ব্রাভোকে ছাপিয়ে ‘রিভিউ’ বিতর্ক
‘এ অবস্থায় দুদলই দাঁড়িয়ে সমতায়’—দিনের খেলা শেষে বললেন ডগ বলিঞ্জার। একজন অস্ট্রেলিয়ানের মুখে এ কথা শুনে স্বস্তি পেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ব্রিসবেনে তিন দিনে হারের পর তাদের নিয়ে কত কথাই না বলা হয়েছে। অ্যাডিলেড টেস্টের গতিপথ শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেবে, তা সময়ই বলবে। তবে একটা দিন কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশিই থেকেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
প্রথম দিন শেষে অনেকে হয়তো কিছুটা এগিয়ে রাখবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। খেলা হয়েছে ৮৫ ওভার, ৬ উইকেট হারিয়ে ক্রিস গেইলের দল তুলেছে ৩৩৬। ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৩.৯৫ করে। সেঞ্চুরি করেছেন ডোয়াইন ব্রাভো, তবে দিনভর তাঁর চেয়েও বেশি আলোচনায় ছিলেন ৬২ রান করা শিবনারায়ণ চন্দরপল। ‘রিভিউ’ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কটা আরও একদফা উসকে দিয়েছে তাঁর আউট।
জবাব একটা দিয়েছেন বলিঞ্জারও। এই টেস্টে তাঁর খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর গেইল বলেছিলেন ‘বলিঞ্জারটা আবার কে?’ কাল প্রথম ৫ ওভারেই দুই উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি, যার মধ্যে ছিল ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের উইকেটটিও। বলিঞ্জারকে এখন আর না চিনে উপায় নেই গেইলের! অভিষেক টেস্টের ১১ মাস পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা বলিঞ্জারের জোড়া আঘাতের পর মিচেল জনসন সারওয়ানকেও ফিরিয়ে দিলে প্রথম সেশনটা হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ারই।
ব্রেন্ডন ন্যাশের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন চন্দরপল। বিরতির পর ফিরলেন ব্রাভোকে নিয়ে। লাঞ্চের আগের ওভারেই সাবেক কুইন্সল্যান্ড সতীর্থ জনসনের বলে বাহুতে আঘাত পেয়েছিলেন ন্যাশ, লাঞ্চের পর তাই আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সময়টা এসেছে তখনই। বরাবরের মতোই ধৈর্যের প্রতিমূর্তি ছিলেন চন্দরপল, আর ব্রাভো খেলেছেন নিজের সহজাত খেলা। ১১৬ রানের জুটিটার মৃত্যু হয়েছে একটি বিতর্কের জন্ম দিয়ে। চন্দরপলের ৩৮ রানের মাথায় কট বিহাইন্ডের দাবিতে রিভিউয়ের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া, পরিষ্কার বুঝতে না পারায় আউট দেননি টিভি আম্পায়ার আসাদ রউফ। যেটিতে আউট হয়েছেন, টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল না সেটিও। কিন্তু এবার আউট দিয়ে দেন রউফ।
চন্দরপল না পেলেও ব্রাভো পেয়েছেন ভাগ্য-সহায়তা। ৪৬ রানে দুবার এবং ৫৯ রানে আরও একবার ‘জীবন’ পেয়ে পূর্ণ করেছেন তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই, ২০০৫ সালে হোবার্টে। ব্যাট হাতে বাংলাদেশ সিরিজের ফর্মটা এই সিরিজেও টেনে আনলেন স্যামি, আবার ব্যাটিংয়ে নামা ন্যাশকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ৬৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
প্রথম দিন শেষে অনেকে হয়তো কিছুটা এগিয়ে রাখবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। খেলা হয়েছে ৮৫ ওভার, ৬ উইকেট হারিয়ে ক্রিস গেইলের দল তুলেছে ৩৩৬। ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৩.৯৫ করে। সেঞ্চুরি করেছেন ডোয়াইন ব্রাভো, তবে দিনভর তাঁর চেয়েও বেশি আলোচনায় ছিলেন ৬২ রান করা শিবনারায়ণ চন্দরপল। ‘রিভিউ’ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কটা আরও একদফা উসকে দিয়েছে তাঁর আউট।
জবাব একটা দিয়েছেন বলিঞ্জারও। এই টেস্টে তাঁর খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর গেইল বলেছিলেন ‘বলিঞ্জারটা আবার কে?’ কাল প্রথম ৫ ওভারেই দুই উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি, যার মধ্যে ছিল ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের উইকেটটিও। বলিঞ্জারকে এখন আর না চিনে উপায় নেই গেইলের! অভিষেক টেস্টের ১১ মাস পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা বলিঞ্জারের জোড়া আঘাতের পর মিচেল জনসন সারওয়ানকেও ফিরিয়ে দিলে প্রথম সেশনটা হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ারই।
ব্রেন্ডন ন্যাশের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন চন্দরপল। বিরতির পর ফিরলেন ব্রাভোকে নিয়ে। লাঞ্চের আগের ওভারেই সাবেক কুইন্সল্যান্ড সতীর্থ জনসনের বলে বাহুতে আঘাত পেয়েছিলেন ন্যাশ, লাঞ্চের পর তাই আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সময়টা এসেছে তখনই। বরাবরের মতোই ধৈর্যের প্রতিমূর্তি ছিলেন চন্দরপল, আর ব্রাভো খেলেছেন নিজের সহজাত খেলা। ১১৬ রানের জুটিটার মৃত্যু হয়েছে একটি বিতর্কের জন্ম দিয়ে। চন্দরপলের ৩৮ রানের মাথায় কট বিহাইন্ডের দাবিতে রিভিউয়ের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া, পরিষ্কার বুঝতে না পারায় আউট দেননি টিভি আম্পায়ার আসাদ রউফ। যেটিতে আউট হয়েছেন, টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল না সেটিও। কিন্তু এবার আউট দিয়ে দেন রউফ।
চন্দরপল না পেলেও ব্রাভো পেয়েছেন ভাগ্য-সহায়তা। ৪৬ রানে দুবার এবং ৫৯ রানে আরও একবার ‘জীবন’ পেয়ে পূর্ণ করেছেন তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই, ২০০৫ সালে হোবার্টে। ব্যাট হাতে বাংলাদেশ সিরিজের ফর্মটা এই সিরিজেও টেনে আনলেন স্যামি, আবার ব্যাটিংয়ে নামা ন্যাশকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ৬৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
No comments