ফুলের সুবাস নেবে রোবট
গোলাপ
বাগান থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ফুল তুলতে আর অভিজ্ঞ মালীর কাছে ধরনা দিতে হবে
না। কচি পাপড়ি না পূর্ণবয়স্ক ফুল কিংবা আর ক’দিন পরে হাটে তোলা যাবে- এসব
সমস্যার পলকে সমাধান দেবে ‘রোবট’। সকাল-সন্ধ্যা বাগানে ঢুকে পায়চারি করবে,
ফুলের সুবাস নেবে। আর ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে ফুলকলিদের বয়সের তফাত বুঝবে, ধরন
যাচাই করবে নেদারল্যান্ডসের মুনল্যান্ড নামের রোবটটি। শুধু তাই নয়, পনির
তৈরির ক্ষেত্রেও রোবটটি তৈরিকারকদের সহায়তা করে যাচ্ছে একজন পরিশ্রমী
কর্মীর থেকেও বেশি। নেদারল্যান্ডসের ডেলটা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির
রোবটিক্স বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্ররা এই রোবটটি আবিষ্কার করে। এর ডিজাইন
তৈরি করতে সময় লাগে পাঁচ মাস। সরকারি-বেসরকারি সব দফতরের কথা মাথায় রেখেই
রোবটটি বানানো হয়েছে। মুনল্যান্ডের সবচেয়ে কার্যকরী দিকটি হল, এটি খুব
সহজেই ১২ কেজি ওজনের দধির ছাঁচ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বয়ে নিয়ে যেতে
পারে। রোবট আবিষ্কারক দলের একজন ছাত্র গর্বের সঙ্গে জানান, ‘অত্যাধুনিক
প্রযুক্তির এই রোবটটি ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে সক্ষম এবং এটি এক স্টেশন থেকে
অন্য স্টেশনে সহজেই চলাচল করতে পারে।’ বিজ্ঞানীদের মতে, একবিংশ শতাব্দীর
শেষদিকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে রোবট হবে বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রধান
হাতিয়ার। নির্ভরযোগ্য শ্রমিক, কর্মক্ষেত্রে সহায়তা এবং বিপজ্জনক কাজগুলোতে
মানুষের পরিবর্তে রোবটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
No comments