সাজা কমলো শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের
একটি
হত্যা মামলায় নব্বই দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফের
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল
বিভাগ। একই মামলায় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আরেক আসামি কাবিল সরকারকে খালাস দেয়া
হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের
বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, মাহবুব আলী, এএম আমিন উদ্দিন, খুরশীদ আলম খান। আদেশের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবজমিনকে বলেন, কাবিল সরকারকে আদালত খালাস দিয়েছেন। তাই তার কারামুক্তিতে বাধা নেই। জোসেফের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তার কত বছর সাজা ভোগ করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যাবজ্জীবনের রায় হওয়ায় এই মুহূর্তে জোসেফ মুক্তি পাচ্ছে না। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জোসেফ এখনই মুক্তি পাচ্ছে না। তার আরও সাজা ভোগ করা বাকি রয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৭ই মে ফ্রিডম পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাশিদা পারভীন পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০০৪ সালের ২৫শে এপ্রিল আসামি জোসেফ ও মাসুদ মজুমদারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কাবিল সরকার, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। হারিস ও আনিস পলাতক থাকায় তারা হাইকোর্টে আবেদন করেনি। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে জোসেফ, কাবিল ও মাসুদ। হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর মাসুদকে খালাস দিয়ে জোসেফের মৃত্যুদণ্ড এবং কাবিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন জোসেফ ও কাবিল। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ গতকাল রায় ঘোষণা করলো।
কে এই জোসেফ?
এক সময়ের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। বড় ভাইয়ের হাত ধরেই অন্ধকার জগতে পদার্পণ হয়েছিল তার। কারাগারে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা। নাম তার তোফায়েল আহমেদ জোসেফ। জোসেফ নামেই পরিচিত সর্বমহলে। বড় ভাই হারিস আহমেদও পলাতক দীর্ঘদিন ধরে। হারিসের নামে ইন্টারপোলে রেড ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে। পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন তিনি। আরেক ভাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। সাঈদ আহমেদ টিপু নামে এক ভাই মারা যায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে। গতকাল নতুন করে আলোচনায় আসলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার সাজা কমিয়ে দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়ে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অন্য প্রায় ডজনখানেক মামলার কোনোটি থেকে জামিন আর কোনোটি থেকে রেহাই মিলেছে তার। গ্রেপ্তারের দিন থেকে দিন গণনা শুরু হলে শিগগিরই কারামুক্ত হয়ে যাবেন তিনিও।
জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জোসেফের বাবার নাম ওয়াদুদ আহমেদ। বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জোসেফ। সবার বড় ভাইয়ের নাম আনিস আহমেদ। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন জোসেফের বড় ভাই হারিস আহমেদ। ৯০’র দশকে জাতীয় পার্টি ছেড়ে মোহাম্মদপুরের এক আওয়ামী লীগ নেতার হাত ধরে যোগ দেন যুবলীগে। ওই সময় তৎকালীন ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে জয়লাভও করেন। বড় ভাইয়ের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় জোসেফের। পদে না থেকেও নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিতেন তিনি। বড় ভাইয়ের ক্যাডার বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সেই থেকে অন্ধকার জগতে পদার্পণ হয় তার। সে সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। যোগ দেন সুব্রত বাইনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আলোচিত সেভেন স্টার গ্রুপে। পুরো রাজধানী তখন সেভেন স্টার গ্রুপ ও ফাইভ স্টার গ্রুপ নামে দুটি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতো। এভাবেই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় নাম উঠে আসে জোসেফের। জোসেফের নামে প্রতিমাসেই মোহাম্মদপুর এলাকার বাস-ট্রাক-টেম্পোস্ট্যান্ড, ফুটপাথ, বাজার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হতো। কারাবন্দি হওয়ার পরও তার অনুসারীরা তার নামে চাঁদা তুলতো। সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৮ বছর কারাবন্দি থাকলেও বিলাসী জীবন কাটিয়েছেন কারাগারেই। কারা কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কারাগারের ভেতরেই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাগিয়েছেন। কারণে-অকারণে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে কাটিয়েছেন বহু সময়। হাসপাতালে বসেই অনুসারীদের সঙ্গে মিটিং করাসহ নানা দিকনির্দেশনা দিতেন তিনি। তার নামে তোলা চাঁদার টাকাতেই কারাগারে বসে বিলাসী জীবনের ব্যয় নির্বাহ করেন তিনি।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ৭ই মে লালমাটিয়া এলাকায় মোস্তফা নামে ফ্রিডম পার্টির এক নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে জোসেফের বিরুদ্ধে। তৎকালীন সরকার শীর্ষ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করে। ওই তালিকায় ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল সন্ত্রাসী জোসেফের বিরুদ্ধে। এক বছর পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে জোসেফকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর কারাবন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। মোস্তফা মার্ডার ছাড়াও আরও অন্তত ডজনখানেক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সবগুলোই খুন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি আর অস্ত্র মামলা। সব মামলা থেকেই জামিন বা রেহাই মিলেছিল তার। কিন্তু মোস্তফা খুনের মামলায় ২০০৪ সালের ২৫শে এপ্রিল ঢাকার জজ আদালত তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি। ২০০৮ সালে হাই কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। এরপর তার আইনজীবীরা লিভ টু আপিল চাইলে সুপ্রিম কোর্ট তা মঞ্জুর করে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার সাজা কমিয়ে দেয়।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, মাহবুব আলী, এএম আমিন উদ্দিন, খুরশীদ আলম খান। আদেশের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবজমিনকে বলেন, কাবিল সরকারকে আদালত খালাস দিয়েছেন। তাই তার কারামুক্তিতে বাধা নেই। জোসেফের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তার কত বছর সাজা ভোগ করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যাবজ্জীবনের রায় হওয়ায় এই মুহূর্তে জোসেফ মুক্তি পাচ্ছে না। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জোসেফ এখনই মুক্তি পাচ্ছে না। তার আরও সাজা ভোগ করা বাকি রয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৭ই মে ফ্রিডম পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাশিদা পারভীন পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০০৪ সালের ২৫শে এপ্রিল আসামি জোসেফ ও মাসুদ মজুমদারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কাবিল সরকার, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। হারিস ও আনিস পলাতক থাকায় তারা হাইকোর্টে আবেদন করেনি। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে জোসেফ, কাবিল ও মাসুদ। হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর মাসুদকে খালাস দিয়ে জোসেফের মৃত্যুদণ্ড এবং কাবিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন জোসেফ ও কাবিল। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ গতকাল রায় ঘোষণা করলো।
কে এই জোসেফ?
এক সময়ের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। বড় ভাইয়ের হাত ধরেই অন্ধকার জগতে পদার্পণ হয়েছিল তার। কারাগারে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা। নাম তার তোফায়েল আহমেদ জোসেফ। জোসেফ নামেই পরিচিত সর্বমহলে। বড় ভাই হারিস আহমেদও পলাতক দীর্ঘদিন ধরে। হারিসের নামে ইন্টারপোলে রেড ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে। পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন তিনি। আরেক ভাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। সাঈদ আহমেদ টিপু নামে এক ভাই মারা যায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে। গতকাল নতুন করে আলোচনায় আসলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার সাজা কমিয়ে দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়ে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অন্য প্রায় ডজনখানেক মামলার কোনোটি থেকে জামিন আর কোনোটি থেকে রেহাই মিলেছে তার। গ্রেপ্তারের দিন থেকে দিন গণনা শুরু হলে শিগগিরই কারামুক্ত হয়ে যাবেন তিনিও।
জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জোসেফের বাবার নাম ওয়াদুদ আহমেদ। বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জোসেফ। সবার বড় ভাইয়ের নাম আনিস আহমেদ। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন জোসেফের বড় ভাই হারিস আহমেদ। ৯০’র দশকে জাতীয় পার্টি ছেড়ে মোহাম্মদপুরের এক আওয়ামী লীগ নেতার হাত ধরে যোগ দেন যুবলীগে। ওই সময় তৎকালীন ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে জয়লাভও করেন। বড় ভাইয়ের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় জোসেফের। পদে না থেকেও নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিতেন তিনি। বড় ভাইয়ের ক্যাডার বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সেই থেকে অন্ধকার জগতে পদার্পণ হয় তার। সে সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। যোগ দেন সুব্রত বাইনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আলোচিত সেভেন স্টার গ্রুপে। পুরো রাজধানী তখন সেভেন স্টার গ্রুপ ও ফাইভ স্টার গ্রুপ নামে দুটি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতো। এভাবেই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় নাম উঠে আসে জোসেফের। জোসেফের নামে প্রতিমাসেই মোহাম্মদপুর এলাকার বাস-ট্রাক-টেম্পোস্ট্যান্ড, ফুটপাথ, বাজার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হতো। কারাবন্দি হওয়ার পরও তার অনুসারীরা তার নামে চাঁদা তুলতো। সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৮ বছর কারাবন্দি থাকলেও বিলাসী জীবন কাটিয়েছেন কারাগারেই। কারা কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কারাগারের ভেতরেই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাগিয়েছেন। কারণে-অকারণে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে কাটিয়েছেন বহু সময়। হাসপাতালে বসেই অনুসারীদের সঙ্গে মিটিং করাসহ নানা দিকনির্দেশনা দিতেন তিনি। তার নামে তোলা চাঁদার টাকাতেই কারাগারে বসে বিলাসী জীবনের ব্যয় নির্বাহ করেন তিনি।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ৭ই মে লালমাটিয়া এলাকায় মোস্তফা নামে ফ্রিডম পার্টির এক নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে জোসেফের বিরুদ্ধে। তৎকালীন সরকার শীর্ষ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করে। ওই তালিকায় ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল সন্ত্রাসী জোসেফের বিরুদ্ধে। এক বছর পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে জোসেফকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর কারাবন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। মোস্তফা মার্ডার ছাড়াও আরও অন্তত ডজনখানেক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সবগুলোই খুন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি আর অস্ত্র মামলা। সব মামলা থেকেই জামিন বা রেহাই মিলেছিল তার। কিন্তু মোস্তফা খুনের মামলায় ২০০৪ সালের ২৫শে এপ্রিল ঢাকার জজ আদালত তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি। ২০০৮ সালে হাই কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। এরপর তার আইনজীবীরা লিভ টু আপিল চাইলে সুপ্রিম কোর্ট তা মঞ্জুর করে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার সাজা কমিয়ে দেয়।
No comments