গাছের সাথে বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক উৎসকে by সরকার মাজহারুল মান্নান
‘মাত্র
১০ জন লোক নিয়ে ধুকে ধুকে চলছে রংপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর’
শিরোনামের নিজের বাইলাইনে ছাপা হওয়া রিপোর্ট আর পড়া হলো না সাংবাদিক মশিউর
রহমান উৎসের। তার আগেই দুর্বৃত্তরা তাঁকে রংপুর মহানগরীর ধর্মদাস শেখপাড়া
এলাকায় গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে মুখে মাফলার পেচিয়ে মাথায় কুপিয়ে
নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় তার বৃদ্ধ মা বাবা শোকে পাথর হয়ে গেছেন।
অবুঝ সন্তানকে বুকে নিয়ে স্ত্রীর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে রংপুরের আকাশ
বাতাস। বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ দাবি তুলেছেন খুনিকে অবিলম্বে গ্রেফতারের।
তারা হতভম্ব উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ডিআইজি পুলিশ
সুপারসহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কী কারণে
তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তের পরই বলা যাবে বলছেন পুলিশ। তদন্তে
জমিজমা-সংক্রান্ত এবং মাদকবিষয়ক রিপোর্টিংকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
দৈনিক যুগের আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক নজরুল মৃধা নয়া দিগন্তকে জানান, বুধবার মশিউর রহমান উৎস রাত ৯টা পর্যন্ত অফিস করেছিলেন। এরপর তিনি বৈরিগঞ্জে খালার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার জন্য ১ ঘন্টার ছুটি নিয়ে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যান। নজরুল মৃধা আরো জানান, রাতে তার পিতা সামসুল হুদা মন্ডল রাতে ফোন করে জানান, উৎস বাড়ি আসেননি। সকালে পুলিশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামনে সিএনজি স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়া শেখপাড়া সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারকারী পুলিশের কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই নবাব আলী জানান, লাশটি কৃষিক্ষেতের জমিতে ইউকিলিপটাস গাছের সাথে রশি দিয়ে হাত পা বাধা এবং মুখে মাফলার পেচানো অবস্থায় ছিল। জায়গাটি নির্জন হওয়ায় খুব ভোরে সেটি কারো চোখে আসে নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা স্থানীয়রা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। আমরা লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠাই। যুগের আলোর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিশ্চিত হই লাশটি সাংবাদিক মশিউর রহমান উৎসের। তার ব্যবহৃত ফ্রিডম কালো রংয়ের মোটরসাইকেল, ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুপুরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সাংবাদিক উৎস দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন। বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছি। ইতোমধ্যেই জোর তদন্ত শুরু করেছি। নিশ্চিত করে বলা যাবে না কী কারণে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তার ব্যাক্তিগত কোন শত্রুতা ছিল না কিনা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধসহ আগের স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স সংক্রান্ত কোনো কিছু ছিল কি না। পুলিশ সুপার জানান, মিঠাপুকুরের বৈরিগঞ্জে খালার বাসায় যাওযার কথা বলে অফিস থেকে বের হলেও আমরা তিনি খালার বাসায় যাননি বলে আমরা জানতে পেরেছি।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, উৎস রহমানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ পোস্ট মোটেম শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎসর বন্ধু আনছার আলী জানান, সাংবাদিক উৎস আমাকে নানা বলে ডাকতেন। আমি তার সাথে একাধিকবার বৈরিগঞ্জ স্কুলের পাশের ওই খালার বাড়িতে গেছি। ওই খালার একটি জমি নিয়ে কিছু লোকের বিরোধ ছিল । উৎস নাতি আমার খালার পক্ষে ছিল। তার আশংকা ওই জমি নিয়ে বিরোধীয় প্রতিপক্ষ এবং বৈরিগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই এই খুনের অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সাংবাদিক উৎস রহমানের পিতা সামসুল হুদা মন্ডল জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার মধ্যেই সে বাড়িতে আসবে বলে জানালেও আসেনি। পরে তাকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। কিন্তু পাইনি। সকালে তার লাশ পাই। তিনি বলেন, আমার ছেলে মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় লিখতো। তারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। অবিলম্বে খুনীদে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে। তিনি বলেন, মিঠাপুকুরের বৈরিগঞ্জের কথিত খালা এবং তার মোবাইল ট্রাকিং করলেই আমার ছেলের খুনি ধরা পড়বে।
উৎস রহমানের মা জানান, আমার একটি মাত্র ছেলে । ওর বাবা প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় শয্যাশয়ী। যারা আমার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। তাদের আমি ফাঁসি চাই। আমি এর ন্যায়বিচার চাই। আমার ছেলে সৎ। তার সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তবে সে মাদক ও অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে সব সময় রিপোর্ট লিখতো।
উৎস রহমানের স্ত্রী তাহমিনা রহমান ‘আমার স্বামীর ভালো মানুষ। ও কখনও মানুষের অন্যায় করে না বলে’ ডকুরে ডুকরে কেঁদে উঠেই বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। তার কান্নার শব্দে সেখানকার আকাশবাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, হে আল্লাহ একি হলো। এখন আমি ১৫ মাসের সন্তানকে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাড়াবো। তিনি এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করেন।
সাংবাদিক উৎস রহমান দৈনিক আখিরায় ১০ বছর ক্রাইম রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন। এরপর বছর পাচেক আগে তিনি দৈনিক যুগের আলোতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। তিনি পত্রিকাটির ক্রাইম বিট করতেন।
সাংবাদিক উৎস রহমানের বাড়ি নগরীর স্টেশন রোডের পীরপুরে। তার গ্রামের বাড়ি পীরগাছার কান্দি ইউনিয়নে। তারা ২ বোন এক ভাই। তার দুই বোনের ঢাকায় বিয়ে হয়েছে।
গতকাল রাতে পীরপুর জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাযা শেষে তাকে তার শেষ কর্মস্থল যুগের আলোতে আনা হয়। পরে তাকে পীরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাবা মা, স্ত্রী ও ১৫ মাসের কন্যা মালিয়া আক্তার উর্ম্মি নামের ১৫ মাসের এক কন্যা সন্তান আছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রংপুরের সাংবাদিক সমাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ডিসি অফিসের সামনে ন রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন করে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানান। এসময় বক্তারা তার হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন ও আতংকিত। এ ঘটনায় রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, ফটো জার্ণালিষ্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
রিপোর্টার্স ক্লাবের সেক্রেটারী মোজাফফর হোসেন জানান, সাংবাদিক উৎস খুনের ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত হয়েছি। সংবাদ প্রকাশের কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকদেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আলী আশরাফ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, খুন করে সাংবাদিকদের কলমকে থামানো যাবে না। তিনি বলেন আমরা সকল সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা করার জন্য কাজ করছি। তিনি খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান পুলিশের কাছে।
দৈনিক যুগের আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক নজরুল মৃধা নয়া দিগন্তকে জানান, বুধবার মশিউর রহমান উৎস রাত ৯টা পর্যন্ত অফিস করেছিলেন। এরপর তিনি বৈরিগঞ্জে খালার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার জন্য ১ ঘন্টার ছুটি নিয়ে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যান। নজরুল মৃধা আরো জানান, রাতে তার পিতা সামসুল হুদা মন্ডল রাতে ফোন করে জানান, উৎস বাড়ি আসেননি। সকালে পুলিশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামনে সিএনজি স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়া শেখপাড়া সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারকারী পুলিশের কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই নবাব আলী জানান, লাশটি কৃষিক্ষেতের জমিতে ইউকিলিপটাস গাছের সাথে রশি দিয়ে হাত পা বাধা এবং মুখে মাফলার পেচানো অবস্থায় ছিল। জায়গাটি নির্জন হওয়ায় খুব ভোরে সেটি কারো চোখে আসে নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা স্থানীয়রা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। আমরা লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠাই। যুগের আলোর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিশ্চিত হই লাশটি সাংবাদিক মশিউর রহমান উৎসের। তার ব্যবহৃত ফ্রিডম কালো রংয়ের মোটরসাইকেল, ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুপুরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সাংবাদিক উৎস দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন। বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছি। ইতোমধ্যেই জোর তদন্ত শুরু করেছি। নিশ্চিত করে বলা যাবে না কী কারণে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তার ব্যাক্তিগত কোন শত্রুতা ছিল না কিনা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধসহ আগের স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স সংক্রান্ত কোনো কিছু ছিল কি না। পুলিশ সুপার জানান, মিঠাপুকুরের বৈরিগঞ্জে খালার বাসায় যাওযার কথা বলে অফিস থেকে বের হলেও আমরা তিনি খালার বাসায় যাননি বলে আমরা জানতে পেরেছি।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, উৎস রহমানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ পোস্ট মোটেম শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎসর বন্ধু আনছার আলী জানান, সাংবাদিক উৎস আমাকে নানা বলে ডাকতেন। আমি তার সাথে একাধিকবার বৈরিগঞ্জ স্কুলের পাশের ওই খালার বাড়িতে গেছি। ওই খালার একটি জমি নিয়ে কিছু লোকের বিরোধ ছিল । উৎস নাতি আমার খালার পক্ষে ছিল। তার আশংকা ওই জমি নিয়ে বিরোধীয় প্রতিপক্ষ এবং বৈরিগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই এই খুনের অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সাংবাদিক উৎস রহমানের পিতা সামসুল হুদা মন্ডল জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার মধ্যেই সে বাড়িতে আসবে বলে জানালেও আসেনি। পরে তাকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। কিন্তু পাইনি। সকালে তার লাশ পাই। তিনি বলেন, আমার ছেলে মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় লিখতো। তারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। অবিলম্বে খুনীদে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে। তিনি বলেন, মিঠাপুকুরের বৈরিগঞ্জের কথিত খালা এবং তার মোবাইল ট্রাকিং করলেই আমার ছেলের খুনি ধরা পড়বে।
উৎস রহমানের মা জানান, আমার একটি মাত্র ছেলে । ওর বাবা প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় শয্যাশয়ী। যারা আমার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। তাদের আমি ফাঁসি চাই। আমি এর ন্যায়বিচার চাই। আমার ছেলে সৎ। তার সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তবে সে মাদক ও অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে সব সময় রিপোর্ট লিখতো।
উৎস রহমানের স্ত্রী তাহমিনা রহমান ‘আমার স্বামীর ভালো মানুষ। ও কখনও মানুষের অন্যায় করে না বলে’ ডকুরে ডুকরে কেঁদে উঠেই বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। তার কান্নার শব্দে সেখানকার আকাশবাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, হে আল্লাহ একি হলো। এখন আমি ১৫ মাসের সন্তানকে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাড়াবো। তিনি এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করেন।
সাংবাদিক উৎস রহমান দৈনিক আখিরায় ১০ বছর ক্রাইম রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন। এরপর বছর পাচেক আগে তিনি দৈনিক যুগের আলোতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। তিনি পত্রিকাটির ক্রাইম বিট করতেন।
সাংবাদিক উৎস রহমানের বাড়ি নগরীর স্টেশন রোডের পীরপুরে। তার গ্রামের বাড়ি পীরগাছার কান্দি ইউনিয়নে। তারা ২ বোন এক ভাই। তার দুই বোনের ঢাকায় বিয়ে হয়েছে।
গতকাল রাতে পীরপুর জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাযা শেষে তাকে তার শেষ কর্মস্থল যুগের আলোতে আনা হয়। পরে তাকে পীরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাবা মা, স্ত্রী ও ১৫ মাসের কন্যা মালিয়া আক্তার উর্ম্মি নামের ১৫ মাসের এক কন্যা সন্তান আছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রংপুরের সাংবাদিক সমাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ডিসি অফিসের সামনে ন রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন করে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানান। এসময় বক্তারা তার হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন ও আতংকিত। এ ঘটনায় রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, ফটো জার্ণালিষ্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
রিপোর্টার্স ক্লাবের সেক্রেটারী মোজাফফর হোসেন জানান, সাংবাদিক উৎস খুনের ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত হয়েছি। সংবাদ প্রকাশের কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকদেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আলী আশরাফ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, খুন করে সাংবাদিকদের কলমকে থামানো যাবে না। তিনি বলেন আমরা সকল সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা করার জন্য কাজ করছি। তিনি খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান পুলিশের কাছে।
No comments