সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের অস্তিত্ব নেই
বাংলাদেশের
সংবিধান প্রণয়নের সময় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার বিধান ছিল। এরূপ
সরকারব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা
প্রযুক্ত হয়। এ সরকারব্যবস্থায় মন্ত্রিসভা গঠন বিষয়ে উল্লেখ ছিল-
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রী সময়ে
সময়ে যেরূপ স্থির করবেন সেরূপ অন্যান্য মন্ত্রী সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত
হবে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার অপরাপর সদস্যরা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে
নিয়োগ লাভ করলেও প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কারো পরামর্শ
ছাড়া তার একক সিদ্ধান্তে তা কার্যকর করতে পারেন।
কিন্তু অপরাপর মন্ত্রী
নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি তার স্বেচ্ছাধীন
ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো ধরনের নিয়োগকার্য সমাধা করতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগকার্যটি রাষ্ট্রপতির একক সিদ্ধান্তে সমাধা করা হলেও
সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন এমন কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতির
মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সুযোগ নেই। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ
ছাড়া রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগকার্যটি সমাধা করলেও এ নিয়োগের
ক্ষেত্রে তার পক্ষে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সদস্যের আস্থাভাজন নন এমন কোনো সংসদ সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সুযোগ
নেই। এ ব্যবস্থাটি কার্যকর থাকার সময় মন্ত্রিসভার অপরাপর সদস্যরা
প্রধানমন্ত্রীর সন্তুষ্টি সাপেক্ষে পদে বহাল থাকতে পারতেন। ১৯৭৫ সালের
জানুয়ারি মাসে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির
সরকারব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করা হলে
প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত হয়। এ ব্যবস্থায়
প্রধানমন্ত্রীসহ অপরাপর মন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা এককভাবে রাষ্ট্রপতির ওপর
অর্পণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টিসাপেক্ষে মন্ত্রীগণ পদে বহাল থাকবেন
মর্মে উল্লেখ ছিল। ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বাদশ সংশোধনী প্রণয়নের
মধ্য দিয়ে পুনঃসংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রত্যাবর্তন করা হয় এবং
সংবিধান প্রণয়নের সময় প্রধানমন্ত্রীর ওপর যেরূপ ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল, তাকে
অনুরূপ ক্ষমতা দেয়া হয়। সংবিধান প্রবর্তনের সময় ১৯৭২ সালে সংসদের সাধারণ
নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে যে বিধান ছিল তাতে বলা ছিলÑ মেয়াদ অবসানের কারণে
সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং
মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার
পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৯৬ সালের
মার্চে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রবর্তন অবধি সংসদের সাধারণ নির্বাচন
বিষয়ে উপরোল্লিখিত বিধান কার্যকর ছিল।
ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রবর্তন-পরবর্তী
সংসদের সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে যে বিধান প্রবর্তন করা হয় তাতে বলা ছিল-
মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে
যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রণিধানযোগ্য, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রবর্তন পূর্ববর্তী সংসদ বহাল
থাকাবস্থায় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান থাকলেও এ সংশোধনীটি
কার্যকর পূর্ববর্তী যে পাঁচটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এর কোনোটিই
মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার কারণে সংসদ বহাল থাকাবস্থায় সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের বিষয়টি দেশবাসীর অবলোকনের সুযোগ ঘটেনি। ২০১১ সালে সংবিধানের
পঞ্চদশ সংশোধনী প্রবর্তন-পরবর্তী মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার
ক্ষেত্রে সংসদের সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে সংসদ বহাল থাকাবস্থায় নির্বাচন
অনুষ্ঠানের বিধান প্রবর্তিত হওয়ায় এবং সংশোধনী আনার পর দশম সংসদ মেয়াদ
পূর্ণ করায় এ সংসদ নির্বাচনটি সংসদ বহাল থাকাবস্থায় অনুষ্ঠিত হয়। এ
নির্বাচটি অনুষ্ঠান পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার
কলেবর ছোট করে এটিকে নির্বাচনকালীন সরকার আখ্যা দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়। মূলত
এটি আগেকার সরকারেরই ধারাবাহিকতা; তবে আগেকার সরকারের সাথে এটির একমাত্র
পার্থক্য হলো আগেকার সরকারের মন্ত্রিসভার তুলনায় এর সদস্য সংখ্যা কম।
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল, সংসদ ভেঙে যাওয়া পরবর্তী অনুরূপ সরকার
গঠনের বিধান ছিল। এরূপ সরকার একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং অনধিক দশজন
উপদেষ্টা সমন্বয়ে গঠিত ছিল। এ সরকার বিষয়ে উল্লেখ ছিলÑ এটি একটি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে
নিয়োজিত ব্যক্তিদের সাহায্য ও সহায়তায় উক্তরূপ সরকারের দৈনন্দিন কার্যাবলি
সম্পাদন করবে। এরূপ কার্যাবলি সম্পাদনের প্রয়োজন ব্যতীত কোনো নীতিনির্ধারণী
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন
এরূপ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যভার গ্রহণ করার এবং
নির্বাচন-পরবর্তী সংসদ গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী তার পদের কার্যভার
নেয়ার তারিখ অবধি এ সরকারের পদে বহাল থাকার বিধান ছিল। সংসদীয় পদ্ধতি ও
রাষ্ট্রপতি শাসিত উভয় ধরনের সরকারব্যবস্থায় একটি সরকারের মেয়াদ অবসান
পরবর্তী অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরূপ নির্বাচনে বিজীত দল পরাজয় স্বীকার করে বিজয়ী
দলের প্রধানকে অভিনন্দন জানায় এবং সরকার পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার
আশ্বাস দেয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অনুসৃত হয় এরূপ প্রতিটি রাষ্ট্রেই এ
ব্যবস্থাটি কার্যকর রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের
সংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমে দেশের সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার
প্রত্যয় ব্যক্ত করা হলেও স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিক্রান্তের পরও আমরা সে
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত। আমাদের দেশের সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও
প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ক্ষমতাসীন দলের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কখনো বিরোধী
দল বিজয় লাভে সমর্থ হয়নি। এটিকে অভিযোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেই একদা এ
দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন
করা হয়েছিল। এ সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন-পরবর্তী সংবিধানের বিধানাবলির আলোকে
দু’টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উভয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন
অনুষ্ঠান-পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন দল পরাভূত হয়েছিল। এ দু’টি সংসদ নির্বাচন
সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচন নামে অভিহিত। অপর যেকোনো সংসদ নির্বাচনের সাথে
তুলনামূলক বিচারে এ দু’টি সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য,
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক ছিল। যদিও নির্বাচনে বিজীত দলের কাছে
উভয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। উল্লেখ্য, এ দু’টি নির্বাচনের
প্রথমোক্তটিতে দেশের বৃহত্তম বড় দু’টি দলের একটি বিএনপি বিজীত দল ছিল এবং
শেষোক্তটিতে বড় দু’টি দলের অপরটি আওয়ামী লীগ বিজীত দল ছিল।
সমগ্র দেশবাসীর
কাছে উভয় নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হলেও বিজীত দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে
ফলাফল গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি অনুযায়ী উভয় দলের প্রধান
পরাজয় স্বীকার করে বিজয়ী দলের প্রধানকে অভিনন্দন জানাননি এবং সরকার
পরিচালনায় সহযোগিতার পরিবর্তে অসহযোগিতার বাণী উচ্চারণ করেছিলেন।
উপরোল্লিখিত দু’টি নির্বাচন ছাড়াও পঞ্চম সংসদ নির্বাচনটি তিনটি রাজনৈতিক
জোটের রূপরেখার আলোকে কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী
রাষ্ট্রপতির অধীন এবং নবম সংসদ নির্বাচনটি অসাংবিধানিক পন্থায় গঠিত সেনা
সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রথমোক্তটিতে
বিএনপি এবং শেষোক্তটিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত আগেকার দু’টি সংসদ নির্বাচনের মতো এ দু’টি
নির্বাচনের ফলাফলও বিজীত দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং উভয় দলের শীর্ষ
নেতারা এ দু’টি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন সরকারকে সংবিধানের একাদশ সংশোধনীর
মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হলেও নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন সরকারকে অদ্যাবধি
সাংবিধানিক বৈধতা দেয়া হয়নি, যদিও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলসংক্রান্ত আপিল
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার অবতারণায় অবসর-পরবর্তী লিখিত
রায়ে জনৈক প্রধান বিচারপতি এ সরকারটিকে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজমান, তা হলো একটি সরকারের মেয়াদ
অবসান-পরবর্তী কোন ধরনের সরকারের অধীন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন দল সবসময় ক্ষমতায় বহাল থাকাকালীন সংসদ
নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহী। এর পেছনে মূল যে কারণ, তা হলো ক্ষমতাসীন দল
ক্ষমতায় বহাল থাকাকালীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের
আয়োজন করে কখনো পরাভূত হয়নি। অপর দিকে, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত
নির্বাচনে বিরোধী দল কখনো বিজয়ের মুখ দেখতে পারেনি। এ অবস্থাটি নিরসনে একদা
সাংবিধানিকভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের
ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনো ধরনের রাজনৈতিক মতৈক্য ছাড়াই এ ব্যবস্থাটিকে
আদালতের দোহাই দিয়ে সংবিধান থেকে বিলোপ করা হয়; যদিও আদালত কর্তৃক এ ধরনের
সংশোধনী বাতিলের সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সংবিধানের বর্তমান
ব্যবস্থায় দলীয় সরকারের অধীন সংসদ বহাল থাকাবস্থায় সংসদের সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের যে বিধান রয়েছে, তা অনুসরণে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে
এগিয়ে গেলে দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনটিও প্রধান বিরোধী দলের
অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন অবস্থায় অনুষ্ঠিত হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনের মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনও একতরফা ও
ভোটারবিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হলে তা এ দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার
মধ্যে ফেলে দেবে। এ অবস্থা হতে উত্তরণের একটি মাত্র পথ আর সেটি হলো
নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির
মধ্যে সমঝোতা। উভয় রাজনৈতিক দল আলোচনার টেবিলে বসলে সমঝোতার মাধ্যমে
গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করা দুরূহ বা কষ্টসাধ্য কিছু নয়। সংবিধানের
বর্তমান ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু
নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আকাক্সক্সক্ষা ব্যক্ত
করলে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে বড় দু’টি দলসহ দেশের সাধারণ জনমানুষের
কাছে একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে
পারেন। সংবিধান অপরাপর আইনের মতো একটি আইন। যেকোনো আইন প্রণয়নের মূল লক্ষ্য
ও উদ্দেশ্য জনগণ ও দেশের কল্যাণ, মঙ্গল ও উন্নয়ন সাধন। যে নির্বাচন জনগণ ও
দেশের কল্যাণ, মঙ্গল ও উন্নয়নের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, সে নির্বাচনের
পথে না গিয়ে যে নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে সে নির্বাচনের পথ
খুঁজে বের করাই উত্তম। আর এটি খুঁজে বের করতে হলে অগ্রণী ভূমিকা ক্ষমতায়
আসীন দলটির শীর্ষ পদে আসীন ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com
No comments