কিছু পাওয়ার আশায় নিউজিল্যান্ড
দারুণ মিশুক, চমৎকার ব্যবহার—বাংলাদেশে পা রাখার পর থেকে গোটা নিউজিল্যান্ড দল মন জয় করে নিয়েছিল সবার। এদের মাঝেও দলের ম্যানেজার শার্প ছিলেন আরেকটু এগিয়ে। মুখে সব সময় লেগে আছে হাসি, দেখা হলে নিজে থেকেই কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। সব মিলিয়ে যাকে বলে নিপাট ভদ্রলোক। টিম হোটেলে কাল সেই লোকটিই পাথুরে মুখে বললেন, ‘দলের কারও সঙ্গে কোনো কথা বলা যাবে না। আর আমিও এই মুহূর্তে কথা বলার অবস্থায় নেই।’ মাইকেল শার্পের এই চেহারা আগে কখনো দেখা যায়নি!
নিউজিল্যান্ড দলের ভেতরের খবর নেওয়ার আর প্রয়োজন পড়ল না। ম্যানেজারের মানসিক অবস্থাই বলে দিচ্ছিল গোটা দলের মনোজগতের মানচিত্র। অপ্রত্যাশিত মহাবিপর্যয়ে হতভম্ভ কিউইরা গুটিয়ে গেছে নিজেদের মাঝে। ম্যানেজারের কড়া নজরদারির মাঝেও খানিকটা কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল শ্যানন স্টুয়ার্টের সঙ্গে। বেচারার জন্য বাংলাদেশ সফরটা দুঃস্বপ্নই হয়ে থাকবে। ১০ বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন, বাংলাদেশে এসেছিলেন দলে জায়গা পাকা করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু দুটো ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ভালো তো করতে পারেনইনি (রান করেছেন ২ ও ১৪), উল্টো তৃতীয় ম্যাচে মাথায় আঘাত পেয়ে সম্ভবত খেলারই বাইরে ছিটকে পড়েছেন।
চোটটা কাটিয়ে উঠেছেন। তবে কাটাতে পারছেন না হতাশা। নিজের ও দলের ব্যর্থতা মিলিয়ে খুবই মনঃকষ্টে আছেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, ‘অভিষেক হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, ওই সিরিজটা ভালো খেলতে পারিনি। ভেবেছিলাম এখানে রান করে দলে জায়গাটা স্থায়ী করতে পারব। কিন্তু পারলাম না। দলও সিরিজ হারল। স্বাভাবিকভাবেই সবার মন খুব খারাপ। সবাই অনেক আশা নিয়ে এসেছিল।’ এখনো অবশ্য একটা ম্যাচ বাকি। তবে আগের দুই ম্যাচে যেমন খেলেছেন, স্টুয়ার্ট নিজেই নিশ্চিত নন, আগামীকালের ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পাবেন কি না।
ইতিহাস গড়া হয়ে গেছে, বাংলাদেশ দল ছিল ফুরফুরে মেজাজে। প্রচণ্ড গরমে স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ খেলার পর কালকের পুরো দিনটাই ছিল বিশ্রাম। সকালে একটু সুইমিং আর বিকেলে জিমে খানিকটা সময় কাটানো ছাড়া নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছে সবাই। ঢাকায় যাদের বাসা আছে, তারা গিয়েছিল বাসায়। কোচ জেমি সিডন্সও এক দফা ঘুরে এসেছেন বাসা থেকে। তবে আজ দুপুরে আবার আছে অনুশীলন। সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তবে অনেক কিছু সিরিজ থেকে পাওয়ার আছে এখনো। আগামীকালের ম্যাচ জিতলে শুধু ৪-০-তে সিরিজ জয়ই হবে না, আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও নয় থেকে আটে উঠে যাবে বাংলাদেশ। গুরুত্বহীন ম্যাচটিরও তাই গুরুত্ব কম নয়।
কাল অনুশীলন করেনি নিউজিল্যান্ডও। এর আগে এক দিন বৃষ্টির জন্য অনুশীলন করা হয়নি, কিন্তু সফরে এই প্রথমবার নিজে থেকেই কোনো অনুশীলন করল না কিউইরা। বরাবরের মতোই দল হোটেলে বন্দী ছিল সারা দিন। সিরিজ হারের বেদনায় মুষড়ে পড়েছে, তবে শেষ ম্যাচটিও তাঁদের মাথায় আছে ভালোভাবেই। কাল দুপুর ১২টায় শেষ ম্যাচের দল নির্বাচনী সভাতে বসেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সব ম্যাচ হারের লজ্জাটা এড়াতে চায় তারা। চতুর্থ ম্যাচ শেষে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি যেমন বলেছিলেন, কাল স্টুয়ার্টের কণ্ঠেও শোনা গেল সেই কথা, ‘শেষ ম্যাচটা জিতে অন্তত কিছু একটা নিয়ে ফিরতে চাই।’
কিন্তু শেষ ম্যাচ থেকে যে অনেক কিছু পেতে চায় বাংলাদেশও। আর এই সিরিজে বাংলাদেশ যা চাইছে, সেটাই তো হচ্ছে!
নিউজিল্যান্ড দলের ভেতরের খবর নেওয়ার আর প্রয়োজন পড়ল না। ম্যানেজারের মানসিক অবস্থাই বলে দিচ্ছিল গোটা দলের মনোজগতের মানচিত্র। অপ্রত্যাশিত মহাবিপর্যয়ে হতভম্ভ কিউইরা গুটিয়ে গেছে নিজেদের মাঝে। ম্যানেজারের কড়া নজরদারির মাঝেও খানিকটা কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল শ্যানন স্টুয়ার্টের সঙ্গে। বেচারার জন্য বাংলাদেশ সফরটা দুঃস্বপ্নই হয়ে থাকবে। ১০ বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন, বাংলাদেশে এসেছিলেন দলে জায়গা পাকা করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু দুটো ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ভালো তো করতে পারেনইনি (রান করেছেন ২ ও ১৪), উল্টো তৃতীয় ম্যাচে মাথায় আঘাত পেয়ে সম্ভবত খেলারই বাইরে ছিটকে পড়েছেন।
চোটটা কাটিয়ে উঠেছেন। তবে কাটাতে পারছেন না হতাশা। নিজের ও দলের ব্যর্থতা মিলিয়ে খুবই মনঃকষ্টে আছেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, ‘অভিষেক হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, ওই সিরিজটা ভালো খেলতে পারিনি। ভেবেছিলাম এখানে রান করে দলে জায়গাটা স্থায়ী করতে পারব। কিন্তু পারলাম না। দলও সিরিজ হারল। স্বাভাবিকভাবেই সবার মন খুব খারাপ। সবাই অনেক আশা নিয়ে এসেছিল।’ এখনো অবশ্য একটা ম্যাচ বাকি। তবে আগের দুই ম্যাচে যেমন খেলেছেন, স্টুয়ার্ট নিজেই নিশ্চিত নন, আগামীকালের ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পাবেন কি না।
ইতিহাস গড়া হয়ে গেছে, বাংলাদেশ দল ছিল ফুরফুরে মেজাজে। প্রচণ্ড গরমে স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ খেলার পর কালকের পুরো দিনটাই ছিল বিশ্রাম। সকালে একটু সুইমিং আর বিকেলে জিমে খানিকটা সময় কাটানো ছাড়া নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছে সবাই। ঢাকায় যাদের বাসা আছে, তারা গিয়েছিল বাসায়। কোচ জেমি সিডন্সও এক দফা ঘুরে এসেছেন বাসা থেকে। তবে আজ দুপুরে আবার আছে অনুশীলন। সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তবে অনেক কিছু সিরিজ থেকে পাওয়ার আছে এখনো। আগামীকালের ম্যাচ জিতলে শুধু ৪-০-তে সিরিজ জয়ই হবে না, আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও নয় থেকে আটে উঠে যাবে বাংলাদেশ। গুরুত্বহীন ম্যাচটিরও তাই গুরুত্ব কম নয়।
কাল অনুশীলন করেনি নিউজিল্যান্ডও। এর আগে এক দিন বৃষ্টির জন্য অনুশীলন করা হয়নি, কিন্তু সফরে এই প্রথমবার নিজে থেকেই কোনো অনুশীলন করল না কিউইরা। বরাবরের মতোই দল হোটেলে বন্দী ছিল সারা দিন। সিরিজ হারের বেদনায় মুষড়ে পড়েছে, তবে শেষ ম্যাচটিও তাঁদের মাথায় আছে ভালোভাবেই। কাল দুপুর ১২টায় শেষ ম্যাচের দল নির্বাচনী সভাতে বসেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সব ম্যাচ হারের লজ্জাটা এড়াতে চায় তারা। চতুর্থ ম্যাচ শেষে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি যেমন বলেছিলেন, কাল স্টুয়ার্টের কণ্ঠেও শোনা গেল সেই কথা, ‘শেষ ম্যাচটা জিতে অন্তত কিছু একটা নিয়ে ফিরতে চাই।’
কিন্তু শেষ ম্যাচ থেকে যে অনেক কিছু পেতে চায় বাংলাদেশও। আর এই সিরিজে বাংলাদেশ যা চাইছে, সেটাই তো হচ্ছে!
No comments