জেসমিনের অফিসে মিললো ‘সুইসাইড নোট’ by মারুফ কিবরিয়া
রাজধানীর
মিরপুরের সরকারি কলোনির বাসা থেকে মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনা নতুন
মোড় দিয়েছে। ঘটনার দিন লেখা নিহত জেসমিন আখতারের একটি নোট রহস্যের জন্ম
দিয়েছে। চিঠিটি জেসমিনের কর্মস্থল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস থেকে
উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ চিঠি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তকারী
দারুস সালাম থানার এসআই রায়হানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার
রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে বাংলা কলেজের পাশে টোলারবাগ এলাকার
সি-টাইপ স্টাফ কোয়ার্টারের ১৩৪নং ভবনের চারতলা থেকে দুই শিশুকন্যা ও মায়ের
গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চিঠির বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান,
ঘটনার দিনই জেসমিন আখতার তার অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে একটি নোট লিখে রাখেন।
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আমরা তা পেয়েছি। ওই চিঠিতে লেখা আছে ‘আমি বেঁচে
থাকার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না। আমার সব দিক থেকে অনেক অন্ধকার নেমে এসেছে।
আমার মৃত্যুর জন্য আমার নির্মম দুর্ভাগ্যই দায়ী।’ এ চিঠির বিষয়ে জেসমিনের
স্বজনরা বলছেন, নিহত জেসমিনের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন সন্দেহের সৃষ্টি
করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হয়তো রহস্যের জট খুলবে। একই কথা বলেছেন
তদন্তকারী কর্মকর্তাও। এ ব্যাপারে জেসমিনের ভাই শাহীনুর মানবজমিনকে বলেন,
আমি এখনো ঢাকার বাইরে। আমার বোন অসুস্থ ছিলেন তা ঠিক। কিন্তু এতগুলো আঘাতের
চিহ্ন থাকায় এখন আমার সন্দেহ কাজ করছে। একজন মানুষ দুই মেয়ের গলা কাটার পর
আবার নিজে শরীরে এত আঘাত কিভাবে করে! এটা আমার কাছে সন্দেহ হচ্ছে। এখনো
কাউকে এর জন্য দায়ী করার কোনো ক্লু পাচ্ছি না। তবে আমিও ময়নাতদন্তের
রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। সেখানে কি পাওয়া যায় সেটা দেখে তারপর স্টেপ
নেবো।
নিহত জেসমিন আক্তার (৩৫) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্বামী হাসিবুল ইসলাম জাতীয় সংসদের সহকারী লেজিসলেটিভ ড্রাফটম্যান হিসেবে কর্মরত। হাসিবুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের ভজনপুর গ্রামে। জেসমিনের বাবার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। হাসিবুল ইসলাম ২০০৬ সালে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৭ সালে তিনি সরকারিভাবে ওই কোয়ার্টারে বাসা বরাদ্দ পান। ২০০৮ সালে জেসমিনকে বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ওই বাসাতেই বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০শে এপ্রিল অফিস থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে বাসায় চলে আসেন জেসমিন আখতার। এসেই মেয়েদের খাইয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। বিকাল ৫টার দিকে তার স্বামী হাসিবুল বাসায় আসেন। তবে রুমের দরজা বন্ধ এবং ভেতরে টিভির শব্দ শুনে আর ভেতরে প্রবেশ করেননি। তিনি ভেবেছিলেন জেসমিন তার দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমাচ্ছেন। তাই তিনি কাউকে না ডেকেই নামাজ পড়তে মসজিদে যান হাসিবুল। মাগরিবের নামাজ শেষে এসে জেসমিনকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তারপর হাসিবুল দরজা ধাক্কা দিয়ে একটু ফাঁক করে দেখেন ভেতরে রক্ত। তখন নিহত জেসমিনের ভাই শাহীনুর ও তার স্বামী দরজা ভেঙে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। তিন নিহতের পরিবার জানায়, জেসমিন আখতার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন অনেকদিন আগে থেকেই। তিনি মাইগ্রেন আক্রান্তও। কলকাতায় তাকে নিয়ে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই অসংলগ্ন আচরণ করতেন জেসমিন আখতার।
নিহত জেসমিন আক্তার (৩৫) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্বামী হাসিবুল ইসলাম জাতীয় সংসদের সহকারী লেজিসলেটিভ ড্রাফটম্যান হিসেবে কর্মরত। হাসিবুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের ভজনপুর গ্রামে। জেসমিনের বাবার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। হাসিবুল ইসলাম ২০০৬ সালে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৭ সালে তিনি সরকারিভাবে ওই কোয়ার্টারে বাসা বরাদ্দ পান। ২০০৮ সালে জেসমিনকে বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ওই বাসাতেই বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০শে এপ্রিল অফিস থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে বাসায় চলে আসেন জেসমিন আখতার। এসেই মেয়েদের খাইয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। বিকাল ৫টার দিকে তার স্বামী হাসিবুল বাসায় আসেন। তবে রুমের দরজা বন্ধ এবং ভেতরে টিভির শব্দ শুনে আর ভেতরে প্রবেশ করেননি। তিনি ভেবেছিলেন জেসমিন তার দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমাচ্ছেন। তাই তিনি কাউকে না ডেকেই নামাজ পড়তে মসজিদে যান হাসিবুল। মাগরিবের নামাজ শেষে এসে জেসমিনকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তারপর হাসিবুল দরজা ধাক্কা দিয়ে একটু ফাঁক করে দেখেন ভেতরে রক্ত। তখন নিহত জেসমিনের ভাই শাহীনুর ও তার স্বামী দরজা ভেঙে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। তিন নিহতের পরিবার জানায়, জেসমিন আখতার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন অনেকদিন আগে থেকেই। তিনি মাইগ্রেন আক্রান্তও। কলকাতায় তাকে নিয়ে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই অসংলগ্ন আচরণ করতেন জেসমিন আখতার।
No comments