রোহিঙ্গাদের মাঠে নামাবে
জামায়াতের জঙ্গীদের সঙ্গে রোহিঙ্গা
জঙ্গীদের সংযোগে কয়েক বছর আগে থেকে। জানা গেছে, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত
এবার তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী বাস্তবায়নে রোহিঙ্গা জঙ্গীদের মাঠে নামাবে।
ইতোপূর্বে রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধবিহারে, মন্দিরে ও সংখ্যালঘুদের
বাড়িঘরে হামলায় রোহিঙ্গা জঙ্গীরা অংশ নিয়েছিল। এ খবর পত্রপত্রিকা ও
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল। গত তিরিশি বছরেরও বেশি সময় ধরে
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা বাংলাদেশের অর্থনৈতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনিতেই
বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। তার ওপর মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা
আমাদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে। প্রথমে ধারণা করা গিয়েছিল, মিয়ানমারের
রাখাইন রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা তাদের নিজ
রাষ্ট্রে ফিরে যাবে। কিন্তু সীমান্ত অতিক্রম করে যে রোহিঙ্গারা বৃহত্তর
টেকনাফ ও কক্সবাজার এলাকা প্রবেশ করেছে তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের ফিরে
যায়নি। এতে স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশ আর কতকাল রোহিঙ্গা
উদ্বাস্তুদের এই অনাকাক্সিক্ষত বোঝা বহন করবে? মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনী ও
সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইনদের দ্বারা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে জাতিসংঘ ও
পশ্চিমা দেশগুলো এখনও কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। এক্ষেত্রে নির্যাতিত বিতাড়িত
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকেই একমাত্র তাদের ‘সেফ হ্যাভেন’ বা ‘নিরাপদ
আশ্রয়স্থল’ বলে মনে করে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশকে সবদিক দিক
ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে
অবস্থানকারী তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের বাইরে রয়েছে বিপুল সংখ্যক
‘অতালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা’। এই ‘অতালিকাভুক্ত’ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৪ লাখেরও
বেশি। এরাই বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা।
এসব রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাঙালীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এদের অনেকেই জঙ্গীদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী; কেউ কেউ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের পাসপোর্টে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দিয়েছে; বিদেশে এদের অপতৎপরতার কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। গত বছর জুন মাসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে দাঙ্গার শিকার রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে প্রবেশে চেষ্টা করেছিল; তখন বাংলাদেশ তাদের আসতে দেয়নি। এমনকি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ বিশ্বের সকল ক্ষমতাবান রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে।
রোহিঙ্গা জঙ্গীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এদের আশ্রয়দানকারীদের শনাক্ত করা দরকার। এসব বিষয়ে নমনীয় হলে তা আগামীতে দেশ ও জাতির জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মিয়ানমার সরকার যাতে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়Ñএ লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শুরু করা দরকার। সেইসঙ্গে জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা অপরিহার্য।
এসব রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাঙালীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এদের অনেকেই জঙ্গীদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী; কেউ কেউ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের পাসপোর্টে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দিয়েছে; বিদেশে এদের অপতৎপরতার কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। গত বছর জুন মাসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে দাঙ্গার শিকার রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে প্রবেশে চেষ্টা করেছিল; তখন বাংলাদেশ তাদের আসতে দেয়নি। এমনকি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ বিশ্বের সকল ক্ষমতাবান রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে।
রোহিঙ্গা জঙ্গীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এদের আশ্রয়দানকারীদের শনাক্ত করা দরকার। এসব বিষয়ে নমনীয় হলে তা আগামীতে দেশ ও জাতির জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মিয়ানমার সরকার যাতে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়Ñএ লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শুরু করা দরকার। সেইসঙ্গে জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা অপরিহার্য।
No comments