এখন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে
সাবেক
সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের
সকল পর্যায়ের ব্যক্তির সহযোগিতা কামনা করে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীকে
বিব্রত করেছে। নির্বাচন কমিশন যে মেরুদণ্ডহীন। তাদের যে কোন ক্ষমতা নেই এ
কথাটাই তারা জনসম্মুখে প্রচার করছে। এ কাজটা তারা না করলেও পারতো। কারণ,
নির্বাচন কমিশন থেকে এ ধরনের প্রচারণার ফলে নির্বাচন যত না মন্দ হওয়ার
সম্ভাবনা ছিল তার থেকেও নির্বাচন মন্দ হবে। ভালো তো হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
তিনি মানবজমিনকে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, যখন কোন কাজ সমাজে ভালো
হতে থাকে তাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর যখন কোন মন্দ কাজ সমাজে হয়
সেটাও জ্যামিতিকহারে বাড়তে থাকে। যেহেতু নির্বাচনে অনিয়ম করা, বিনা ভোটে
জিতে যাওয়া, প্রতিপক্ষকে হুমকি ধামকি দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া,
ব্যালট পেপারে সিল মারা এসব গণতান্ত্রিক পরিবেশের যে নেতিবাচক জিনিসগুলো
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে শুরু হয়েছে এখন তা ভাইরাসের মতো সারা
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে গ্রাস করেছে। মানুষের এ অভ্যাসটা এখন পথে
প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন প্রায় ২৫০ পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে
একজন প্রার্থী সে যদি দেখে কোটি টাকা ব্যয়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ফেল
করার সম্ভাবনা। আর অন্য প্রার্থী সেই পরিমাণ টাকা খরচ করে মাস্তান দিয়ে
প্রশাসনের সহয়তায় প্রতিপক্ষকে অত্যাচার করে পাশ করতে পারে। তখন তারা এটিকে
সহজ মনে করছে। এতে করে সরকার ও প্রশাসন কাউকে তারা মানছে না। এ মুহূর্তে
আসলে কারও কিছু করার নেই। যার হাতে ক্ষমতা আছে যেই জনপদে সেই ক্ষমতাটা ভোগ
করছে। নির্বাচন কমিশন এখন ইচ্ছা করলেও এখন রাতারাতি এটা দূর করতে পারেবে
না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পারবেন না। এর প্রমাণ হলো এ নির্বাচনে তাদের দলের
বিদ্রোহী প্রার্থীদের তারা বসাতে পারেননি। তার মানে হচ্ছে দলের সেন্ট্রাল
কমান্ড নেই। এখন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। এ বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণে
অতীতে যে খারাপ নির্বাচনের উদাহরণগুলো ছিল তার চেয়েও মন্দ উদাহরণ আগামী
দিনগুলোতে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন গোলাম মওলা রনি।
No comments