাকায় সাদা পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চার শিক্ষার্থীকে আটক করে। তারপর তারা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন এমন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে তাদেরকে ২রা জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো বলেছে, অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের পরিবর্তে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করার জন্য সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছে। ১লা জানুয়ারি সাদা পোশাকের পুলিশ ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রবাহ পত্রিকার খুলনাভিত্তিক সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রিপোর্ট করেছিলেন যে, খুলনা-১ আসনে মোট বৈধ ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। এ মামলায় আরেক সাংবাদিক রাশিদুল ইসলামের নাম রয়েছে। এ দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের প্রমাণ্যচিত্রের ভিডিও মুছে ফেলতে বাধ্য করেছে সাংবাদিকদের। একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ওপর হামলার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার সময় দৈনিক মানবজমিনের রিপোর্টার কাফি কামালকে প্রহার করা হয়েছে। তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, ওই ঘটনার ফুটেজ যখন ধারণ করছিলাম তখন তারা সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পায় এবং আমার ওপর হামলা চালায়। আমার সারা শরীরে আঘাত করে। আমার বাম চোখে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। শরীরের পশ্চাতে রয়েছে অসহনীয় ব্যথা।
ব্রাড এডামস বলেন, আন্তর্জাতিক দাতারা, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের বন্ধুদের স্মরণ রাখা উচিত যে নির্বাচন হলো ভোটারের অধিকার, যারা ক্ষমতায় তাদের নয়। উচ্চ মাত্রায় বিভক্ত একটি দেশ, যেখানে একটি দল শতকরা ৯৬ ভাগের বেশি আসনে বিজয়ী হয় সেখানে তাৎক্ষণিক প্রশ্ন উঠা উচিত।
No comments