এরা জঙ্গি মানবো কি করে
কোটা
সংস্কার আন্দোলনকারীদের জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তুলনা করে দেয়া ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বক্তব্যে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি
বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বলে আন্দোলনকারীরা জঙ্গি এই যুক্তি কোনোভাবেই
মেনে নিতে পারবো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আকতারুজ্জামান
রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কোটা সংস্কার
আন্দোলনকারীদের জঙ্গি গোষ্টীর সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে মানবজমিনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হচ্ছে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল করা হচ্ছে। কারা করছে সেই বিষয়টা আমি এখনো পরিষ্কার জানি না। আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সামান্য একটি কারণে।
যে কারণের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেগ জড়িত। সরকারি চাকরি আমাদের দেশে একটা সোনার হরিণ এবং উন্নত জীবনের একটা ছাড়পত্র। সেজন্য মানুষের একটা কামনা থাকে। আর যে শিক্ষা আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি তা দিয়ে তারা বাস্তব জগতের জন্য খুব বেশি তৈরি হতে পারে না। এ কারণে সরকারি চাকরিটা একটা ভরসা অনেক পরিবারের জন্য।
তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য তারা আন্দোলনে নেমেছিল, বাতিলের জন্য নয়। যদি শুরুতেই দাবি মেনে নেয়া হতো, ১৫ বা ২০ শতাংশ যেটা রাখার রেখে বাকিটা বাদ দিয়ে দিলে কিন্তু আন্দোলনটাই আর থাকে না। এখন আন্দোলন যেহেতু হচ্ছে, সরকারের অনেকে মনে করছেন এটা সরকারবিরোধী। ছাত্রলীগ সেখানে হামলা করছে। প্রতিটি বিষয় আমাদের কাছে অনভিপ্রেত মনে হচ্ছে। এর কোনোই প্রয়োজন ছিল না। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের কোনো জায়গা দেয়া হচ্ছে না। তাদের সামান্য একটা সংবাদ সম্মেলন যেভাবে পণ্ড করা হলো, এতে তারা দাঁড়াবার জায়গা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সমস্ত পৃথিবীতে তরুণরা যার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে সেটি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেটি জঙ্গিরাও ব্যবহার করছে, আর এটি এরা ব্যবহার করছে বলেই জঙ্গি হয়ে গেল এই যুক্তি আমি মেনে নিতে কোনোদিনই পারবো না। আমি এদের অনেককেই চিনি। এরা আমাদেরই সন্তান। তাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস থাকা উচিত, তাদেরকে আমাদের সম্মান করা উচিত। এদের কেউ বিভ্রান্ত হয়ে ‘আমি রাজাকার’ ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করেছে। কিন্তু সন্তানদের যদি আমরা না শিখাই, তাদের প্রতি যদি আমাদের বিশ্বাস ও সম্মান না থাকে তাহলে সেই সম্মান এবং বিশ্বাস তো তারা আমাদের দেবে না। এই যে বিভাজনের সৃষ্টি হবে এটি সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
এ বিষয়ে মানবজমিনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হচ্ছে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল করা হচ্ছে। কারা করছে সেই বিষয়টা আমি এখনো পরিষ্কার জানি না। আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সামান্য একটি কারণে।
যে কারণের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেগ জড়িত। সরকারি চাকরি আমাদের দেশে একটা সোনার হরিণ এবং উন্নত জীবনের একটা ছাড়পত্র। সেজন্য মানুষের একটা কামনা থাকে। আর যে শিক্ষা আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি তা দিয়ে তারা বাস্তব জগতের জন্য খুব বেশি তৈরি হতে পারে না। এ কারণে সরকারি চাকরিটা একটা ভরসা অনেক পরিবারের জন্য।
তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য তারা আন্দোলনে নেমেছিল, বাতিলের জন্য নয়। যদি শুরুতেই দাবি মেনে নেয়া হতো, ১৫ বা ২০ শতাংশ যেটা রাখার রেখে বাকিটা বাদ দিয়ে দিলে কিন্তু আন্দোলনটাই আর থাকে না। এখন আন্দোলন যেহেতু হচ্ছে, সরকারের অনেকে মনে করছেন এটা সরকারবিরোধী। ছাত্রলীগ সেখানে হামলা করছে। প্রতিটি বিষয় আমাদের কাছে অনভিপ্রেত মনে হচ্ছে। এর কোনোই প্রয়োজন ছিল না। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের কোনো জায়গা দেয়া হচ্ছে না। তাদের সামান্য একটা সংবাদ সম্মেলন যেভাবে পণ্ড করা হলো, এতে তারা দাঁড়াবার জায়গা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সমস্ত পৃথিবীতে তরুণরা যার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে সেটি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেটি জঙ্গিরাও ব্যবহার করছে, আর এটি এরা ব্যবহার করছে বলেই জঙ্গি হয়ে গেল এই যুক্তি আমি মেনে নিতে কোনোদিনই পারবো না। আমি এদের অনেককেই চিনি। এরা আমাদেরই সন্তান। তাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস থাকা উচিত, তাদেরকে আমাদের সম্মান করা উচিত। এদের কেউ বিভ্রান্ত হয়ে ‘আমি রাজাকার’ ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করেছে। কিন্তু সন্তানদের যদি আমরা না শিখাই, তাদের প্রতি যদি আমাদের বিশ্বাস ও সম্মান না থাকে তাহলে সেই সম্মান এবং বিশ্বাস তো তারা আমাদের দেবে না। এই যে বিভাজনের সৃষ্টি হবে এটি সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
No comments