ইরাকে নিযুক্ত সিরীয় রাষ্ট্রদূতের পক্ষত্যাগ
ইরাকে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ আল ফারেস প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পক্ষ ত্যাগ করেছেন। গত বুধবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা ও সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি সরকারের পক্ষ ত্যাগ করে বিরোধীপক্ষে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারি
ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সিরিয়া সরকারের পক্ষ ত্যাগের আহ্বান জানান। এ ঘটনাকে আসাদ সরকারের জন্য বড় ধাক্কা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আল-জাজিরায় বুধবার রাতে সম্প্রচারিত ভিডিও বার্তায় ফারেস বলেন, 'ইরাকে সিরিয়া সরকারের প্রতিনিধির পদ থেকে আমি সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির পদ থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি বিপ্লবে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি। কামান ও ট্যাংকগুলো তাদের দিকে তাক করুন, যারা নির্বিচারে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে।' তিনি আরো বলেন, 'এখন থেকে আমি বিদ্রোহীদের পাশে থাকব। দলের সব সদস্যকে একই কাজ করতে বলব। কারণ এ সরকার জনগণের নিপীড়নকারীতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা দমন করছে।'
কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, ফারেস গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছেন। এরপর তিনি ইরাকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি তাঁকে (ফারেস) অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে ইরাকি কর্মকর্তারা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
ফারেসের এ পদক্ষেপকে আসাদ সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘ-আরব লিগের দূত কফি আনানের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সিরিয়া সরকারকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট আসাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর এই প্রথম সিরিয়া সরকারের কোনো শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা পক্ষত্যাগ করলেন। এর আগে আসাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এলিট রিপাবলিকান আর্মির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মানাফ তালাস দেশত্যাগ করে তুরস্কে আশ্রয় নেন।
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি বলেন, 'অতি সম্প্রতি আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা আসাদ সরকারকে ত্যাগ করবেন। সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যেই এ রকম অনেক ব্যক্তি আছেন। সিরিয়া সরকার এখন চূড়ান্ত সীমায় পেঁৗছে গেছে। আমার মতে, আন্তর্জাতিক মহল ও নিজ দেশে আসাদের সমর্থন দিন দিন কমে যাচ্ছে।'
ফারেস প্রসঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, তাঁকে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, 'ইরাকে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে নাওয়াফ ফারেসকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। বাগদাদে থাকা আমাদের দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। গণমাধ্যমে প্রচারিত ফারেসের বক্তব্য তাঁর কাজের সঙ্গে যায় না। তাই শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' তবে সিরিয়ার দূতাবাস স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ চালিয়ে যাবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান।
আল-জাজিরায় বুধবার রাতে সম্প্রচারিত ভিডিও বার্তায় ফারেস বলেন, 'ইরাকে সিরিয়া সরকারের প্রতিনিধির পদ থেকে আমি সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির পদ থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি বিপ্লবে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি। কামান ও ট্যাংকগুলো তাদের দিকে তাক করুন, যারা নির্বিচারে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে।' তিনি আরো বলেন, 'এখন থেকে আমি বিদ্রোহীদের পাশে থাকব। দলের সব সদস্যকে একই কাজ করতে বলব। কারণ এ সরকার জনগণের নিপীড়নকারীতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা দমন করছে।'
কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, ফারেস গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছেন। এরপর তিনি ইরাকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি তাঁকে (ফারেস) অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে ইরাকি কর্মকর্তারা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
ফারেসের এ পদক্ষেপকে আসাদ সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘ-আরব লিগের দূত কফি আনানের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সিরিয়া সরকারকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট আসাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর এই প্রথম সিরিয়া সরকারের কোনো শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা পক্ষত্যাগ করলেন। এর আগে আসাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এলিট রিপাবলিকান আর্মির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মানাফ তালাস দেশত্যাগ করে তুরস্কে আশ্রয় নেন।
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি বলেন, 'অতি সম্প্রতি আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা আসাদ সরকারকে ত্যাগ করবেন। সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যেই এ রকম অনেক ব্যক্তি আছেন। সিরিয়া সরকার এখন চূড়ান্ত সীমায় পেঁৗছে গেছে। আমার মতে, আন্তর্জাতিক মহল ও নিজ দেশে আসাদের সমর্থন দিন দিন কমে যাচ্ছে।'
ফারেস প্রসঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, তাঁকে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, 'ইরাকে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে নাওয়াফ ফারেসকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। বাগদাদে থাকা আমাদের দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। গণমাধ্যমে প্রচারিত ফারেসের বক্তব্য তাঁর কাজের সঙ্গে যায় না। তাই শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' তবে সিরিয়ার দূতাবাস স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ চালিয়ে যাবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান।
No comments