জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় হোন
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদান রাখার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়া সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। গতকাল রোববার জাকার্তায় এক ভাষণে তিনি বলেছেন, এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়নি, তা বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও হুমকি। জন কেরি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণাম রোধ করার সময় এখনো আছে। তবে সেই সময় ফুরিয়ে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস। আর এই গ্যাস নির্গমন করা দেশের তালিকায় সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দেশ দুটি গত শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনার জন্য আরও বেশি চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দুটি দেশের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অর্থ এই নয়, অন্যদের আর কিছু করার দরকার নেই। গ্রিনহাউস গ্যাস কম নির্গমনকারী দেশগুলো অতীতে যে ভুল করেছে, সেই ভুল যেন তারা আর না করে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া দিয়ে এশিয়ার এই অঞ্চলে সফর শুরু করেন জন কেরি। সেখান থেকে তিনি যান চীনে, এর পর ইন্দোনেশিয়া। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের ওপর গুরুত্ব কমিয়ে এশিয়ার এই অঞ্চলের দিকে বেশি নজর দেওয়ার পররাষ্ট্রনীতি ২০১২ সালে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সেই নীতির অংশ হিসেবেই ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর। গতকাল জাকার্তায় দেওয়া ভাষণে জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এশিয়ার দেশগুলোর বিপদের বিষয়ে জোর দেন। একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব ও বিশ্ব সরবরাহব্যবস্থার ওপর সম্ভাব্য ভয়ংকর প্রভাব নিয়েও তিনি কথা বলেন। আগামী বছর জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছার কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানির দূষণ কমানোর অঙ্গীকার থাকতে পারে। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো অভিযোগ করে আসছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে মার্কিন প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিক নয়। তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা গত বছর নতুন একজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী নীতিনির্ধারণ করার জন্য। কেরি গতকাল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম ইশতেকলাল মসজিদ পরিদর্শন করেন। এ সময় মসজিদের ইমাম তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কেরি মসজিদটিকে ‘অসাধারণ স্থান’ উল্লেখ করে তাঁকে এই বৃহৎ মসজিদ পরিদর্শন করার সুযোগ দেওয়ায় ইমামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিবিসি ও এএফপি।
No comments