মিয়ানমারের ওপর থেকে বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
মিয়ানমারের ওপর থেকে বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘোষণা দেন। ফলে এখন থেকে মিয়ানমারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর আর কোনো বাধা থাকল না।
ওবামার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মিয়ানমারের বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। তবে দলটির নেতা অং সান সু চি জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি কম্পানিগুলোকে স্বচ্ছ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে ওবামা বলেন, 'মিয়ানমারের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা আজ (বুধবার) থেকে তুলে নেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মগুলো এখন থেকে মিয়ানমারে ব্যবসা করতে পারবে।' গত দেড় বছরে মিয়ানমার সরকারের নেওয়া নানা সংস্কার কার্যক্রমের প্রশংসা করে ওবামা বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। 'প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, বিরোধীদলীয় নেতা অং সান সু চি ও মিয়ানমারের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে সংস্কারের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের কাজও করে যাচ্ছে। তাদের এসব কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন এবং উৎসাহ যোগাতেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।' তবে বিনিয়োগে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং অর্থনীতিতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ওবামা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
পাঁচ দশকের সামরিক শাসন অবসানের পর মিয়ানমারের বর্তমান সরকার বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপর থেকেই পশ্চিমা ও প্রতিবেশী দেশগুলো খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ মিয়ানমারে বিনিয়োগের জন্য 'হুমড়ি' খেয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি কম্পানি ও মিয়ানমার ওয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতা সু চি। গতকাল বৃহস্পতিবার সু চি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত বিশেষ কিছু নয়।' এমওজিইর কাজ স্বচ্ছ রাখার জন্য তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।
ওবামার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। তিনি অন্যান্য পশ্চিমা দেশকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে_এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।'
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ান ওবামার এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারতি নাতালগাওয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা 'দারুণ' খবর। তাদের এ ঘোষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে আমরা সঠিক পথেই আছি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, জিনিউজ।
বিবৃতিতে ওবামা বলেন, 'মিয়ানমারের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা আজ (বুধবার) থেকে তুলে নেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মগুলো এখন থেকে মিয়ানমারে ব্যবসা করতে পারবে।' গত দেড় বছরে মিয়ানমার সরকারের নেওয়া নানা সংস্কার কার্যক্রমের প্রশংসা করে ওবামা বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। 'প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, বিরোধীদলীয় নেতা অং সান সু চি ও মিয়ানমারের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে সংস্কারের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের কাজও করে যাচ্ছে। তাদের এসব কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন এবং উৎসাহ যোগাতেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।' তবে বিনিয়োগে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং অর্থনীতিতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ওবামা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
পাঁচ দশকের সামরিক শাসন অবসানের পর মিয়ানমারের বর্তমান সরকার বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপর থেকেই পশ্চিমা ও প্রতিবেশী দেশগুলো খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ মিয়ানমারে বিনিয়োগের জন্য 'হুমড়ি' খেয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি কম্পানি ও মিয়ানমার ওয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতা সু চি। গতকাল বৃহস্পতিবার সু চি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত বিশেষ কিছু নয়।' এমওজিইর কাজ স্বচ্ছ রাখার জন্য তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।
ওবামার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। তিনি অন্যান্য পশ্চিমা দেশকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে_এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।'
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ান ওবামার এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারতি নাতালগাওয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা 'দারুণ' খবর। তাদের এ ঘোষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে আমরা সঠিক পথেই আছি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, জিনিউজ।
No comments