মার্কিন নির্বাচন-২০২৪: কমালা না ট্রাম্প? বিভক্ত বাংলাদেশি কমিউনিটি! by সিদ্দিকুর রহমান সুমন
অভিবাসনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে রিপাবলিকানরা। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা নাগরিক অধিকার, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উদারনৈতিক অবস্থানে। তবে এই উদার ভূমিকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে অবাধে অবৈধ পথে বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন আসায় অভ্যন্তরীণ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক-সামাজিক এমনকি আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে।
অন্যদিকে রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় থাকলে সবার আগে দেশ- এই নীতিতে চলার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার উপর গুরুত্ব দেয়, অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার কারণে অন্য কেউ অপরাধ করতে তিনবার ভাবে। নিউ ইয়র্কের বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ এন মজুমদার প্রকাশ্যে কমালাকে সমর্থন দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের প্রার্থী তিনি। ডেমোক্রেট ক্ষমতায় থাকলে অভিবাসনের পথ সহজ হয়, সাধারণ মানুষের উপকার হয়। বাইডেনের হোমকেয়ার-মেডিকেড-স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন বেনিফিটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য কমালা হ্যারিসের জয়ের প্রয়োজন।
কমিউনিটি নেতা টিটু আহমেদ জানান, তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করেন। কারণ ইমিগ্রেশন, ট্যাক্স, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সহ অন্য বিষয়ে তার নীতি আমেরিকার নিজের স্বার্থ রক্ষা করে। এ ছাড়া বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিও বদলাতে ট্রাম্পের প্রয়োজন বলেও মনে করেন সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের এই সাধারণ সম্পাদক। মিশিগান প্রবাসী মারুফ খানের মতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। বাইডেনের প্রত্যক্ষ সমর্থন থাকায় গাজায় ধ্বংস করে মুসলিম গণহত্যা চালানোর সাহস পাচ্ছে ইসরাইল- এই তথ্য জানিয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, মিশিগানে শুধু বাংলাদেশি না- মুসলিম কমিউনিটি এবার ভেবেচিন্তে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিবে। ব্রঙ্কসের বাসিন্দা বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আক্তার খান রাজু জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য যদি ভালো হয়, তাহলে জীবনযাত্রার মানও ভালো হয়। বর্তমানে অনেক কারণেই বাইডেন সাধারণ মানুষের সমর্থন হারাচ্ছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প দেশকে গুরুত্ব দেয়ার ইকোনমিক সেক্টরের উন্নতি ঘটে, ব্যবসার প্রতি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করেন, তাই ট্রাম্প আসার পক্ষে তিনি।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সাবেক কর্মকর্তা মাসুদ-উর রহমান জানান, বর্তমানে অভিবাসন একটি জটিল সমস্যা, যা রাজনৈতিক এবং বাস্তব উভয় চ্যালেঞ্জকেই উপস্থাপন করেছে। সীমান্তে অবৈধ পারাপার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অভ্যন্তরীণ সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, অপরাধ বাড়ছে, চাকরির বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা যদি সঠিক পথে থাকে তাহলে অপরাধপ্রবণতা কমে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রিপাবলিকানরা মেধার ভিত্তিতে ইমিগ্রান্ট পদ্ধতি চায় যা আমেরিকার জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরাইলের সমর্থনের কারণে ডেমোক্রেটদের প্রতি মুসলিম ভোটারদের ক্ষোভ আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
No comments