ছিনতাই-অপহরণের নেতৃত্বে র্যাব-পুলিশের চাকরিচ্যুতরা
পুলিশ
ও র্যাবসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত কিছু বিপথগামী
সদস্য রাজধানীতে ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে
চাকরিচ্যুত কিছু সদস্যও এসব অপরাধে নেতৃত্বে দিচ্ছে। এ ধরনের কমপক্ষে ১০টির
বেশি গ্রুপ রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপেই চাকরিচ্যুত সদস্যদের
পাশাপাশি পেশাদার কিছু অপরাধীও জড়িত রয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ
(ডিবি) সূত্রে ওই তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ আরও জানায়, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব থেকে নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত সদস্যরাই অপরাধীগ্রুপের নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দিচ্ছে। মোবাইল ট্রাকিংসহ প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও আইনের ফাঁকফোকর জানা থাকায় তাদের পাকড়াও করাও পুলিশের পক্ষে দুরূহ হয়ে পড়েছে। এমনই একটি গ্রুপকে শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক মাসে রাজধানীর বনশ্রী থেকে রেজাউল ইসলাম ওরফে মাসুদ, খিলগাঁও থেকে শাহজাদা হোসেন, সেগুন বাগিচা থেকে আছাদুজ্জামান আসাদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আবুল কালাম আজাদ, কাফরুলে আলী সিদ্দিক, উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজী হেলাল উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক, রিপন মিয়া, আবদুল বারেক, টিটু মিয়া, মকবুল ঢালী ও মারুফ হোসেন, যাত্রাবাড়ী থেকে জাকির হোসেন সুমন, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রনি, আল আমিন ও ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। তারা কখনো পুলিশের এসপি, কখনো এডিশনাল এসপি, কখনো ওসি এবং সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, অপহরণ, ছিনতাই ও জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিল। এছাড়া সিরাজুল হক চৌধুরী ও সোহেল রানাসহ বিভিন্ন সময়ে মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বেশকয়েককে গ্রেফতার করেছে ডিবি।
শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, গত কয়েক বছরে এ ধরনের অন্তত ৬টি গ্রুপকে আটক করেছে ডিবি। কিন্তু আদালতে তথ্য প্রমাণের অভাবে তাদের সাজা হয়নি। কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিন পেয়ে তারা আবার একই ধরনের অপরাধ করছে। তেজগাঁও থেকে আটক ৮ ভুয়া ডিবি পুলিশ সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম জানান, আটক ৮ জনের নেতৃত্বে ছিল সেনাবাহিনীর সৈনিক পদ থেকে ২০০৫ সালে চাকরিচ্যুত আবদুস সামাদ। তার সহযোগী ছিল সিরাজ হাওলাদার, আবুল হোসেন, শাহাবউদ্দিন, ফরহাদ গাজী, নান্নু মিয়া, তারা মিয়া ও মো. আরিফ। আটকের সময় তারা উল্টো পুলিশকে মারধর শুরু করে। তারা সাদা মাইক্রোবাস ব্যবহার করত। তাতে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি কাজে নিয়োজিত’ লেখা ও অপর মাইক্রোতে ‘ডিবি পুলিশ’ লেখা ছিল। ওই দুইটি মাইক্রোবাসে পুলিশের ব্যবহৃত হাতকড়া, ওয়াকিটকি, লাঠি, ক্যাপ, ব্যাজ ও পোশাক ছিল।
পুলিশ জানায়, তারা মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা, কাওরানবাজার, ধানমণ্ডি, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি ব্যাংকের গ্রাহকদের টার্গেট করে। ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা ব্যাংকে যারা টাকা তুলতে আসতেন তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যাংকের সামনে গাড়ি নিয়ে অবস্থান করে। টাকা তুলে বের হলেই তাদের ডিবি পরিচয় দিয়ে গাড়িতে রাখত। গাড়িতে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দিত।
রিমান্ডে ৮ ভুয়া পুলিশ সদস্য জানিয়েছে, ৭ এপ্রিল কাকলী এলাকার একটি ব্যাংক থেকে এক ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা তুলে বাসায় ফিরছিল। তাকে ডিবি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে ছিনতাই করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব থেকে নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত সদস্যরাই অপরাধীগ্রুপের নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দিচ্ছে। মোবাইল ট্রাকিংসহ প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও আইনের ফাঁকফোকর জানা থাকায় তাদের পাকড়াও করাও পুলিশের পক্ষে দুরূহ হয়ে পড়েছে। এমনই একটি গ্রুপকে শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক মাসে রাজধানীর বনশ্রী থেকে রেজাউল ইসলাম ওরফে মাসুদ, খিলগাঁও থেকে শাহজাদা হোসেন, সেগুন বাগিচা থেকে আছাদুজ্জামান আসাদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আবুল কালাম আজাদ, কাফরুলে আলী সিদ্দিক, উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজী হেলাল উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক, রিপন মিয়া, আবদুল বারেক, টিটু মিয়া, মকবুল ঢালী ও মারুফ হোসেন, যাত্রাবাড়ী থেকে জাকির হোসেন সুমন, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রনি, আল আমিন ও ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। তারা কখনো পুলিশের এসপি, কখনো এডিশনাল এসপি, কখনো ওসি এবং সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, অপহরণ, ছিনতাই ও জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিল। এছাড়া সিরাজুল হক চৌধুরী ও সোহেল রানাসহ বিভিন্ন সময়ে মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বেশকয়েককে গ্রেফতার করেছে ডিবি।
শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, গত কয়েক বছরে এ ধরনের অন্তত ৬টি গ্রুপকে আটক করেছে ডিবি। কিন্তু আদালতে তথ্য প্রমাণের অভাবে তাদের সাজা হয়নি। কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিন পেয়ে তারা আবার একই ধরনের অপরাধ করছে। তেজগাঁও থেকে আটক ৮ ভুয়া ডিবি পুলিশ সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম জানান, আটক ৮ জনের নেতৃত্বে ছিল সেনাবাহিনীর সৈনিক পদ থেকে ২০০৫ সালে চাকরিচ্যুত আবদুস সামাদ। তার সহযোগী ছিল সিরাজ হাওলাদার, আবুল হোসেন, শাহাবউদ্দিন, ফরহাদ গাজী, নান্নু মিয়া, তারা মিয়া ও মো. আরিফ। আটকের সময় তারা উল্টো পুলিশকে মারধর শুরু করে। তারা সাদা মাইক্রোবাস ব্যবহার করত। তাতে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি কাজে নিয়োজিত’ লেখা ও অপর মাইক্রোতে ‘ডিবি পুলিশ’ লেখা ছিল। ওই দুইটি মাইক্রোবাসে পুলিশের ব্যবহৃত হাতকড়া, ওয়াকিটকি, লাঠি, ক্যাপ, ব্যাজ ও পোশাক ছিল।
পুলিশ জানায়, তারা মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা, কাওরানবাজার, ধানমণ্ডি, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি ব্যাংকের গ্রাহকদের টার্গেট করে। ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা ব্যাংকে যারা টাকা তুলতে আসতেন তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যাংকের সামনে গাড়ি নিয়ে অবস্থান করে। টাকা তুলে বের হলেই তাদের ডিবি পরিচয় দিয়ে গাড়িতে রাখত। গাড়িতে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দিত।
রিমান্ডে ৮ ভুয়া পুলিশ সদস্য জানিয়েছে, ৭ এপ্রিল কাকলী এলাকার একটি ব্যাংক থেকে এক ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা তুলে বাসায় ফিরছিল। তাকে ডিবি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে ছিনতাই করা হয়।
No comments