আপনারা এলাকার সব জনগণের এমপি -আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনা
সংসদ
নেতা হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি
সর্বসম্মতিক্রমে আবারো সংসদ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এসময় তিনি ক্ষমতাকে
অর্থ অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য দলীয় এমপিদের নির্দেশ
দিয়েছেন। তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আপনারা শুধু নৌকা মার্কার এমপি
নন, এলাকার সব জনগণের এমপি। এটা মাথায় রেখেই জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে
হবে।
শপথ শেষে সংসদীয় দলের সভায় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০০৮ সাল ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। এছাড়া ১৯৯৬ সালে গঠিত সপ্তম সংসদেও তিনি সংসদ নেতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নতুন কেউ দায়িত্ব নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত সকলে সমস্বরে না না বলে দাঁড়িয়ে যান। তারা বলেন, আপনি যত দিন আছেন, ততদিন আমাদের অভিভাবক থাকবেন। আপনি দলের থাকবেন,দেশের অভিভাবক থাকবেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদ নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন।
এরপর দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন। এরপর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা পুনরায় সংসদ নেতা নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় এমপিরা করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান। এদিকে সংসদীয় দলের বৈঠকে একাদশ সংসদের উপনেতা নির্বাচনের কথা থাকলেও সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, আগামীদিনে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। বর্তমানে সংসদ উপনেতা আছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভায় অন্য কেউ বক্তব্য রাখেননি। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে সংসদ নেতা বেশকিছু নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ক্ষমতাকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে না বানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকের বিষয়ে প্রথমবার নির্বাচিত এমপি ও সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী অর্থকে বড় করে না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনার শুধু নৌকার এমপি নন, কে নৌকায় ভোট দিয়েছে, কে দেয়নি, সেটা বিবেচ্য নয়। সবার উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সভায় শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের জাতির পিতাকে হত্যার পর অনেকেই মনে করেছিল আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এই নির্বাচন সেটাই প্রমাণ করেছে। আমাদের অনেক দুঃসময় গেছে। লণ্ডনে থেকে আমি প্রথম আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করি। জনগণ আমাদের পাশে আছে। জনগণ পাশে থাকলে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে আমাদের যে ঋণ, সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। উন্নয়নের মাধ্যমেই সেই ঋণ পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। আমরা আজকে আছি, আগামীতে থাকবো কি না, কেউ বলতে পারে না। তাই ক্ষমতাকে কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করবেন না। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে যেভাবে জনগণের কাছে গিয়েছেন। এখন শপথ নেয়ার পর একইভাবে জনগণের কাছে যাবেন, সম্পর্ক ঠিক রাখবেন। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে ভবিষ্যতে হারবেন না।
তাই সবসময় জনগণের পাশে থাকবেন। জনগণের কাছে থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি সঙ্গে থাকে তবে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না। আপনারা জনগণের মাঝে থাকবেন। জনগণের সুখে-দুঃখে আপনারা তাদের পাশে থাকবেন। জনগণের জন্য কাজ করে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সেটা অব্যাহত রাখবো। তিনি বলেন, গত ১০ বছরের আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছি। নির্বাচনের ফলাফলে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। এদেশের মানুষ বিএনপির দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িতকতার বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে রায় দিয়েছে। আগামীদিনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন সংসদ নেতা। নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য ও যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেয়ার সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। নির্বাচন নয়, যেন তাদের লক্ষ্যই ছিল মনোনয়ন বাণিজ্য করা। এ কারণেই তারা ডুবেছে। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখবেন ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তারা প্রত্যেকের নামে মামলা করতে পারে। এসব মামলা মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যে অর্জন, যে বিজয় সেটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয়। এই বিজয়কে নসাৎ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে আর ফিরতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আগামীদিনে উন্নয়নের গতি আরো বেগবান করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে, সেটা অব্যাহত থাকবে। ২১০০ সালকে সামনে রেখে আমরা উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবার্ষিকী পালিত হবে।
তখন যারা থাকবেন, তারা একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশে স্বাধীনতার শতবার্ষিকী পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এর আগে সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানে শুরুতে শপথ নেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। গত ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সব মিলিয়ে সাতটি আসন পেয়েছেন।
শপথ শেষে সংসদীয় দলের সভায় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০০৮ সাল ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। এছাড়া ১৯৯৬ সালে গঠিত সপ্তম সংসদেও তিনি সংসদ নেতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নতুন কেউ দায়িত্ব নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত সকলে সমস্বরে না না বলে দাঁড়িয়ে যান। তারা বলেন, আপনি যত দিন আছেন, ততদিন আমাদের অভিভাবক থাকবেন। আপনি দলের থাকবেন,দেশের অভিভাবক থাকবেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদ নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন।
এরপর দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন। এরপর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা পুনরায় সংসদ নেতা নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় এমপিরা করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান। এদিকে সংসদীয় দলের বৈঠকে একাদশ সংসদের উপনেতা নির্বাচনের কথা থাকলেও সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, আগামীদিনে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। বর্তমানে সংসদ উপনেতা আছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভায় অন্য কেউ বক্তব্য রাখেননি। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে সংসদ নেতা বেশকিছু নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ক্ষমতাকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে না বানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকের বিষয়ে প্রথমবার নির্বাচিত এমপি ও সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী অর্থকে বড় করে না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনার শুধু নৌকার এমপি নন, কে নৌকায় ভোট দিয়েছে, কে দেয়নি, সেটা বিবেচ্য নয়। সবার উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সভায় শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের জাতির পিতাকে হত্যার পর অনেকেই মনে করেছিল আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এই নির্বাচন সেটাই প্রমাণ করেছে। আমাদের অনেক দুঃসময় গেছে। লণ্ডনে থেকে আমি প্রথম আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করি। জনগণ আমাদের পাশে আছে। জনগণ পাশে থাকলে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে আমাদের যে ঋণ, সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। উন্নয়নের মাধ্যমেই সেই ঋণ পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। আমরা আজকে আছি, আগামীতে থাকবো কি না, কেউ বলতে পারে না। তাই ক্ষমতাকে কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করবেন না। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে যেভাবে জনগণের কাছে গিয়েছেন। এখন শপথ নেয়ার পর একইভাবে জনগণের কাছে যাবেন, সম্পর্ক ঠিক রাখবেন। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে ভবিষ্যতে হারবেন না।
তাই সবসময় জনগণের পাশে থাকবেন। জনগণের কাছে থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি সঙ্গে থাকে তবে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না। আপনারা জনগণের মাঝে থাকবেন। জনগণের সুখে-দুঃখে আপনারা তাদের পাশে থাকবেন। জনগণের জন্য কাজ করে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সেটা অব্যাহত রাখবো। তিনি বলেন, গত ১০ বছরের আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছি। নির্বাচনের ফলাফলে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। এদেশের মানুষ বিএনপির দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িতকতার বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে রায় দিয়েছে। আগামীদিনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন সংসদ নেতা। নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য ও যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেয়ার সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। নির্বাচন নয়, যেন তাদের লক্ষ্যই ছিল মনোনয়ন বাণিজ্য করা। এ কারণেই তারা ডুবেছে। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখবেন ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তারা প্রত্যেকের নামে মামলা করতে পারে। এসব মামলা মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যে অর্জন, যে বিজয় সেটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয়। এই বিজয়কে নসাৎ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে আর ফিরতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আগামীদিনে উন্নয়নের গতি আরো বেগবান করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে, সেটা অব্যাহত থাকবে। ২১০০ সালকে সামনে রেখে আমরা উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবার্ষিকী পালিত হবে।
তখন যারা থাকবেন, তারা একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশে স্বাধীনতার শতবার্ষিকী পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এর আগে সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানে শুরুতে শপথ নেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। গত ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সব মিলিয়ে সাতটি আসন পেয়েছেন।
No comments