নবগঙ্গা নদী ভরাট করে গুচ্ছগ্রাম
লোহাগড়ায় নবগঙ্গা নদী ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে গুচ্ছগ্রা |
পঞ্চাশ-ষাটের
দশকেও পানি থইথই করত। সারা বছর চলত স্টিমারসহ বড় নৌযান। ব্যস্ত নৌপথ ছিল
এটি। এখন ভরাট করে গড়ে উঠেছে গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন কাঁচা-পাকা স্থাপনা।
দখল করে চলছে চাষাবাদ। ময়লা-আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে। দখল-দূষণের কবলে
মৃতপ্রায় নদীটি।
এই চিত্র নবগঙ্গা নদীর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা অংশের। এ নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৩০ কিলোমিটার। চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা মোহনা থেকে শুরু হয়ে ঝিনাইদহ ও মাগুরা হয়ে নড়াইলের ওপর দিয়ে লোহাগড়ার শেষপ্রান্ত মহাজন বাজারে মধুমতী নদীতে মিশেছে নবগঙ্গা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ বিবেচনায় নিয়ে নবগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে এর পাড়ে গড়ে ওঠে উপজেলার লোহাগড়া, লক্ষ্মীপাশা, দীঘলিয়া, মিঠাপুর ও নলদী বাজার। এ ছাড়া লোহাগড়া থানা, হাসপাতাল, অন্যান্য প্রশাসনিক ভবনসহ নদীর উভয় পাড়ে গড়ে ওঠে ঘনবসতি। এখনো বর্ষাকালে ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোহাগড়া বাজারসহ অন্য বাজারে এই নদী দিয়ে মালামাল পরিবহন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী ভরাট করে কুন্দশীতে গড়ে উঠেছে সরকারি গুচ্ছগ্রাম। নদী শাসন করে অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়িসহ কাঁচা-পাকা বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর মাঝখান পর্যন্ত বাঁধ দিয়ে নদী থেকে মাটি কেটে ভরাট করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। প্রভাবশালীরা ঘের বানিয়ে করছেন মাছ চাষ। এ অবস্থায় উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা থেকে দক্ষিণে মহাজন বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার নদীটি সরু নালায় পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে বসতবাড়ির কাঁচা শৌচাগার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ নদীতে দুর্গন্ধ বাড়ছে। বাড়ছে মশা-মাছির উৎপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দখল-দূষণ আর ভরাটের কবলে পড়া মৃতপ্রায় এ নদীটি রক্ষার উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নড়াইল জেলা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, এই নদী না বাঁচলে নৌপথ বন্ধ হবে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেশি ক্ষতি হবে কৃষির। ধ্বংস হবে মৎস্য সম্পদ। একই সঙ্গে পরিবেশও বিপন্ন হবে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে নদী দখল হওয়া দুঃখজনক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের এপ্রিল-মে মাসে মধুমতী নদীর সংযোগস্থল উপজেলার মহাজন থেকে দীঘলিয়া পর্যন্ত ৮ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার অংশ খনন করা হয়। এ জন্য বরাদ্দ ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আর্থিক সহায়তায় খনন প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সময় দু-এক কোদাল মাটি কেটে নদী খননের নামে প্রায় পুরো টাকা লুটপাট করা হয়েছে। নদী খননের কোনো চিহ্নও এখন নেই।
জানতে চাইলে সদ্য বদলি হওয়া নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লোহাগড়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকা দেখে মনে হয়নি যে নদী খনন করা হয়েছে। সে জন্য লক্ষ্মীপাশা থেকে মহাজন পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার অংশ পুরোটা খননের জন্য প্রায় এক বছর আগে পাউবোতে প্রকল্প দেওয়া আছে। এখনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার কুমার পাল বলেন, নবগঙ্গা নদীর অবৈধ দখল চিহ্নিত করতে স্থানীয় নায়েবদের দিয়ে তদন্ত চলছে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই চিত্র নবগঙ্গা নদীর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা অংশের। এ নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৩০ কিলোমিটার। চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা মোহনা থেকে শুরু হয়ে ঝিনাইদহ ও মাগুরা হয়ে নড়াইলের ওপর দিয়ে লোহাগড়ার শেষপ্রান্ত মহাজন বাজারে মধুমতী নদীতে মিশেছে নবগঙ্গা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ বিবেচনায় নিয়ে নবগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে এর পাড়ে গড়ে ওঠে উপজেলার লোহাগড়া, লক্ষ্মীপাশা, দীঘলিয়া, মিঠাপুর ও নলদী বাজার। এ ছাড়া লোহাগড়া থানা, হাসপাতাল, অন্যান্য প্রশাসনিক ভবনসহ নদীর উভয় পাড়ে গড়ে ওঠে ঘনবসতি। এখনো বর্ষাকালে ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোহাগড়া বাজারসহ অন্য বাজারে এই নদী দিয়ে মালামাল পরিবহন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী ভরাট করে কুন্দশীতে গড়ে উঠেছে সরকারি গুচ্ছগ্রাম। নদী শাসন করে অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়িসহ কাঁচা-পাকা বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর মাঝখান পর্যন্ত বাঁধ দিয়ে নদী থেকে মাটি কেটে ভরাট করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। প্রভাবশালীরা ঘের বানিয়ে করছেন মাছ চাষ। এ অবস্থায় উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা থেকে দক্ষিণে মহাজন বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার নদীটি সরু নালায় পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে বসতবাড়ির কাঁচা শৌচাগার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ নদীতে দুর্গন্ধ বাড়ছে। বাড়ছে মশা-মাছির উৎপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দখল-দূষণ আর ভরাটের কবলে পড়া মৃতপ্রায় এ নদীটি রক্ষার উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নড়াইল জেলা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, এই নদী না বাঁচলে নৌপথ বন্ধ হবে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেশি ক্ষতি হবে কৃষির। ধ্বংস হবে মৎস্য সম্পদ। একই সঙ্গে পরিবেশও বিপন্ন হবে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে নদী দখল হওয়া দুঃখজনক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের এপ্রিল-মে মাসে মধুমতী নদীর সংযোগস্থল উপজেলার মহাজন থেকে দীঘলিয়া পর্যন্ত ৮ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার অংশ খনন করা হয়। এ জন্য বরাদ্দ ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আর্থিক সহায়তায় খনন প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সময় দু-এক কোদাল মাটি কেটে নদী খননের নামে প্রায় পুরো টাকা লুটপাট করা হয়েছে। নদী খননের কোনো চিহ্নও এখন নেই।
জানতে চাইলে সদ্য বদলি হওয়া নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লোহাগড়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকা দেখে মনে হয়নি যে নদী খনন করা হয়েছে। সে জন্য লক্ষ্মীপাশা থেকে মহাজন পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার অংশ পুরোটা খননের জন্য প্রায় এক বছর আগে পাউবোতে প্রকল্প দেওয়া আছে। এখনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার কুমার পাল বলেন, নবগঙ্গা নদীর অবৈধ দখল চিহ্নিত করতে স্থানীয় নায়েবদের দিয়ে তদন্ত চলছে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments