আম্পায়ারদের ম্যাচ পাতানোর তদন্তে আইসিসি
ক্রিকেটে আবারও ম্যাচ পাতানোর কালো ছায়া। তবে এবার কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নয়, অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের নাদির শাহসহ তিন দেশের ছয় আম্পায়ারের বিরুদ্ধে। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিয়া টিভির খবর—পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ছয় আম্পায়ার অর্থের বিনিময়ে ম্যাচ পাতানোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
গোপনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ নিয়ে নির্মিত প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রচার করে টেলিভিশনটি।
আম্পায়ারদের ম্যাচ পাতানোর সম্মতির অভিযোগের ব্যাপারে দ্রুতই তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া টিভিকে অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও ফুটেজসহ সব ধরনের প্রমাণপত্র হস্তান্তর করতে বলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ইন্ডিয়ার টিভির খবরটি আইসিসির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অভিযুক্ত আম্পায়ারদের কেউই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করেননি। তবে ক্রিকেট দুর্নীতিতে ক্রিকেটার বা আম্পায়ার যাঁরাই জড়িত থাকুন না কেন, কারও প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাবে না আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছদ্মবেশী সাংবাদিকের মাধ্যমে আম্পায়ারদের ফাঁদে ফেলে ইন্ডিয়া টিভি। বাংলাদেশের নাদির শাহ ছাড়াও ‘অপারেশন ওয়ার্ল্ড কাপ’ নামের ওই অভিযানের ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের নাদিম ঘৌরি ও আনিস সিদ্দিকী এবং শ্রীলঙ্কার গামিনি দেশানায়েকে, মরিস উইনস্টন ও সাগারা গালাগে। ইন্ডিয়া টিভির দাবি, ছদ্মবেশী সাংবাদিক যোগাযোগ করেছিলেন বাংলাদেশের আরেক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের সঙ্গেও। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে কোনো ধরনের সুবিধা দিতে রাজি হননি তিনি।
ইন্ডিয়া টিভির দাবি, আন্তর্জাতিক, কাউন্টি বা লিগ—অর্থের বিনিময়ে যেকোনো ম্যাচ পাতাতে রাজি হন নাদির শাহ। তিনি নাকি বলেছিলেন, এসএলপিএলে এলবিডব্লিউ, রান আউট, ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগা ক্যাচ আউটগুলোয় তিনি সুবিধা দিতে পারবেন।
নাদির শাহ জানিয়েছিলেন, বিপিএলে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ অনেক ম্যাচ পাতিয়েছেন। প্রমাণ পাওয়া গেলেও বিপিএল বা বিসিবির মান বাঁচাতে সেসব চাপা দেওয়া হয়।
বিপিএলের দল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দিন খানও নাকি পা দিয়েছিলেন ছদ্মবেশী সাংবাদিকের ফাঁদে। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য ম্যাচ পাতানোর কোনো অভিযোগ নেই। গোপন ক্যামেরার সামনে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, রানা নাভিদ ও আহমেদ শেহজাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বেশ কিছু স্পর্শকাতর কথা বলেছেন। স্পর্শকাতর কথা বলেছেন বাংলাদেশের এক ব্যাটসম্যান সম্পর্কেও। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি, বিবিসি।
আম্পায়ারদের ম্যাচ পাতানোর সম্মতির অভিযোগের ব্যাপারে দ্রুতই তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া টিভিকে অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও ফুটেজসহ সব ধরনের প্রমাণপত্র হস্তান্তর করতে বলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ইন্ডিয়ার টিভির খবরটি আইসিসির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অভিযুক্ত আম্পায়ারদের কেউই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করেননি। তবে ক্রিকেট দুর্নীতিতে ক্রিকেটার বা আম্পায়ার যাঁরাই জড়িত থাকুন না কেন, কারও প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাবে না আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছদ্মবেশী সাংবাদিকের মাধ্যমে আম্পায়ারদের ফাঁদে ফেলে ইন্ডিয়া টিভি। বাংলাদেশের নাদির শাহ ছাড়াও ‘অপারেশন ওয়ার্ল্ড কাপ’ নামের ওই অভিযানের ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের নাদিম ঘৌরি ও আনিস সিদ্দিকী এবং শ্রীলঙ্কার গামিনি দেশানায়েকে, মরিস উইনস্টন ও সাগারা গালাগে। ইন্ডিয়া টিভির দাবি, ছদ্মবেশী সাংবাদিক যোগাযোগ করেছিলেন বাংলাদেশের আরেক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের সঙ্গেও। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে কোনো ধরনের সুবিধা দিতে রাজি হননি তিনি।
ইন্ডিয়া টিভির দাবি, আন্তর্জাতিক, কাউন্টি বা লিগ—অর্থের বিনিময়ে যেকোনো ম্যাচ পাতাতে রাজি হন নাদির শাহ। তিনি নাকি বলেছিলেন, এসএলপিএলে এলবিডব্লিউ, রান আউট, ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগা ক্যাচ আউটগুলোয় তিনি সুবিধা দিতে পারবেন।
নাদির শাহ জানিয়েছিলেন, বিপিএলে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ অনেক ম্যাচ পাতিয়েছেন। প্রমাণ পাওয়া গেলেও বিপিএল বা বিসিবির মান বাঁচাতে সেসব চাপা দেওয়া হয়।
বিপিএলের দল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দিন খানও নাকি পা দিয়েছিলেন ছদ্মবেশী সাংবাদিকের ফাঁদে। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য ম্যাচ পাতানোর কোনো অভিযোগ নেই। গোপন ক্যামেরার সামনে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, রানা নাভিদ ও আহমেদ শেহজাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বেশ কিছু স্পর্শকাতর কথা বলেছেন। স্পর্শকাতর কথা বলেছেন বাংলাদেশের এক ব্যাটসম্যান সম্পর্কেও। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি, বিবিসি।
No comments