চুল কেটে তাঁদের ‘পুরুষ’ বানানোর চেষ্টা
ইন্দোনেশিয়া
পুলিশ তৃতীয় লিঙ্গের ১২ জনকে আটক করেছে। তাঁদের লম্বা চুল কেটে দেওয়া
হয়েছে। পুলিশ বলছে, পুরুষের মতো আচরণ করার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া
হচ্ছে। আচেহ প্রদেশে বেশ কয়েকটি বিউটি সেলুনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে
পুলিশ। সেখানে কর্মরত তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে
যাওয়া হয়।
তৃতীয় লিঙ্গের ওই কয়েকজনকে জোর করে পুরুষের পোশাক পরানো হয়।
তাঁদের তিন দিন থানায় রাখা হবে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে কঠোর ইসলামিক
আইন মেনে চলা হয়। তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণের নিন্দা
জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। দ্য ইন্দোনেশীয় ন্যাশনাল কমিশন অব
হিউম্যান রাইটস এই অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে। কমিশন বলছে, পুলিশ আইনের
বাইরে গিয়ে কাজ করছে। পুলিশের এ ধরনের আচরণ অমানবিক। ইন্দোনেশিয়ায়
ট্রান্সজেন্ডাররা স্থানীয়ভাবে ওয়ারিয়া নামে পরিচিত। ইন্দোনেশীয় নারী ও
পুরুষদের ক্ষেত্রে ওয়ারিয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় পুলিশপ্রধান আহমদ
উনজুং সুরিয়ানাতা বিবিসিকে বলেন, ‘কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের জন্য আমরা
তাঁদের তিন দিন রাখব।’ তৃতীয় লিঙ্গের এসব মানুষ ভালো করছেন এবং অনেকটা
পুরুষের মতো আচরণ করছেন বলেও জানান তিনি। ফোনে কথা বলার সময় আহমদ উনজুং
সুরিয়ানাতা তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ডেকে বলেন, ‘তুমি কি এখনো ওয়ারিয়া?’ এ সময়
তিনি উত্তর দেন, ‘না।’ কিন্তু সেই কণ্ঠস্বরে কোনো স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল না
বলে বিবিসির খবরে বলা হয়। এক দশক আগে আচেহ প্রদেশ নিজস্ব ইসলামিক আইন
প্রচলন করার বিশেষ অনুমতি পেয়েছে। সম্প্রতি কয়েক বছরে দেশটি অনেক বেশি
রক্ষণশীল হয়ে উঠেছে।
No comments