শেয়ারবাজার-ব্যাংকের বিনিয়োগ শর্ত শিথিল হলো সার্কুলার জারি
শেয়ারবাজারসংক্রান্ত এসইসির বুধবারের ঘোষণা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও ব্রোকারেজ কার্যক্রমের জন্য গঠিত ব্যাংকের নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কম্পানিতে দেওয়া কোনো ব্যাংকের মূলধন পুঁজিবাজারে ওই ব্যাংকের বিনিয়োগ (এঙ্পোজার) হিসেবে দেখা হবে না। এর ফলে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলো আরো বেশি করে বিনিয়োগ করতে পারবে।
২০১০ সালের ১৫ জুন এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনার উদ্ধৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, কোনো কম্পানিতে কোনো ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি সমমূলধন বিনিয়োগও (ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট) ওই ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের হিসাবায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
ব্যাংকের শেয়ার ধারণ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে বিভিন্ন সময় দেওয়া নির্দেশনাগুলোকে স্পষ্ট করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা দেয়। সাবসিডিয়ারি কম্পানিগুলোর একক ঋণগ্রহীতা সীমা নামিয়ে আনার জন্য ব্যাংকগুলো আরো এক বছর বেশি সময় পাবে। আগে ব্যাংকগুলোকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে একক ঋণগ্রহীতা সীমা (সিংগল বরোয়ার এঙ্পোজার লিমিট) আইনানুগ সীমা মোট দায়ের ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গতকালের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ সময়সীমা ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
গতকালের নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ থেকে উদ্ভূত কোনো ক্ষতির জন্য নিরাপত্তা জামানত (প্রভিশন) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এখন লোকসানের সঙ্গে লাভও সমন্বয় করা যাবে। বৈদেশিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিদেশি ব্রোকারেজ ফার্মকে কমিশন দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করার কথাও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে নথিপত্র দাখিল করলে বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত অনুমতি দেবে বলে ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের (ডিওএস) মহাব্যবস্থাপক কে এম গাওছুজ্জামান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়। বিদেশি ব্রোকারেজ ফার্মের কমিশন প্রদানের ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে পুঁজিবাজারে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিতমাত্রায় আসছিল না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এ বিষয়ে সম্প্রতি এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে সিআরআর ও এসএলআর কমানোর দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। গত বুধবার এসইসির ঘোষণায় এ বিষয়ে কিছু বলা না হলেও শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকালের ঘোষণায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সিআরআর, এসএলআর না কমালেও এসব উদ্যোগের কারণে ব্যাংক ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আরো বেশি বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনাকে পুঁজিবাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এসইসি ঘোষিত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ ঘোষণা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ব্যাংকের শেয়ার ধারণ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে বিভিন্ন সময় দেওয়া নির্দেশনাগুলোকে স্পষ্ট করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা দেয়। সাবসিডিয়ারি কম্পানিগুলোর একক ঋণগ্রহীতা সীমা নামিয়ে আনার জন্য ব্যাংকগুলো আরো এক বছর বেশি সময় পাবে। আগে ব্যাংকগুলোকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে একক ঋণগ্রহীতা সীমা (সিংগল বরোয়ার এঙ্পোজার লিমিট) আইনানুগ সীমা মোট দায়ের ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গতকালের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ সময়সীমা ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
গতকালের নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ থেকে উদ্ভূত কোনো ক্ষতির জন্য নিরাপত্তা জামানত (প্রভিশন) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এখন লোকসানের সঙ্গে লাভও সমন্বয় করা যাবে। বৈদেশিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিদেশি ব্রোকারেজ ফার্মকে কমিশন দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করার কথাও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে নথিপত্র দাখিল করলে বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত অনুমতি দেবে বলে ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের (ডিওএস) মহাব্যবস্থাপক কে এম গাওছুজ্জামান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়। বিদেশি ব্রোকারেজ ফার্মের কমিশন প্রদানের ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে পুঁজিবাজারে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিতমাত্রায় আসছিল না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এ বিষয়ে সম্প্রতি এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে সিআরআর ও এসএলআর কমানোর দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। গত বুধবার এসইসির ঘোষণায় এ বিষয়ে কিছু বলা না হলেও শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকালের ঘোষণায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সিআরআর, এসএলআর না কমালেও এসব উদ্যোগের কারণে ব্যাংক ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আরো বেশি বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনাকে পুঁজিবাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এসইসি ঘোষিত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ ঘোষণা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
No comments