রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সম্মেলন, গোলাগুলি
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ ব্যবহার করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় সংসদের নেত্রীবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মী সম্মেলন করেছেন। শনিবার
ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী
নাজমুল আলমসহ কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ এ কর্মী সম্মেলনে অংশ নেন। কেন্দ্রীয়
নেত্রীবৃন্দদের সামনে নিজেদের অবস্থানকে জানান দিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় উভয়
পক্ষই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে একে অপরের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের মধ্যে র্দীঘ দিন ধরে চলছে নেতৃত্বের দেন দরবার। নেতৃত্ব দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের ও কর্মীদের মধ্যে বহু দিন ধরে চলছে রেষারেষি। রেষারেষির মাত্রা মাঝে মধ্যে স্বশস্ত্র সংঘর্ষের রুপ নিয়েছে। বিভিন্ন হল ও অনুষদের কমিটির দেয়াকে কেন্দ্র করে গত চার দিন ধরে মাসুম ও ইলিয়াস গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে চলে আসছে উত্তেজনা। এরই মাঝে ছাত্রলীগের কর্মী সভায় যোগ দিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আগে থেকেই তৎপর থাকা উভয় গ্রুপই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্বশস্ত্র ধাওযা-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শী অন্তত বিশ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেয় মাহমুদুর রহমান মাসুমের সমর্থকরা। এর পরপরই ক্যাস্পাসে অবস্থান নেয় ইলিয়াসের সমর্থকরা। দুই পক্ষই দেশীয় ও আগ্নেয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারমুখি অবস্থান নেয়। এতে কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ আসার আগেই দুই গ্রুপের মধ্যে স্বশস্ত্র ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বহিরাগত সন্ত্রসীদেরকে নিয়ে দুই গ্রুপই ক্যাস্পাসের ভিতরে অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। এ সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে প্রায় দশ রাউন্ড গুলি করে। কুমিল্লা বিশ্বরোড়ের গাজী আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী শহীদ উল্লাহ খান এ সময় বেশ কয়েকটি মটোর সাইকেল ও মাইক্রবাসের বহর নিয়ে ক্যাস্পাসে প্রবেশ করে।
এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির ৩৭তম বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনে যোগ দিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ রসায়নবিদরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে কর্মী সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্র সংগঠনের এটিই প্রথম প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে সম্মেলন। শিক্ষার্থীরা ভর্তির রেজিস্ট্রেশন ফরমে রাজনীতি মুক্ত ক্যাস্পাস গড়ার প্রত্যয়ে স্বাক্ষর করে ভর্তি হতে হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সম্মেলন থাকায় তাদেরকে এ দিন না আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের কথা রাখেনি।
উল্লেখ্য, আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম চলতি মাসের ৭ তারিখ তিন মাসের জন্য ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এবং ৮ তারিখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। পরামর্শ না করে কমিটি ঘোষণা করেছেন এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার যুগ্ম-আহ্বায়ক আল আমিন অর্ণব ও সৈয়দ শাহরিয়া মাহমুদ এক বছরের জন্য দুই হল ও চারটি অনুষদের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের মধ্যে র্দীঘ দিন ধরে চলছে নেতৃত্বের দেন দরবার। নেতৃত্ব দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের ও কর্মীদের মধ্যে বহু দিন ধরে চলছে রেষারেষি। রেষারেষির মাত্রা মাঝে মধ্যে স্বশস্ত্র সংঘর্ষের রুপ নিয়েছে। বিভিন্ন হল ও অনুষদের কমিটির দেয়াকে কেন্দ্র করে গত চার দিন ধরে মাসুম ও ইলিয়াস গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে চলে আসছে উত্তেজনা। এরই মাঝে ছাত্রলীগের কর্মী সভায় যোগ দিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আগে থেকেই তৎপর থাকা উভয় গ্রুপই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্বশস্ত্র ধাওযা-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শী অন্তত বিশ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেয় মাহমুদুর রহমান মাসুমের সমর্থকরা। এর পরপরই ক্যাস্পাসে অবস্থান নেয় ইলিয়াসের সমর্থকরা। দুই পক্ষই দেশীয় ও আগ্নেয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারমুখি অবস্থান নেয়। এতে কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ আসার আগেই দুই গ্রুপের মধ্যে স্বশস্ত্র ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বহিরাগত সন্ত্রসীদেরকে নিয়ে দুই গ্রুপই ক্যাস্পাসের ভিতরে অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। এ সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে প্রায় দশ রাউন্ড গুলি করে। কুমিল্লা বিশ্বরোড়ের গাজী আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী শহীদ উল্লাহ খান এ সময় বেশ কয়েকটি মটোর সাইকেল ও মাইক্রবাসের বহর নিয়ে ক্যাস্পাসে প্রবেশ করে।
এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির ৩৭তম বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনে যোগ দিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ রসায়নবিদরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে কর্মী সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্র সংগঠনের এটিই প্রথম প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে সম্মেলন। শিক্ষার্থীরা ভর্তির রেজিস্ট্রেশন ফরমে রাজনীতি মুক্ত ক্যাস্পাস গড়ার প্রত্যয়ে স্বাক্ষর করে ভর্তি হতে হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সম্মেলন থাকায় তাদেরকে এ দিন না আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের কথা রাখেনি।
উল্লেখ্য, আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম চলতি মাসের ৭ তারিখ তিন মাসের জন্য ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এবং ৮ তারিখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। পরামর্শ না করে কমিটি ঘোষণা করেছেন এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার যুগ্ম-আহ্বায়ক আল আমিন অর্ণব ও সৈয়দ শাহরিয়া মাহমুদ এক বছরের জন্য দুই হল ও চারটি অনুষদের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন।
No comments