কিউবার বিপ্লবের ৬০ বছর পূর্তি: ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ রাউল ক্যাস্ত্রোর
সাম্যবাদী
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হওয়া কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর পূর্তি হয়েছে।
এদিন দেয়া এক বক্তৃতায় দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান রাউল ক্যাস্ত্রো
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ
প্রকাশ করেছেন। তিনি দ্বীপরাষ্ট্র কিউবা ও লাতিন আমেরিকায় সংঘাত সৃষ্টির
লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে সেকেলে বলে আখ্যায়িত করেন। রাউল
ক্যাস্ত্রো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে
বলেন, ক্রমাগতভাবে তার প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা আঞ্চলিক অশুভ
সবকিছুর জন্য কিউবাকে দায়ী করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে
আল-জাজিরা। মঙ্গলবার অবস্থিত ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করা বিপ্লবী নেতা ফিদেল
ক্যাস্ত্রোর সমাধিস্থল সান্তিয়াগো দে কুবাতে বসে তিনি এ বক্তব্য প্রদান
করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিউবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল
দিয়াজ-ক্যানেল। রাউল ক্যাস্ত্রো বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামা প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
কিন্তু মনে হচ্ছে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন পুনরায় সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। ৮৭ বছর বয়স্ক এ নেতা আরো বলেন, বিপ্লবের ৬ দশকে কিউবা প্রমাণ করেছে যেকোনো ধরনের হুমকিকে তারা ভয় পায় না। শান্তি ও সম্মানের সঙ্গে আমরা টিকে রয়েছি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে বড় ভাই ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন রাউল ক্যাস্ত্রো। কিউবায় সে সময় ক্ষমতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত স্বৈরশাসক বাতিস্তা। বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। স্বৈরাচার উৎখাত করে দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কমিউনিস্ট শাসন। সেই বিপ্লবেরই ৬০ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্র রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় কিউবার সঙ্গে কয়েক দশকের শীতল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬২ সাল থেকে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন, ভিয়েতনামের মতো বর্তমানে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ নিজেকে কমিউনিস্ট দাবি করে থাকে তার মধ্যে কিউবা অন্যতম।
এর আগে এপ্রিলে রাউল ক্যাস্ত্রো কিউবার প্রেসিডেন্ট পদ ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে থাকবেন। মঙ্গলবার যখন তিনি কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছেন, একইদিনে লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ ব্রাজিলে উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোরানো ব্রাজিলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
কিন্তু মনে হচ্ছে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন পুনরায় সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। ৮৭ বছর বয়স্ক এ নেতা আরো বলেন, বিপ্লবের ৬ দশকে কিউবা প্রমাণ করেছে যেকোনো ধরনের হুমকিকে তারা ভয় পায় না। শান্তি ও সম্মানের সঙ্গে আমরা টিকে রয়েছি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে বড় ভাই ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন রাউল ক্যাস্ত্রো। কিউবায় সে সময় ক্ষমতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত স্বৈরশাসক বাতিস্তা। বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। স্বৈরাচার উৎখাত করে দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কমিউনিস্ট শাসন। সেই বিপ্লবেরই ৬০ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্র রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় কিউবার সঙ্গে কয়েক দশকের শীতল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬২ সাল থেকে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন, ভিয়েতনামের মতো বর্তমানে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ নিজেকে কমিউনিস্ট দাবি করে থাকে তার মধ্যে কিউবা অন্যতম।
এর আগে এপ্রিলে রাউল ক্যাস্ত্রো কিউবার প্রেসিডেন্ট পদ ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে থাকবেন। মঙ্গলবার যখন তিনি কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছেন, একইদিনে লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ ব্রাজিলে উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোরানো ব্রাজিলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
No comments