রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে ডনের সম্পাদকীয়তে যা বলা হয়েছে
মিয়ানমারের
রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গত বছরের
শেষের দিকে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো নৃশংস হামলা চালায়। এ হামলার পর
ওই অঞ্চলে নিরপেক্ষ কোনো তদন্তকারীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় নি। ত্রাণ
তৎপরতায়ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এর ফলে কমপক্ষে সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা দেশ
ছেড়ে পালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথ অতিক্রম করে এসে বাংলাদেশে আশ্রয়
নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই জীবনের ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এই ভীতসন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন আশ্রয় শিবিরগুলোতে। এখন তারা আবার এক নরকযন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারে ফিরে যেতে আতঙ্কিত। তারা মনে করছেন, রাখাইনে এখনও নির্যাতনমুলক পরিবেশ বিদ্যমান। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি আগামী সপ্তাহে বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা। এর ফলে রোহিঙ্গাদের আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সম্পাদিত চুক্তিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার বিষয়টিতে ঘাটতি রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় জড়িত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা প্রয়োজন। অন্যথায়, দায়মুক্তির অধীনে একই রকম নৃশংসতা অব্যাহত থাকবে এটা বিশ্বাস করার প্রতিটি ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে গত বছরে মিয়ানমারে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে এক হাজার বেসামরিক সাধারণ মানুষকে। এ জন্য রাখাইনে এত বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানীর কারণে প্রতিটি মানুষের প্রত্যাবর্তন হতে হবে অবশ্যই পুরোপুরি স্বেচ্ছায়। এটা অত্যাবশ্যক যে, শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা ছাড়া এই চুক্তি সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া উচিত নয়।
এই প্রত্যাবর্তন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ হয়তো চাইছে দু’বছরের মধ্যে সব রোহিঙ্গা ফিরে যাক। কিন্তু তা কিভাবে ঘটবে এ বিষয়টি অনুধাবন করা খুব কঠিন। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকার কারণে বাংলাদেশ এসব শরণার্থীকে ফেরত পাঠাতে চাইবে- এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে তা হলো, মৌলিক মানবাধিকারের প্রটোকলের অধীনে তাদের অধিকার সমুন্নত রাখা। এটাই প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে এর আগে যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরেছেন তারা অন্তর্বর্তীকালীন শিবিরগুলোতে এখনও বসবাস করছেন। সেখানে তাদের চলাফেরায় রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এক্ষেত্রে গণহত্যা সহ নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। একই সঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে কর্মরত স্থানীয় দু’জন সাংবাদিককে মুক্ত করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর চাপ দেয়া উচিত। যখন প্রান্তিক বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী অব্যাহতভাবে নির্যাতিত হন তখন জাতিসংঘের মতো শক্তিধর সংস্থা ও এর সদস্য দেশগুলোর পদক্ষেপ নেয়ার দায় রয়েছে। শেষে বলতে হয়, মূল সমস্যা হলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অনীহা দেখায়। এতে রোহিঙ্গাদেরকে বৈধ নাগরিকত্ব ও রাজনৈতিক অধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা যেকোনো প্রত্যাবর্তন চুক্তিতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এই ভীতসন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন আশ্রয় শিবিরগুলোতে। এখন তারা আবার এক নরকযন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারে ফিরে যেতে আতঙ্কিত। তারা মনে করছেন, রাখাইনে এখনও নির্যাতনমুলক পরিবেশ বিদ্যমান। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি আগামী সপ্তাহে বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা। এর ফলে রোহিঙ্গাদের আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সম্পাদিত চুক্তিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার বিষয়টিতে ঘাটতি রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় জড়িত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা প্রয়োজন। অন্যথায়, দায়মুক্তির অধীনে একই রকম নৃশংসতা অব্যাহত থাকবে এটা বিশ্বাস করার প্রতিটি ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে গত বছরে মিয়ানমারে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে এক হাজার বেসামরিক সাধারণ মানুষকে। এ জন্য রাখাইনে এত বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানীর কারণে প্রতিটি মানুষের প্রত্যাবর্তন হতে হবে অবশ্যই পুরোপুরি স্বেচ্ছায়। এটা অত্যাবশ্যক যে, শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা ছাড়া এই চুক্তি সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া উচিত নয়।
এই প্রত্যাবর্তন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ হয়তো চাইছে দু’বছরের মধ্যে সব রোহিঙ্গা ফিরে যাক। কিন্তু তা কিভাবে ঘটবে এ বিষয়টি অনুধাবন করা খুব কঠিন। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকার কারণে বাংলাদেশ এসব শরণার্থীকে ফেরত পাঠাতে চাইবে- এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে তা হলো, মৌলিক মানবাধিকারের প্রটোকলের অধীনে তাদের অধিকার সমুন্নত রাখা। এটাই প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে এর আগে যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরেছেন তারা অন্তর্বর্তীকালীন শিবিরগুলোতে এখনও বসবাস করছেন। সেখানে তাদের চলাফেরায় রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এক্ষেত্রে গণহত্যা সহ নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। একই সঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে কর্মরত স্থানীয় দু’জন সাংবাদিককে মুক্ত করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর চাপ দেয়া উচিত। যখন প্রান্তিক বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী অব্যাহতভাবে নির্যাতিত হন তখন জাতিসংঘের মতো শক্তিধর সংস্থা ও এর সদস্য দেশগুলোর পদক্ষেপ নেয়ার দায় রয়েছে। শেষে বলতে হয়, মূল সমস্যা হলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অনীহা দেখায়। এতে রোহিঙ্গাদেরকে বৈধ নাগরিকত্ব ও রাজনৈতিক অধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা যেকোনো প্রত্যাবর্তন চুক্তিতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
No comments